আজকের শিরোনাম :

‘মানবাধিকার কমিশন অসীম ক্ষমতাধর নয়’

  দেবব্রত চক্রবর্তী বিষুষ্ণ ও সাইফুল ইসলাম

১০ ডিসেম্বর ২০১৯, ১১:০৬ | আপডেট : ১০ ডিসেম্বর ২০১৯, ১১:১১ | অনলাইন সংস্করণ

গত সেপ্টেম্বরে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নিযুক্ত হয়েছেন নাছিমা বেগম, এনডিসি। এর আগে তিনি নারী ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৩ সালে সহকারী কমিশনার ও ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে কর্মজীবন শুরু করে তিনি পরে যুগ্ম সচিব, সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ছিলেন। নাছিমা বেগম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে তিনি জাতীয় একটি দৈনিকের সঙ্গে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সাক্ষাৎকারটি হুবহু নিচে দেওয়া হলো:

প্রশ্ন : বর্তমানে বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি কেমন?

নাছিমা বেগম :আমাদের সংবিধানে মানবাধিকারের মৌলিক গুরুত্বের বিষয়গুলো স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা রয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মানবাধিকার রক্ষায় সারাজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম হয়েছে মানবাধিকারের সূত্র ধরে। আমাদের সংবিধানের প্রস্তাবনার মূলনীতিতে মানবাধিকার সুরক্ষার কথা বলা হয়েছে। জাতিসংঘের ঘোষণাপত্রে যে ৩০টি অনুচ্ছেদ রয়েছে, তা আমাদের সংবিধান দ্বারা সমর্থিত। প্রতিবন্ধী অধিকার সংরক্ষণ আইন, শিশু অধিকার সনদ, নারীর প্রতি বৈষম্য বিলোপ সনদসহ আটটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সনদে বাংলাদেশ স্বাক্ষর করেছে। তারপরও নারীর প্রতি সহিংসতা, নারী নির্যাতন, শিশু নির্যাতনসহ অন্যান্য মানবাধিকার লঙ্ঘনের যেসব ঘটনা ঘটছে, তাও অস্বীকার করার উপায় নেই। এ ক্ষেত্রে কোথাও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটলে কমিশন সেখানে সোচ্চার ভূমিকা পালন করে থাকে। সম্প্রতি আমরা জাহালমকে বিচারবহির্ভূতভাবে বেশ কিছুদিন কারাভোগ করতে দেখেছি। বিষয়টি জানার পর মানবাধিকার কমিশন ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং জাহালম জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। কিছুদিন আগে রাজশাহীতে কলেজছাত্রী লিজা রহমান থানার সামনে গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। তিনি এটা কেন করলেন, তা খতিয়ে দেখার জন্য মানবাধিকার কমিশন একটি কমিটি গঠন করেছে।

প্রশ্ন : জনগণের এই প্রত্যাশা পূরণে কমিশনের সফলতা কতটুকু?

নাছিমা বেগম :আমি স্পষ্টভাবে বলতে চাই, এসব জায়গায় অনেক ত্রুটি-বিচ্যুতি রয়ে গেছে। এসব ক্ষেত্রে আমাদের আরও অনেক কাজ করতে হবে। মানুষকে জাগিয়ে তুলতে হবে, মানবতা জাগ্রত করতে হবে। ধর্ষণসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের যেসব ঘটনা ঘটে, সেগুলো বিকৃত মানসিকতার বহিঃপ্রকাশ। আমাদের এসব বিষয়ে চিন্তা করতে হবে। ধর্ষণ বাড়ছে, মামলাও হচ্ছে। আগে ধর্ষণের মামলাও খুব বেশি হতো না। এ ক্ষেত্রে পরিবর্তন এসেছে। মানুষকে আমরা সাহস দিতে পারছি। একসময় মেয়ের বিয়ে হবে না ভেবে পরিবার থেকে ধর্ষণের ঘটনা গোপন করা হতো; স্বামী তালাক দিয়ে দিত। কিন্তু এখন ভুক্তভোগী স্বামীও মামলা দিচ্ছেন। টাঙ্গাইলে কিছুদিন আগে আমরা এটা দেখেছি। এটা একটা বড় পরিবর্তন। এ ক্ষেত্রে আমরা অন্তত মানুষকে সচেতন করতে পেরেছি যে, ভুক্তভোগীর কোনো দোষ নেই। সে পরিস্থিতির শিকার। আমাদের সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি মানুষের মধ্যে মূল্যবোধ ও মানবিকতা তৈরি করতে হবে।

প্রশ্ন : বাংলাদেশের সংবিধান এ কমিশনকে মানবাধিকার লঙ্ঘন সংক্রান্ত যে কোনো অভিযোগ তদন্ত করা, এমনকি স্বপ্রণোদিত হয়ে অভিযোগ গ্রহণ ও তদন্ত করার ক্ষমতা প্রদান করেছে। আপনারা কি সেটা করেন?

নাছিমা বেগম :মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলো কমিশন গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত ও নিষ্পত্তির ব্যবস্থা করছে। প্রতিষ্ঠার পর গত এক দশকে মোট ৫ হাজার ৭৭০টি অভিযোগের তদন্ত করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। এর মধ্যে ৫ হাজার ১৮৯টি অভিযোগের নিষ্পত্তি করা হয়েছে। আরও কিছু অভিযোগ নিষ্পত্তির পথে।

প্রশ্ন : কাজ করতে গিয়ে কমিশন কোনো প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হচ্ছে?

নাছিমা বেগম :আমি গৌরবের সঙ্গে বলতে চাই, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন একটি স্বাধীন ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ করার ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতার শিকার হচ্ছে না। মহামান্য রাষ্ট্রপতি, স্পিকার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, সমাজকল্যাণমন্ত্রীসহ যারা মানবাধিকার ইস্যুতে সম্পৃক্ত তাদের সঙ্গে আমরা মতবিনিময় করেছি। যেসব বিষয়ে তাদের সঙ্গে আলোচনা করা দরকার তা করেছি। প্রত্যেকেই ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। তারা প্রত্যেকেই আমাদের স্বাধীনভাবে কাজ করার বিষয়ে স্পষ্ট অভিমত দিয়েছেন। কমিশনের কাজে কেউ হস্তক্ষেপ করছেন না। কমিশনকে কিছু চাপিয়ে দেওয়া বা মুখ বন্ধ করে রাখার মতো কোনো ঘটনাও ঘটেনি। কমিশন যে কাজগুলো পর্যবেক্ষণ করে থাকে, সেখানে কোনো অনিয়ম হলে তা অবশ্যই কঠোরভাবে দমন করা হবে। আবরার ও নুসরাত হত্যাকাণ্ডে দলমত নির্বিশেষে দায়ী সবার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নুসরাত হত্যার আসামিদের ফাঁসির রায় হয়েছে। কাউকে ছাড় দেওয়া হয়নি। আমরা এ ক্ষেত্রে কোনো পক্ষপাতিত্ব দেখলে অবশ্যই কথা বলতাম।

প্রশ্ন : মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নয়নে কমিশন সরকারকে বিভিন্ন সুপারিশ করার ক্ষমতা রাখে। গত ১০ বছরে কমিশন এ ক্ষমতার কতটুকু প্রয়োগ করেছে?

নাছিমা বেগম :আমরা পরিচয়হীন কিছু শিশু দেখতে পাই। অনেক শিশুকে পরিত্যক্ত জায়গা, ডাস্টবিন বা হাসপাতালে ফেলে রাখা হচ্ছে। এদের কোনো পরিচয় নেই। তারা শিশু পরিবার বা নিবাসে বড় হয়। সেখানে থেকে পড়ালেখা করে বিভিন্ন পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নেয়। সে ক্ষেত্রে তাদের বাবা-মার পরিচয় কী হবে? আমরা এই শিশুদের বিশেষ পরিচয় প্রদানের জন্য সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়কে মৌখিকভাবে সুপারিশ করেছি। তারা কেন পরিচয়হীন থাকবে? বর্তমান কমিশন সম্প্রতি ঘটে যাওয়া সিলিন্ডার বিস্ম্ফোরণ, আবরার হত্যাকাণ্ডসহ বেশ কিছু বিষয়ে সরকারের কাছে সুপারিশ প্রস্তাব করেছে। বেশ কিছু সুপারিশ বাস্তবায়ন হয়েছে। কিছু সুপারিশ প্রক্রিয়াধীন। কমিশনের সুপারিশ সরকার বরাবরই ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করেছে। তবে সময় স্বল্পতার কারণে এর সঠিক পরিসংখ্যান এখনই দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।

প্রশ্ন : মিরপুরের গৃহকর্মী খাদিজার ঘটনায় গত ১১ নভেম্বর উচ্চ আদালত কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

নাছিমা বেগম :বিষয়টি অনেক পুরোনো। প্রথম কমিশনের সময়ের ঘটনা। এ বিষয়ে আদালতের আদেশটি এখন পর্যন্ত আমাদের হাতে আসেনি। কমিশনের একজন অনারারি সদস্যের মাধ্যমে বিষয়টি খোঁজ নিয়েছি। আমরা রায়ের জন্য অপেক্ষা করছি। রায় আসার পর আদালতের নির্দেশনার আলোকে আমরা কাজ করব।

প্রশ্ন : দেশে বেশ কিছু গুম, খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। মানবাধিকার কমিশন কি এগুলোর তদন্ত করছে?

নাছিমা বেগম :গুম-খুনের ঘটনা কমিশন তদন্ত করবে, বিষয়টি এমন নয়। কমিশনের এ রকম সক্ষমতাও নেই। গুম-খুনের ঘটনা তদন্তে একটি সুনির্দিষ্ট বিভাগ রয়েছে। গুম-খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা যাতে না ঘটে, সে জন্য ইতোপূর্বে কমিশনের পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে কিছু দিকনির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যাতে সুনির্দিষ্ট অভিযোগগুলো তদন্তসাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করে কমিশনকে অবহিত করে, সে জন্য বিগত কমিশনের দেওয়া দিকনির্দেশনায় আরও কিছু বিষয় সংযোজন করে পুনরায় মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে বর্তমান কমিশন। কোনো আসামিকে যদি তদন্তের জন্য নিয়ে যেতে হয়, সে ক্ষেত্রেও যথাযথ সতর্কতা অবলম্বন করার কথা বলা হয়েছে।

প্রশ্ন : গৃহপরিচারিকাদের ওপর নির্যাতনের ঘটনা ঘটছে। এসব বিষয়ে কমিশন কোনো উদ্যোগ নিয়েছে কি?

নাছিমা বেগম :এসব ঘটনায় সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এলে আমরা বিবেচনা করে দেখি বিষয়টি কোন পর্যায়ে নিষ্পত্তিযোগ্য। এ ক্ষেত্রে কমিশন আন্তঃব্যক্তিক বিচারে যায় না। এ জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আছে। সেখানে বিচার না হলেই কেবল কমিশন এগিয়ে যাবে। সব কাজে কমিশন যাবে না। বিচার না পেয়ে কেউ কমিশনে এলে সে ক্ষেত্রে কমিশন তার পক্ষে রিটও করতে পারবে। আমরা প্রধান বিচারপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। এ ধরনের কোনো বিষয় নিয়ে আদালতে গেলে তিনি (প্রধান বিচারপতি) যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আমাদের আশ্বস্ত করেছেন।

প্রশ্ন : অভিযোগ রয়েছে, কমিশন মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো স্বল্প সংখ্যক ঘটনা আমলে নেয়; অধিকাংশ ঘটনারই খোঁজ রাখে না।

নাছিমা বেগম :জাতীয় মানবাধিকার কমিশন অসীম ক্ষমতাধর কোনো প্রতিষ্ঠান নয়। কমিশনের বয়সও খুব বেশি নয়। সে ক্ষেত্রে আমাদের নজরে আসা ঘটনাগুলোর মধ্যে যেগুলো আমলে নেওয়ার যোগ্য, সেগুলোকে গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করি। কিছু অভিযোগ আমরা সংবাদমাধ্যম থেকে গ্রহণ করি, কিছু অভিযোগ দায়ের হয়। লিজা ও সিলিন্ডার বিস্ম্ফোরণের ঘটনা আমরা সংবাদমাধ্যম থেকে নিয়েছি। কমিশন অভিযোগ গ্রহণ করে বসে থাকছে না। ঘটনাস্থল পরিদর্শনপূর্বক তদন্ত করছে।

প্রশ্ন : সাংবিধানিকভাবে কমিশন স্বাধীন ও বিস্তৃত। কিন্তু এর কর্মতৎপরতা, জনবল কাঠামো ও কর্মপরিসর সংকীর্ণ। এর পরিধি বৃদ্ধিতে কমিশন কী করছে?

নাছিমা বেগম :আমাদের স্বল্প জনবল কাঠামোর মধ্যেই বেশি কাজ করার জন্য ই-ফাইলিং প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। আমরা ই-নথি ব্যবস্থাপনায় আসতে পারলে দ্রুত কাজ করা যাবে। এর পাশাপাশি অনলাইন অভিযোগ ব্যবস্থাপনার বিষয়টি আমাদের চিন্তায় রয়েছে। এটা করা গেলে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে জনবল নেওয়ার দরকার হবে না। যে জনবল আছে, তা দিয়েই প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে অধিক কাজ সম্পাদনে কমিশন তৎপর থাকবে। এর পাশাপাশি কমিশনের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য একটি প্রকল্পের আওতায় কিছু দক্ষ ও অভিজ্ঞ জনবল নিয়োগের চিন্তা রয়েছে; যারা মানুষের বিভিন্ন অভিযোগ বিষয়ে পরামর্শ দিতে পারবেন। আমাদের একটি স্বতন্ত্র কার্যালয় দরকার। আমরা ইতোমধ্যে সরকারের কাছে বিষয়টি উপস্থাপন করেছি। সংশ্নিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়েছে, আমরা যে বাজেট চাইব, সরকার তা-ই দেবে।

প্রশ্ন : আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের সঙ্গে দেশীয় আইনের সামঞ্জস্যতা রাখার ক্ষেত্রে কমিশন কী করেছে?

নাছিমা বেগম :এ বিষয়ে একটি ভ্রান্তি আছে। সবাই মনে করে, আমাদের অধিকার নেই; বিশেষ করে ১৮ ধারা নিয়ে। বলা হয়, কমিশন পুলিশের বিরুদ্ধে সুপারিশ করতে বা তদন্ত করতে পারে না। এটা ঠিক না। কমিশন চাইলেই তদন্ত করতে পারে। আমরা তো স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে দিকনির্দেশনা পাঠিয়েছি। সরকার বা পুলিশ তো আমাদের না করেনি বা নিন্দা জ্ঞাপন করেনি। কমিশন পারে। কমিশনের ক্ষমতা নেই- এটা আমি মনে করি না। কাজ না করলে কেউ বুঝতে পারবে না যে আইনের কোন কোন জায়গায় সংশোধন আনা দরকার। আমি রাতারাতি আইন সংশোধন না করে এক বছর কাজ করলে বুঝতে পারব কোন জায়গায় সংশোধন দরকার। এখনই সংশোধন না করে যতটুকু ক্ষমতা সংবিধান কমিশনকে দিয়েছে তা-ই প্রয়োগ করে দেখি না পরিস্থিতি কী দাঁড়ায়।

প্রশ্ন : বাংলাদেশে মানবাধিকার ইস্যুতে আপনার প্রত্যাশা কী?

নাছিমা বেগম :আমার প্রত্যাশা হলো- রাষ্ট্র হবে উন্নত, সমৃদ্ধ ও মানবিক রাষ্ট্র। আইনের শাসন, ন্যায়বিচার পাওয়ার জনপ্রত্যাশার পূর্ণতা পাবে।

প্রশ্ন : আমাদের সময় দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

নাছিমা বেগম : আপনাদের জন্য শুভেচ্ছা।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ