আজকের শিরোনাম :

‘নারীর অন্তর্ভুক্তি বিষয়ে প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো সংবেদনশীল হতে হবে’

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ মার্চ ২০২০, ১৫:৩০

ড. রুশিদান ইসলাম রহমান। সেন্টার ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড এমপ্লয়মেন্ট রিসার্চের (সিডিইআর) এক্সিকিউটিভ চেয়ারপারসন। গবেষণা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এখানে যোগ দেয়ার আগে তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে শিক্ষকতা করেছেন। তার প্রধান আগ্রহের বিষয় হচ্ছে শ্রমবাজার ও বেকারত্ব, শিক্ষার মান এবং দক্ষতা উন্নয়ন, দারিদ্র্য, এসডিজি বাস্তবায়ন, শিক্ষিত ও তরুণদের বেকারত্ব। বিভিন্ন পর্যায়ে তিনি নানা উপদেষ্টা কমিটির সদস্য হিসেবে অবদান রেখেছেন। তিনি ইংল্যান্ডের সাসেক্স ইউনিভার্সিটি থেকে উন্নয়ন অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর এবং অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণের বাস্তবতা, চ্যালেঞ্জ ও করণীয় বিষয়ে একটি জনপ্রিয় দৈনিকের সঙ্গে কথা বলেছেন। তা হুবহু তুলে ধরা হলো-

বাংলাদেশের শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণের সাম্প্রতিক প্রবণতা সম্পর্কে আপনার পর্যবেক্ষণ কী? গত কয়েক দশকে এ ধারায় কোনো মৌলিক পরিবর্তন এসেছে কি?

প্রথমে কিছু তথ্য দিয়ে শুরু করছি। ২০০০ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত কিছুটা উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণের হার ২৩ দশমিক ৯ থেকে বেড়ে হয়েছে ৩৬ দশমিক ৩ শতাংশ। ২০১০ থেকে ২০১৭ সময়ে শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণের হার ৩৬ শতাংশের আশপাশে স্থবির ছিল। তবু বলা যায় যে আগের শতকের শেষ দুই দশকের তুলনায় এটা বেশ বড় অগ্রগতি। ১৯৮০ ও ১৯৯০-এর দশকে তা ১৫ শতাংশ বা তার নিচে ছিল।

সাম্প্রতিক সময়ে জিডিপি প্রবৃদ্ধির দ্রুত ত্বরায়ণ হয়েছে এবং সেই সঙ্গে কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হারও বেড়েছে। সুতরাং এ চাহিদা মেটাতে নারীর শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের সুযোগ বেড়েছে। চাহিদা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রেখেছে তৈরি পোশাক শিল্প খাত। আর এসব সুযোগ যথাযথভাবে কাজে লাগিয়েছেন তরুণ নারীরা; তাতে শুধু যে তাদের শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ বেড়েছে তা নয়, আধুনিক শিল্প খাত ও সেবা খাতে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে। তরুণ নারী, যাদের একটি বড় অংশ অবিবাহিত, তাদের আধুনিক খাতে কর্মনিয়োজন এ শতকে অবশ্যই একটি নতুন ধারার সংযোজন।

গত শতকে ১৯৮০ ও ১৯৯০-এর দশকে শ্রমশক্তিতে নারীদের অধিকাংশই ছিলেন বিবাহিত। তারা মূলত দরিদ্র পরিবার থেকে আসতেন। তাদের কর্মক্ষেত্রও সীমিত ছিল কৃষি ও গৃহকর্মে সহায়তাকারী হিসেবে এবং অল্প কিছু শিক্ষা ও অন্য সেবা খাতে।

তাহলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে, এক দশক ধরে নারীর শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের হার স্থবির হয়ে আছে কেন?

এ স্থবিরতার কারণ অনুধাবনের জন্য প্রথমেই যা উল্লেখ করা প্রয়োজন তা হচ্ছে, এই সময়ে কিন্তু গ্রামাঞ্চলে এ হার বেড়েছে (২০১০ সালে ৩৬.৪% থেকে ২০১৭-তে ৩৮.৬% হয়েছে)। কিন্তু শহরাঞ্চলে এটা যথেষ্ট কমেছে (২০১০ সালে ৩৪.৫% থেকে ২০১৭-তে হয়েছে ৩১.০%)। শহরাঞ্চলে এ রকম হওয়াটা তো প্রত্যাশিত নয়। কারণ এখানে দৃষ্টিভঙ্গি গ্রামের তুলনায় উদার হওয়ার কথা। আধুনিক খাতগুলোর প্রসার হচ্ছে, নারীর শিক্ষা ক্ষেত্রে অগ্রগতি বেশি। শহরাঞ্চলে নারীর শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের হার কমার কারণটি চাহিদার দিক থেকে ঘটছে। আধুনিক শিল্প খাত, বিশেষত পোশাক শিল্পে নারী-পুরুষের অনুপাত কমেছে। এ খাতে মোট কর্মসংস্থান বাড়েনি। একই সময়ের তথ্য থেকে দেখা যায় যে শহরে নারীর আত্মকর্মসংস্থান অনেক কমেছে।

শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণে প্রতিবন্ধকতা কী কী?

এখানে আমি মজুরি বা বেতন ভিত্তিতে বাড়ির বাইরের কর্মক্ষেত্রে নিয়োজনের প্রতিবন্ধকগুলো সংক্ষেপে বলছি। চাহিদার দিক থেকে নিয়োগকারীদের একটি অংশ নারীর নিয়োগের বিষয়ে সমস্যাগুলোকে বড় করে দেখেন। অনেক ক্ষেত্রে কর্মস্থলে নারীর জন্য কিছু ব্যবস্থা রাখতে হয়, সেগুলো করতে আগ্রহী নন। আর যতক্ষণ যথেষ্ট পুরুষ কর্মী সহজেই পাওয়া যায়, নারীর নিয়োগপ্রাপ্তির সম্ভাবনা কম হয়। কাজেই মোট শ্রমের চাহিদার বৃদ্ধি শ্লথ হওয়াটাই সব প্রতিবন্ধকতার মূলে।

তবে সরবরাহের দিক থেকে অর্থাৎ নারীর নিজের বা পরিবারের দিক থেকেও সমস্যা থাকে। শুরুতেই বলতে হয় গৃহকর্ম ও শিশুযতেœর ভূমিকার কথা। আর এসব ক্ষেত্রে প্রাতিষ্ঠানিক সুযোগ-সুবিধা এখনো খুবই অপ্রতুল, নেই বললেই চলে।

অন্য যে বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ তা হচ্ছে পরিবারের দৃষ্টিভঙ্গি। পরিবারে পুরুষ উপার্জনকারীর আয় বেশি হলে (যেটা তার বয়স ও শিক্ষার স্তর উচ্চতর হওয়ার ফলে ঘটে) সেখানে নারীর উপার্জনকাজে যোগদান নিরুৎসাহিত করা হয়। নারীর উপার্জন কাজে যাওয়ার অধিকার এবং তার ক্ষমতায়নের বিষয়টি সমর্থন পায় না।

গ্রামাঞ্চলে স্বনিয়োজনে এবং বিশেষত কৃষি খাতে নারীর অংশগ্রহণ বৃদ্ধির পেছনে কোন বিষয়গুলো অনুঘটক হিসেবে কাজ করছে?

সংক্ষেপে দুটি বিষয় উল্লেখ করছি। যেসব শস্য চাষ শ্রমঘন, সেগুলোর প্রসার ঘটেছে। যার মধ্যে সবজি, শাক, মরিচ ইত্যাদি আছে। সেখানে নারী শ্রমিকের চাহিদা বাড়ছে। হাঁস-মুরগি ও পশুপালনে নারী শ্রমশক্তির অত্যাবশ্যক ভূমিকা রয়েছে, তা সেটা পারিবারিক শ্রমশক্তি হিসেবে হোক বা অন্য নিয়োগকারীর জন্য হোক। এসব উপখাত প্রসারের পেছনে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণ ও অন্যান্য উপকরণ (পরামর্শ, দক্ষতা বৃদ্ধিসহ) সরবরাহের ক্ষেত্রে সরকারি ও এনজিওগুলোর ভূমিকা রয়েছে।

তবে এখানে একটি বিষয় নিয়ে ভাবা উচিত। এসব কাজে শ্রমের উৎপাদনশীলতা কিন্তু কম, কায়িক পরিশ্রম বেশি। সেজন্যই পুরুষ শ্রমশক্তি অধিকতর উৎপাদনশীল ও বেশি আয়ের অকৃষি খাতে সরে গিয়ে নারী শ্রমশক্তিকে জায়গা করে দিচ্ছে।

দেশের উদ্যোক্তাদের মধ্যে নারীর অংশ এত কম (মাত্র ১০%) কেন?

উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য যেসব উপকরণ প্রয়োজন, যে দক্ষতা প্রয়োজন, যে সামাজিক সমর্থন থাকতে হয়, তা নারীর হাতে এত অপ্রতুল যে ১০ শতাংশ উদ্যোক্তা যে নারী, সেটা এক বড় মাপের অগ্রগতি। আমার মতে, জমির ওপর নিজস্ব অধিকার খুব কম নারীর রয়েছে। পুঁজির জন্য প্রয়োজন নিজস্ব সঞ্চয়, ব্যাংকঋণ; যার পেছনে থাকতে হয় পরিবারের পুরুষ সদস্যের সমর্থন, সেটা কাগজপত্রে স্বাক্ষর দিয়ে হোক বা মৌখিকভাবে হোক। উদ্যোক্তা নারীকে সমাজের নানা স্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়। এ সবকিছুর জন্য শুধু কারিগরি দক্ষতা নয়, দরকার সামাজিক লেনদেনের চারু দক্ষতা। সর্বোপরি যেকোনো ধরনের উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য, দক্ষতা বাড়ানোর জন্যই শিক্ষা—অন্তত এসএসসি পর্যন্ত (উচ্চশিক্ষিত হলে আরো ভালো)—থাকা দরকার, দেশে নারীর স্কুলে ভর্তির হার দ্রুত বেড়েছে, এটা সাফল্য। তবে স্কুলশিক্ষা সমাপ্ত করা এবং দক্ষতা বৃদ্ধি সামনের দিনের উদ্যোক্তাদের (এমনকি কর্মনিয়োজনের) জন্য প্রয়োজন।

আর্থিক খাতে নারীর অন্তর্ভুক্তি কেমন?

উদ্যোক্তা হিসেবে হোক বা ভোক্তা হিসেবে, আর্থিক লেনদেন বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অন্তর্ভুক্তি আধুনিক যুগে অত্যাবশ্যক। কিন্তু নারীর হাতে অর্থের পরিমাণ থাকে কম, সংগত কারণেই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের উৎসাহের অভাব থাকে তাদের জন্য ব্যাংক হিসাব খোলার বিষয়ে। ছোট সঞ্চয় জমা নেয়া, সামান্য অর্থ উত্তোলন, এসবে প্রতিষ্ঠানের ব্যয় বাড়ে। প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরো সংবেদনশীল হতে হবে নারীর অন্তর্ভুক্তি বিষয়ে। এসব বিষয়ে তথ্য ও জ্ঞান বাড়ানোর জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে।

শিক্ষার সঙ্গে কি শ্রমবাজারে নারীর অবস্থানের সম্পর্ক আছে? নারীশিক্ষার হার তো বেড়েছে, তাহলে সেই সঙ্গে শ্রমশক্তি হিসেবে তাদের অবস্থান উন্নত হচ্ছে কি?

গবেষণায় দেখা গেছে যে উচ্চশিক্ষিত নারীর শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণের হার বেশি। শিক্ষার ইতিবাচক প্রভাব রয়েছে মজুরি ও উপার্জনের ওপর। অশিক্ষিতদের তুলনায় শিক্ষিত নারীর অংশ আধুনিক খাতে বেশি এবং শিক্ষিতরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আনুষ্ঠানিক চুক্তিতে কর্মসংস্থান পেয়ে থাকেন।

সেই সঙ্গে উল্লেখ করব যে ২০১০ থেকে ২০১৭-তে শ্রমশক্তিতে গুণগত পরিবর্তন এসেছে শিক্ষাগত যোগ্যতার দিক দিয়ে। নারী শ্রমশক্তিতে অশিক্ষিতের অংশ ৪০ দশমিক ৬ থেকে কমে ৩৬ দশমিক ৪ শতাংশ হয়েছে। অবশ্য পুরুষ শ্রমশক্তিতে উন্নয়নের ধারা আরো জোরালো। অশিক্ষিতের অংশ ৩৯ দশমিক ৯ থেকে ২৯ দশমিক ৮ শতাংশে নেমেছে। নারী-পুরুষ উভয়ের ক্ষেত্রেই উচ্চশিক্ষিতের অংশ বেড়েছে, যদিও বৃদ্ধির পরিমাণ পুরুষের শ্রমশক্তিতে বেশি।

চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের ধাক্কায় চাকরি হারানোর ক্ষেত্রে কি অধিক ঝুঁকিতে নারী শ্রমজীবীরা?

আসলে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে চাকরি একদিকে কমবে, কিন্তু অন্যদিকে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। কম দক্ষতা ও যান্ত্রিকভাবে বারবার যেসব কাজ করা হয়, সেগুলো নতুন প্রযুক্তিসম্পন্ন যন্ত্রপাতি দিয়ে করে ফেলা সম্ভব হবে। সেসব কর্মসুযোগ অধিকাংশই অবলুপ্ত হবে। নারীর জন্য এ ঝুঁকি বেশি প্রযোজ্য যে তাদের বড় অংশ এই ধরনের কাজে রয়েছে।

তবে নারীর শিক্ষা ও দক্ষতা বাড়ানো সম্ভব হলে নতুন কার্যসম্পাদনের জন্য অধিকতর উৎপাদনশীল ও আয়ের সুযোগসম্পন্ন কাজ তারা পাবেন এবং করতে উদ্যোগী হবেন বলে আমার বিশ্বাস। এসব পরিবর্তন এ দেশে চালু হতে পাঁচ থেকে দশ বছর লাগতে পারে। এ বছরগুলো কাজে লাগাতে হবে বিকল্প দক্ষ চাকরির জন্য এ দেশের তরুণী (এবং তরুণ) প্রজন্মকে প্রস্তুত করতে। গত দু-তিন দশকের অভিজ্ঞতা থেকে দেখা গেছে যে নারী শ্রমশক্তি প্রযুক্তিবিমুখ নয়।

শ্রমবাজারে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে এবং তাদের অবস্থানের উন্নয়নে সরকার ও বেসরকারি খাতের করণীয় কী?

প্রথমত, সরকারের সামষ্টিক খাতের নীতিমালা নারীর কর্মসংস্থান বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদের শ্রমশক্তিতে অংশগ্রহণ বাড়াতে পারে এবং শ্রমবাজারে তাদের অবস্থান উন্নততর করতে পারে। কী ধরনের নীতির মাধ্যমে এটা হতে পারে? সরকারের সহায়তা ও সমর্থন, ঋণ ও সুদের হারবিষয়ক নীতি, অন্যান্য ধরনের প্রণোদনায় যেতে হবে সেসব খাতে, যেখানে নারীর অংশগ্রহণ বর্তমানে বেশি এবং আরো বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এসব বিষয়ে বেসরকারি খাতেরও সহযোগিতা আবশ্যক। নিয়োগ দেয়া এবং বেতন, মজুরি, অন্যান্য সুবিধাদির ক্ষেত্রে শ্রম আইনে নারীর জন্য যেসব ধারা আছে, সেগুলো আনুষ্ঠানিক খাতের উদ্যোক্তারা যথাযথ পালন করলে শ্রমিক-মালিক উভয়ের জন্যই মঙ্গলকর হবে।

কৃষি ও অন্যান্য স্বনিয়োজনের ক্ষেত্রে সরকার এবং বিভিন্ন এনজিও নারীর আধুনিক প্রযুক্তিতে পৌঁছানোতে সহায়তা দিলে উৎপাদনশীলতা বাড়ানো সম্ভব হবে।

শ্রমশক্তিতে নারীর অংশগ্রহণের ক্ষেত্রে যেসব বিষয় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে, সেগুলো কাটিয়ে ওঠার জন্য পদক্ষেপ নিতে হবে। গড়ে তুলতে হবে অনুকূল পরিবেশ ও শিশুযত্ন কেন্দ্র। পরিবার ও সমাজের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনের ক্ষেত্রে শুধু সরকার নয়, সব ধরনের প্রতিষ্ঠান ও সচেতন জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে আসতে হবে। (দৈনিক বণিক বার্তা থেকে নেয়া)

এবিএন/সাদিক/জসিম 

এই বিভাগের আরো সংবাদ