আজকের শিরোনাম :

হাসপাতাল থেকে ফের ডিবিতে শহিদুল আলম

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ আগস্ট ২০১৮, ১৫:৪২ | আপডেট : ০৮ আগস্ট ২০১৮, ১৫:৪৬

ঢাকা, ০৮ আগস্ট, এবিনিউজ : হাইকোর্টের আদেশে রিমান্ডে থাকা আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে আজ বুধবার সকালে চিকিৎসার জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নেয়া হয়। তবে ‘হাসপাতালে তার ভর্তির প্রয়োজন নেই’- এমনটি জানান সেখানকার চিকিৎসকরা। পরবর্তী সময় তাকে ফের গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়।

বিএসএমএমইউয়ের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আব্দুল্লাহ আল হারুন এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘আজ সকালে বিএসএমএমইউতে আসার পর তাকে কেবিনে নেয়া হয় এবং তাৎক্ষণিক ৪ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। এর পর তার কয়েকটি মেডিকেল টেস্ট করানো হয়। সব টেস্টের রিপোর্ট হাতে এসেছে। মেডিকেল টিম রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করে জানিয়েছেন যে, তিনি (শহিদুল আলম) ভর্তিযোগ্য নন। বোর্ড তাকে ডিসচার্জ করে দেন।

বুধবার দুপুর সোয়া ২টায় আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে ফের ডিবির কার্যালয়ে নেয়া হয়।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় ডিবি পুলিশ প্রহরায় বিএসএমএমইউয়ে কেবিন ব্লক ৫১২-তে শহিদুল আলমকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আনা হয়।

এর আগে মঙ্গলবার রমনা থানায় তথ্যপ্রযুক্তি আইনে করা মামলায় গ্রেফতার আলোকচিত্রী শহিদুল আলমকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে চিকিৎসার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে একটি বোর্ড গঠন করে আগামী বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) সকাল ১০টায় প্রতিবেদন দেওয়ার জন্যও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী বৃহস্পতিবার (৯ আগস্ট) দিন ধার্য করা হয়েছে।

এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (৭ আগস্ট) বিচারপতি সৈয়দ মোহাম্মদ দস্তগীর হোসেন ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

শহিদুল আলমের বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা থানায় আইসিটি অ্যাক্টে মামলা করা হয়েছে। মামলা নম্বর ৫।

ডিবি (উত্তর) পরিদর্শক মেহেদী হাসান বাদী হয়ে গত সোমবার (৬ আগস্ট) বিকালে রমনা থানায় মামলাটি করেন।

নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গত শনি ও রবিবার জিগাতলা এলাকায় সংঘর্ষের বিষয়ে কথা বলতে বেশ কয়েকবার ফেসবুক লাইভে আসেন তিনি। ওই আন্দোলনের বিষয়ে আল জাজিরাকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি সরকারের সমালোচনাও করেন।

এর পর রবিবার রাতে শহিদুলকে তার ধানম-ির বাসা থেকে আটক করে নিয়ে যায় গোয়েন্দা পুলিশ। সোমবার রমনা থানায় তার বিরুদ্ধে তথ্য-প্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা করে হাজির করা হয় ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে।

ওই মামলায় ‘কল্পনাপ্রসূত তথ্যের’ মাধ্যমে জনসাধারণের বিভিন্ন শ্রেণির মধ্যে ‘মিথ্যা প্রচার’ চালানো, উসকানিমূলক তথ্য উপস্থাপন, সরকারকে ‘প্রশ্নবিদ্ধ ও অকার্যকর’ হিসেবে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উপস্থাপন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ‘অবনতি ঘটিয়ে’ জনমনে ‘ভীতি ও সন্ত্রাস ছড়িয়ে’ দেয়ার ষড়যন্ত্র এবং তা বাস্তবায়নে ইলেকট্রনিক বিন্যাসে ‘অপপ্রচারের’ অভিযোগ আনা হয় আলোকচিত্রী শহিদুলের বিরুদ্ধে।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ