নোয়াখালীতে পুরুষকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় গ্রেফতার ৫
প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২১, ১৯:২৮
বাংলাদেশের নোয়াখালী জেলায় এক ব্যক্তিকে বিবস্ত্র করে টানাহেঁচড়া, মারধর এবং নির্যাতন করে সেই ভিডিও ধারণ করার অভিযোগে পুলিশ পাঁচ ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে।
চলতি মাসের পয়লা তারিখে ঘটনাটা ঘটে। ধারণকৃত ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পরার পর এই ঘটনা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়। রোববার ঐ ব্যক্তি পাঁচ জনের নামে মামলা করেন। এবং এই পাঁচ জনকেই পুলিশ গ্রেফতার করেছে বলে জানিয়েছে। হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল খায়ের বিবিসি বাংলাকে একথা নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ঐ একই দিন একই সাথে একজন নারী নির্যাতনের স্বীকার হয়েছেন বলে অভিযোগ করে আদালতে মামলা করেন।
এই বিষয়ে পুলিশ বলছে, নির্যাতিত নারী এবং পুরুষ উভয়কেই একটা ঘরে থাকা অবস্থায় এলাকাবাসী ঘরের দরজা লাগিয়ে দেয়।
সেই সময় পুরুষটি জানালা দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে এলাকাবাসী তাকে ধরে টেনে-হিঁচড়ে আবার ঘরের মধ্যে নিয়ে যায়।
যে ভিডিওটি ছড়িয়ে পরেছে সেখানে দেখা যাচ্ছে কিছু লোক পুরুষটিকে জবরদস্তি করে তার পরনে থাকা লুঙ্গি ধরে টেনে ঘরের মধ্যে নিয়ে যাচ্ছে। এই সময় আরেক ব্যক্তি বড় একটা লাঠি দিয়ে জানালা-দরজায় আঘাত করছে।
যে ব্যক্তিকে বিবস্ত্র করে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার একটা ভিন্ন বর্ণনা দেন।
তিনি জানান, ঘটনার দিন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা থেকে সাতটার সময় তিনি এবং তার স্ত্রী তাদের খামারে কাজ করছিলেন।
তিনি বলছিলেন, এর এক পর্যায়ে লোকটি তাদের বাড়ি থেকে ২০ হাত দুরে একটা ঘরে রাখা খামারের সামগ্রী আনতে গেলে একজন নারী বাঁচাও বাঁচাও চিৎকার করে ঐ ঘরে ঢুকে পরেন। সেই নারীর হাতে বাজার-সদাই ছিল।
এই সেময় ঐ নারীর পিছু পিছু বেশ কিছু লোক আসে এবং তাদের দুইজনকে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে বেধড়ক মারধর করেন।
"তারা বলতে চান 'আমাদের মধ্যে কোন সম্পর্ক আছে', আমার মা ও স্ত্রী সেখানে ছিল, আমি বাঁচার জন্য পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি কিন্তু তারা আবার আমাকে ধরে নিয়ে ঘরের মধ্যে নিয়ে বিবস্ত্র করে মারধোর করে," বলছিলেন ঐ ব্যক্তি।
ঘটনা ঘটনার ১৫ দিন পর কেন আইনের সহায়তা নিলেন? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, "প্রথমে আমি ভয় পেয়েছিলাম। কিন্তু আমার সাথে যেটা হয়েছে সেটা অত্যন্ত অমানবিক। তাই আমি মামলা করেছি।"
এবিএন/মমিন/জসিম