আজকের শিরোনাম :

হাইকোর্টে দাখিল হচ্ছে ৮৩ জনের তালিকা সম্বলিত নথি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ জানুয়ারি ২০২১, ১৭:১১

ইন্টারন্যাশনাল লিজিং থেকে প্রশান্ত কুমার হালদার ও তার সংশ্লিষ্টদের জালিয়াতি করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগের বিষয়ে ৮৩ জনের তালিকা সম্বলিত একটি নথি ২০ জানুয়ারি হাইকোর্টে উপস্থাপন করতে যাচ্ছে রাষ্ট্র।  

বাংলাদেশ ব্যাংকের গোয়েন্দা সংস্থা বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) ইতোমধ্যে তাদের এ নথি অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে দাখিল করেছেন।

২০ জানুয়ারি এসব নথি আদালতে উপস্থাপন করবেন বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। এসব ব্যক্তির ব্যাংক হিসাব ইতোমধ্যে ফ্রিজ করা হয়েছে। এ তালিকায় পিকে হালদারসহ সম্প্রতি দুদকের হাতে গ্রেফতার হওয়া অবন্তিকা বড়ালের নামও রয়েছে।

বিএফআইইউ তার গোয়েন্দা প্রতিবেদনে বলেছে, বিএফআইইউ ইন্টারন্যাশনাল লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস লিমিটেডের অফিস পরিদর্শন করে। পরিদর্শন করে বিএফআইইউ দেখে যে, ২০১৫ সালে চারটি প্রতিষ্ঠান আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি অধিগ্রহণের পরবর্তী ৩/৪ বছরে দুর্নীতি, জালিয়াতি ও নানাবিধ অনিয়মের মাধ্যমে নামসর্বস্ব ও কাগুজে প্রতিষ্ঠানের ঋণের নামে লেয়ারিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও ক্যাপিটাল মার্কেট থেকে ২ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকা সরিয়ে নিয়ে আত্মসাত করা হয়। আর্থিক প্রতিষ্ঠানটি কর্তৃক বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ৩ হাজার ৬৩৪ কোটি টাকা। অর্থাৎ ৬৭ দশমিক ৯১ ভাগ। এ বিষয়ে গোয়েন্দা প্রতিবেদনে ৪৩টি ঋণগ্রহীতা প্রতিষ্ঠানের নামে দেওয়া ঋণের অর্থের গতিপথসহ প্রকৃত সুবিধাভোগীদের বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সার্বিক পর্যালোচনায় ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের পরিচালনা পর্ষদ, শীর্ষ ব্যবস্থাপনা, অভ্যন্তরীণ নিরীক্ষা বিভাগ, চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসার, ক্রেডিট ডিভিশনের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় পিকে হালদার ও তার সহযোগীরা ৮৩ ব্যক্তির ঋণের আড়ালে নানাবিধ অনিয়ম, দুর্নীতি ও জালিয়াতির মাধ্যমে আর্থিক প্রতিষ্ঠানটির দুই তৃতীয়াংশের বেশি অর্থ আত্মসাত করেছেন মর্মে প্রতীয়মান হয়।

বিএফআইইউর প্রতিবেদন দুদককে পাঠানো হয়েছে। দুদকও এসব বিষয়ে কাজ করছে।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ