হলি আর্টিজান হামলা মামলার চার্জশিট গ্রহণ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৮ আগস্ট ২০১৮, ১৩:৪৪ | আপডেট : ০৮ আগস্ট ২০১৮, ১৪:০৯

ঢাকা, ০৮ আগস্ট, এবিনিউজ : রাজধানীর গুলশানে হলি আর্টিজান হামলা মামলায় ৮ আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করেছেন ট্রাইব্যুনাল। 

আজ বুধবার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচারক মজিবুর রহমান এ চার্জশিট গ্রহণ করেন।

এ ছাড়া পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

আদালতের বেঞ্চ সহকারী আতাউর রহমান এ বিষয়ে সাংবাদিকদের নিশ্চিত করে বলেন, আজ মামলার অভিযোগপত্র আমলে নেওয়ার ফলে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। ফলে হাসনাত করিম মুক্তি পেয়ে যাবেন। তার পক্ষে কোনো জামিন আবেদনের প্রয়োজন নেই।

এর আগে গত ২৩ জুলাই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কাউন্টার টেররিজম বিভাগের পরিদর্শক হুমায়ূন কবির মামলাটি সিএমএম আদালতে জিআর শাখায় চার্জশিটটি দাখিল করেন। গত ২৬ জুলাই সিএমএম আদালত মামলাটি  ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দেন। ৩০ জুলাই মামলাটির চার্জশিট গ্রহণ ও আসামিদের উপস্থিতির জন্য এ দিন ধার্য করেন। মঙ্গলবার (৭ আগস্ট) ঢাকা সিএমএম আদালত থেকে ওই ট্রাইব্যুনালে মামলার নথি পৌঁছায়।

অভিযোগপত্রে ২১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮ জন আসামি বিভিন্ন অভিযানে ও ৫ জন হলি আর্টিজানে অভিযানের সময় নিহত হয়েছে। এ ছাড়া জীবিত ৮ জনের মধ্যে ৬ জন কারাগারে ও বাকি ২ জন পলাতক।

অভিযানে নিহত ৫ জঙ্গি হলো- রোহান ইবনে ইমতিয়াজ, মীর সামেহ মোবাশ্বের, নিবরাস ইসলাম, শফিকুল ইসলাম ওরফে উজ্জ্বল ও খায়রুল ইসলাম ওরফে পায়েল।

এ ছাড়া বিভিন্ন ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযানে নিহত আটজন হলো- তামীম আহমেদ চৌধুরী, নুরুল ইসলাম মারজান, তানভীর কাদেরী, মেজর (অব.) জাহিদুল ইসলাম ওরফে মুরাদ, রায়হান কবির তারেক, সারোয়ান জাহান মানিক, বাশারুজ্জামান ওরফে চকলেট ও মিজানুর রহমান ওরফে ছোট মিজান।

কারাগারে থাকা ৬ আসামি হলো- জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগ্যান, রাশেদুল ইসলাম ওরফে র‌্যাশ, সোহেল মাহফুজ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান ও হাদিসুর রহমান সাগর।

এ ছাড়া পলাতক দুই আসামি হলো- শহীদুল ইসলাম খালেদ ও মামুনুর রশিদ রিপন। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা করেন আদালত।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ১ জুলাই রাত পৌনে ৯টার দিকে হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় বন্দুকধারীরা। হামলার পর রাতেই তারা ২০ জনকে হত্যা করে।

সে দিনই উদ্ধার অভিযানের সময় বন্দুকধারীদের বোমার আঘাতে নিহত হন পুলিশের দুই কর্মকর্তা। পরের দিন সকালে সেনা কমান্ডোদের অভিযানে নিহত হয় ৫ হামলাকারী। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরেকজনের মৃত্যু হয়।

জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস) এ হামলার দায় স্বীকার করে। সংগঠনটির মুখপত্র ‘আমাক’ হামলাকারীদের ছবি প্রকাশ করে বলে জানায় জঙ্গি তৎপরতা পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা ‘সাইট ইন্টেলিজেন্স’।

এ ঘটনায় গুলশান থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করে পুলিশ। মামলার পর নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে দুই দফা রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়।

এদিকে এ মামলায় কল্যাণপুরের জঙ্গি আস্তানা থেকে আটক রাকিবুল হাসান রিগ্যানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তিনি এ মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ