আজকের শিরোনাম :

মৃত্যুর পর মুশতাকের জামিন শুনানি হাইকোর্টে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ মার্চ ২০২১, ১৭:২২

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে লেখক মুশতাক আহমেদ আগেই হাইকোর্টে জামিন আবেদন করে রেখেছিলেন। কিন্তু জামিন শুনানির আগেই না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন তিনি।

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি অবস্থায় লেখক মুশতাক আহমেদ মারা যান। মৃত্যুর তিনদিন পর সোমবার (১ মার্চ) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চে কার্টুনিস্ট আহমেদ কবীর কিশোরের সঙ্গে লেখক মুশতাক আহমেদের জামিন আবেদনটিও শুনানির জন্য ওঠে।

শুনানিকালে আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া আদালতকে বলেন, ‘লেখক মুশতাক আহমেদ মৃত্যুবরণ করেছেন।’ তখন আদালত আইনজীবীকে বলেন, ‘সেটি আপনি হলফনামা আকারে জানান। তখন তার জামিন আবেদন বাদ দেওয়া হবে।’

সংশ্লিষ্ট আদালতের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী পরে সাংবাদিকদের বলেন, ‘৩ মার্চের মধ্যে লেখক মুশতাক আহমেদের মারা যাওয়ার বিষয়টি হলফনামা আকারে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে। ওইদিন পরবর্তী আদেশ দেবেন আদালত। একইসঙ্গে কার্টুনিস্ট আহমেদ কবীর কিশোরের জামিন আবেদনের আদেশের জন্য আগামী ৩ মার্চ দিন ধার্য করা হয়েছে।’

ফযধশধঢ়ড়ংঃ

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৮টার দিকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়া হলে মুশতাক আহমেদকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি ছিলেন। মুশতাক আহমেদ নারায়ণগঞ্জের আড়াই হাজার থানার ছোট বালাপুর এলাকার মো. আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।

তার মৃত্যুর পর সিনিয়র জেল সুপার মো. গিয়াস উদ্দিন জানান, সন্ধ্যায় কারাগারের ভেতর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন মুশতাক আহমেদ। এ সময় তাকে কারা হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

লেখক মুশতাকের অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যুতে ক্ষোভে ফেটে পড়ে বামধারার রাজনৈতিক সংগঠনগুলো। তিনি আইনি বৈষম্যের শিকার বলেও অনেকে মন্তব্য করেন।

গত বছরের মে মাসে লেখক মুশতাক আহমেদ, কার্টুনিস্ট আহমেদ কবীর কিশোরকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক কথাবার্তা ও গুজব ছড়ানোর অভিযোগে তারা দুজনসহ মোট ১১ জনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে সংস্থাটি। সেই মামলায় দুজন জামিনে মুক্তি পান। তবে মুশতাক ও কিশোরের জামিন আবেদন নাকচ হয়।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ