‘কেবল বিজেপি কেন? তৃণমূল থেকেও তো প্রস্তাব আসতে পারে’
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৪ মে ২০১৯, ১৮:১৭
বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে পঞ্চম বার সাংসদ নির্বাচিত হয়ে পশ্চিমবঙ্গের দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকার মুখোমুখি অধীররঞ্জন চৌধুরী।
প্রশ্ন: তাহলে কি আপনিই সিরাজ?
অধীর: মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসকে খতম করতে কলকাতার নবান্ন থেকে আক্রমণ শানানো হয়েছিল। সেই আক্রমণ প্রতিহত করতে মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসের সেনাপতি হিসাবে আমাকেও লড়তে হয়েছে। আমিই এখনকার সিরাজ।
প্রশ্ন: মীরজাফর কাকে বলবেন?
অধীর: এ বারে ভোটে একা কোনও মীরজাফর নেই, তবে কংগ্রেসের ‘হাত’ প্রতীকে জিতে অনেক জগৎ শেঠ, উমিচাঁদ, রায় দুর্লভ, ঘসেটি বেগম বেইমানের মতো ‘ঘাসফুল’ শুঁকছেন!
প্রশ্ন: গুরুমারা বিদ্যে কি অপূর্ব সরকারকে শেখাননি? অধীর: এই কেন্দ্রের তৃণমূলের প্রার্থী উপলক্ষ মাত্র। তাঁর বিরুদ্ধে আমার লড়াই নয়। লড়তে হয়েছে নবান্ন, নবান্নের মুখ্যমন্ত্রী, তাঁর দলের বিরুদ্ধে। প্রশ্ন: আপনি থাকতে জঙ্গিপুর ও মুর্শিদাবাদে এই ফল কেন? অধীর: মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসকে শেষ করে দেওয়ার জন্য ২০১৬ সাল থেকে তীব্র প্রলোভন ও পুলিশ-প্রশাসনকে হাতিয়ার করে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েতে ভোট লুট করেছেন। প্রলোভন ও পুলিশ-প্রশাসনের ‘পানি কেস’ (মাদক আইন)-এর ভয়ে এ জেলার তিনটি আসনে হাজারেরও বেশি বুথে আমরা এজেন্টই দিতে পারিনি। সেই সব বুথে নিঃশব্দে ছাপ্পা দিয়েছে তৃণমূল। এ কারণে জঙ্গিপুর ও মুর্শিদাবাদে আমাদের পরাজয়। তা ছাড়া জঙ্গিপুরের বিদায়ী সাংসদের ব্যক্তিগত ভূমিকাও পরাজয়ের একটি বড় কারণ। প্রশ্ন: দিল্লিতে কংগ্রেস প্রায় নেই হয়ে গেল। এ রাজ্যের হাল আপনি জানেন। সেখানে বিজেপি আপনাকে প্রস্তাব দিলে যোগ দেবেন? অধীর: কেবল বিজেপি কেন? তৃণমূল থেকেও তো প্রস্তাব আসতে পারে? তৃণমূলনেত্রীর সঙ্গে আমার তো কোনও ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই! প্রশ্ন: তা হলে আপনার গড়ে বিজেপি-র উত্থান মানছেন? অধীর: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অপরিণামদর্শী রাজনৈতিক পদক্ষেপ বিজেপিকে এ রাজ্য লাল কার্পেট বিছিয়ে ডেকে এনেছে।
প্রশ্ন: কংগ্রেসের সঙ্গে বামেদের সখ্য হয়েছিল দিল্লিতে। এ রাজ্যে বামেদের একটাও আসন না পাওয়াটা কি বিজেপি’র উত্থানের ফলেই? অধীর: অবশ্যই। প্রশ্ন: এই ফল দেখে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ভবিষ্যত কী মনে হচ্ছে? অধীর: ‘ঘুঁটে পুড়ে গোবর হাসে!’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের দখলদারি রাজনীতিতে কংগ্রেস ও বামেরা প্রায় নিশ্চিহ্ন। তাঁর দেখানো পথ ধরেই এ বার বিজেপি-র দখলদারি রাজনীতি দেখবে রাজ্য। তখন মমতার মতো রাজনৈতিক ‘ঘুঁটে’ পুড়বে, আর অন্য ‘গোবর’ হাসবে। সেই দিন সমাগত।
এবিএন/জনি/জসিম/জেডি
প্রশ্ন: গুরুমারা বিদ্যে কি অপূর্ব সরকারকে শেখাননি? অধীর: এই কেন্দ্রের তৃণমূলের প্রার্থী উপলক্ষ মাত্র। তাঁর বিরুদ্ধে আমার লড়াই নয়। লড়তে হয়েছে নবান্ন, নবান্নের মুখ্যমন্ত্রী, তাঁর দলের বিরুদ্ধে। প্রশ্ন: আপনি থাকতে জঙ্গিপুর ও মুর্শিদাবাদে এই ফল কেন? অধীর: মুর্শিদাবাদ জেলা কংগ্রেসকে শেষ করে দেওয়ার জন্য ২০১৬ সাল থেকে তীব্র প্রলোভন ও পুলিশ-প্রশাসনকে হাতিয়ার করে ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পঞ্চায়েতে ভোট লুট করেছেন। প্রলোভন ও পুলিশ-প্রশাসনের ‘পানি কেস’ (মাদক আইন)-এর ভয়ে এ জেলার তিনটি আসনে হাজারেরও বেশি বুথে আমরা এজেন্টই দিতে পারিনি। সেই সব বুথে নিঃশব্দে ছাপ্পা দিয়েছে তৃণমূল। এ কারণে জঙ্গিপুর ও মুর্শিদাবাদে আমাদের পরাজয়। তা ছাড়া জঙ্গিপুরের বিদায়ী সাংসদের ব্যক্তিগত ভূমিকাও পরাজয়ের একটি বড় কারণ। প্রশ্ন: দিল্লিতে কংগ্রেস প্রায় নেই হয়ে গেল। এ রাজ্যের হাল আপনি জানেন। সেখানে বিজেপি আপনাকে প্রস্তাব দিলে যোগ দেবেন? অধীর: কেবল বিজেপি কেন? তৃণমূল থেকেও তো প্রস্তাব আসতে পারে? তৃণমূলনেত্রীর সঙ্গে আমার তো কোনও ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই! প্রশ্ন: তা হলে আপনার গড়ে বিজেপি-র উত্থান মানছেন? অধীর: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অপরিণামদর্শী রাজনৈতিক পদক্ষেপ বিজেপিকে এ রাজ্য লাল কার্পেট বিছিয়ে ডেকে এনেছে।
প্রশ্ন: কংগ্রেসের সঙ্গে বামেদের সখ্য হয়েছিল দিল্লিতে। এ রাজ্যে বামেদের একটাও আসন না পাওয়াটা কি বিজেপি’র উত্থানের ফলেই? অধীর: অবশ্যই। প্রশ্ন: এই ফল দেখে পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক ভবিষ্যত কী মনে হচ্ছে? অধীর: ‘ঘুঁটে পুড়ে গোবর হাসে!’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়ের দখলদারি রাজনীতিতে কংগ্রেস ও বামেরা প্রায় নিশ্চিহ্ন। তাঁর দেখানো পথ ধরেই এ বার বিজেপি-র দখলদারি রাজনীতি দেখবে রাজ্য। তখন মমতার মতো রাজনৈতিক ‘ঘুঁটে’ পুড়বে, আর অন্য ‘গোবর’ হাসবে। সেই দিন সমাগত।
এবিএন/জনি/জসিম/জেডি
এই বিভাগের আরো সংবাদ