মুক্তিযুদ্ধের অস্ত্র বিক্রির প্রক্রিয়ায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে রিট
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ নভেম্বর ২০২০, ২১:০৪
মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র বিক্রির প্রক্রিয়ায় নিষেধাজ্ঞা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে।
রোবার (১৫ নভেম্বর) আইন ও সালিস কেন্দ্র (আসক) এবং জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেড আই খান পান্নার পক্ষে এ আবেদনটি করা হয়।
কার্যতালিকায় আসলে বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে বলে দেশ রূপান্তরকে জানান রিটকারী পক্ষের অন্যতম আইনজীবী শাহীনুজ্জামান শাহীন।
গত ৫ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে ‘মুক্তিযুদ্ধের অস্ত্র বেচতে চায় সরকার’ শীর্ষক প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে আবেদনটি করা হয়েছে। এতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ সচিব, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সচিব এবং বাণিজ্য সচিবকে বিবাদী করা হয়।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহৃত হয়েছে, এমন আগ্নেয়াস্ত্র সরকার বেচে দিতে চায়। সরকারের যুক্তি হচ্ছে এগুলো পুরোনো, অপ্রচলিত এবং যুদ্ধাস্ত্র হিসেবে অকার্যকর। ফলে রাখার কোনো দরকার নেই। প্রাচীন নিদর্শন বা স্মৃতিচিহ্ন (অ্যান্টিক সুভ্যেনির) হিসেবে অস্ত্রগুলো কিনে নিতে আগ্রহ দেখিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের দুটি ও সুইজারল্যান্ডের একটি অস্ত্র আমদানিকারক কোম্পানি। আট শ্রেণি মিলিয়ে অস্ত্রের মোট সংখ্যা ২৭ হাজার ৬৬২। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ১৪ হাজার ৪৫৪টি হচ্ছে ০.৩০৩ রাইফেল নম্বর-৪ এমকে-১। আর সবচেয়ে কম ১১৫টি হচ্ছে ৪৪ এমএম হ্যান্ড লঞ্চার এম-৫৭।
অ্যাডভোকেট শাহীন জানান, আবেদনে মুক্তিযুদ্ধের সময় ব্যবহার করা অস্ত্র বিক্রি/আগ্নেয়াস্ত্র স্থানান্তর কার্যক্রম কেন অবৈধ ও বেআইনি ঘোষণা করা হবে না, জাতীয় ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অবিলম্বে এসব অস্ত্র সংরক্ষণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না এবং এসব অস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর বা প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক কোনো সংগঠনের কাছে হস্তান্তরে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না- এ মর্মে রুলের আর্জি জানানোসহ রুল বিচারাধীন থাকাবস্থায় মুক্তিযুদ্ধে ব্যবহৃত অস্ত্র বিক্রি ও স্থানান্তরে নিষেধাজ্ঞা জারিসহ প্রয়োজনীয় নির্দেশনার আবেদন জানানো হয়েছে।
এবিএন/জনি/জসিম/জেডি
এই বিভাগের আরো সংবাদ