আজকের শিরোনাম :

‘কোনো প্রকল্প ফেরত যাবে না’

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ মে ২০১৯, ১৩:১৫

সরকারের গত মেয়াদে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা এমএ মান্নান এ মেয়াদে পালন করছেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব। দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় কী করেছে, প্রকল্প বাস্তবায়নে কতটুকু অগ্রগতি হয়েছে, মেগা প্রকল্প কত দ্রুত বাস্তবায়ন হবে, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধিসহ নানা বিষয়ে জনপ্রিয় একটি দৈনিকের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি। তা হুবহু তুলে ধরা হলো-

১০০ দিনে কোন কাজগুলোকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিয়েছেন?

কয়েকটি কাজ সামনে রেখে আমার কার্যক্রমগুলো পরিচালনা করেছি। আগে প্রতিমন্ত্রী থাকার কারণে এ মন্ত্রণালয় সম্পর্কে আমি কিছুটা জানতাম। কিন্তু গভীরভাবে জানতাম না। এ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমগুলোকে গভীরভাবে জানার চেষ্টা করেছি। এ মন্ত্রণালয় সম্পর্কে বোঝা, জানা ও জ্ঞানার্জন করাই ছিল আমার অন্যতম কাজ। সেজন্য আমি এখানকার জানাশোনা সবার সঙ্গে আলাপ করেছি। তাদের সঙ্গে আলাপের মধ্য দিয়ে যেমন জেনেছি, তেমনি আমি কী চাই তাও বলেছি। তাদের বলেছি, আমার চাওয়া একটাই—টিম হিসেবে কাজ করতে হবে। কাজে গতি আনতে হবে, তবে অবশ্যই কাজের মান ঠিক রেখে। এছাড়া দুটি কাজকে বিশেষ প্রাধান্য দিয়েছি। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের দুটি সংস্থা, বিশেষ করে বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) ও বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে (বিবিএস) শক্তিশালী করতে বেশকিছু উদ্যোগ নিয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর যে রাজনৈতিক লক্ষ্য, যেমন মানুষের উন্নত জীবনমান নিশ্চিত করা, দারিদ্র্য নিরসন, গ্রাম ও শহরের মধ্যকার ব্যবধান কমিয়ে আনাসহ সব ধরনের কার্যক্রমকে এগিয়ে নেয়া। এ দুটি প্রতিষ্ঠানকে শক্তিশালী না করলে এ অর্জন সম্ভব নয়। আমাদের দেশের উন্নয়নের যে বিশাল কর্মযজ্ঞ চলমান রয়েছে, তা এগিয়ে নিতে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সবাই মিলে একটি টিম হিসেবে কাজ করতে হবে। এটি ধরে রাখতে ও গতিশীল করতে সামনের দিনে নতুন নতুন কৌশল থাকবে।

বিবিএস কি গুরুত্বহীনই থাকবে?

বিবিএস তার সীমাবদ্ধতার মধ্যেও সর্বোচ্চটা দিয়ে যাচ্ছে। আমরা তাদের চাওয়াগুলোকে হয়তো গুরুত্ব দিচ্ছি না। এখন দিতে হবে। আমাদের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বাড়ছে। সামনের দিনে তা আরো বেগবান হবে, গতিময় হবে। এ গতি ধরে রাখতে কিংবা আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আমাদের সঠিক, কার্যকর ও সময়মতো তথ্য দরকার হবে। সেটি দিতে না পারলে আমরা নীতি গ্রহণ করতে পারব না। প্রতিনিয়ত এর গুরুত্ব বাড়ছে। সামনের দিনে আরো বাড়বে। কারণ আমাদের অর্থনীতি বড় হচ্ছে। পরিকল্পনা করা, বাস্তবায়ন করা, তদারক করার প্রধান উপাত্তের উৎস হবে বিবিএস। তথ্য না থাকলে মাঠে কী তদারক করব? এজন্য বিবিএসকে যুগোপযোগী ও যথার্থ হতে হবে। গরুর পরিসংখ্যান চাইলে গরুর তথ্য দিতে হবে, ছাগল দিলে হবে না। এজন্য বিবিএসের সঙ্গে বসেছি। তাদের কী ঘাটতি আছে, সেটি জেনেছি। কিছু কিছু চাহিদা পূরণ করা হয়েছে। সামনের দিনে আরো গতিশীল করা হবে।

আইএমইডিকে শক্তিশালী করবেন কীভাবে?

প্রকল্পের গুণগত মানের জন্য সংস্থাটি কাজ করে যাচ্ছে। সামনের দিনে তা ধরে রাখতে হবে। পাশাপাশি তাদের আরো কার্যকর ভূমিকা নিতে হবে। বিশেষ করে সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে কিনা, কোথায় দুর্বলতা রয়েছে, সরকারের নীতি ও পরিকল্পনার সঙ্গে প্রকল্প বাস্তবায়নে কোনো ধরনের ফারাক আছে কিনা সেগুলো দেখা হবে। আমাদের অর্থনীতির বর্তমান যে আকার, তা পুরোপুরি তদারক করার মতো অবস্থায় নেই আইএমইডি। সংস্থাটিতে আরো বেশি লোকবল, দক্ষতা ও অবকাঠামো দরকার। মাঠপর্যায়ে তাদের তত্পরতা বাড়ানোর জন্য প্রত্যেক বিভাগে আমরা একটা করে আইএমইডির অফিস করব। সেখানে তাদের নিজস্ব ল্যাবরেটরি থাকবে। যখন প্রকল্প শেষ হয়ে যায়, তখন কে কোথায় যায়, কোনো খোঁজখবর পাওয়া যায় না। গাড়ি কোথায় যায়, অফিস কী হয়, ম্যাপ, যন্ত্রপাতি, কম্পিউটার—এগুলো প্রায়ই খুঁজে পাওয়া যায় না। সময়মতো এগুলো ফেরত দিতে হবে। আইএমইডিকে আরো দৃশ্যমান করা হবে। এখন থেকে প্রকল্পের সব তথ্য আপনারা বিভিন্ন ডিজিটাল মাধ্যমে পাবেন। আজকে পর্যন্ত কী অগ্রগতি হয়েছে, সে বিষয়ে তথ্য পাবেন। সেটি করতে কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়েছে। একটি সমন্বয় কমিটি এটা তদারক করবে।

ফাইল আটকে রাখাই কি মন্ত্রণালয়ের প্রধান কাজ?

মোটেও না। আমি এটি কখনই করি না। শুরুতেই আমি আমার সহকর্মীদের এ বার্তা দিয়েছি যে কোনো কাজ যেন আমার কারণে আটকে না থাকে। আমার জন্য কোনো ধরনের অপেক্ষা করার দরকার নেই। প্রকল্প প্রক্রিয়াকরণের জন্য কোনো অপেক্ষা নয়। আমার জন্য অপেক্ষা করবেন না। আমি সেই স্বাধীনতা দিয়েছি। তারা সেটা বুঝেছেন। তারা না বোঝার মানুষ নন। বিনিময়ে আমি কী চাই, তা তারা বুঝতে পেরেছেন। তবে সামনের দিনে প্রকল্প প্রক্রিয়াকরণে আরো গতি আনব। প্রকল্পে ছোটখাটো ত্রুটি থাকলেও আর ফেরত পাঠানো যাবে না। কোনো প্রকল্পে যদি বড় ধরনের ঝামেলা থাকে, তাহলে আমাকে না জানিয়ে তা ফেরত দেয়া যাবে না। কোনো প্রকল্প ফেরত পাঠাতে হলে আমি সেই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ করব। কোনো প্রকল্প বড় কোনো ত্রুটি ছাড়া ফেরত যাবে না। ফেরত পাঠালে নিয়ম মেনে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ফেরত দিতে হবে। তা না হলে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের গাফিলতি আছে বলে ধরে নেয়া হবে। আমার কারণে একদিনের জন্য ফাইল আটকে থাকেনি। আগামীতেও যৌক্তিক কারণ ছাড়া কোনো ফাইল আটকে রাখব না।

প্রকল্প পরিচালকরা (পিডি) ঢাকা ছাড়তে চান না। দুর্বলতা কোথায়?

প্রকল্প পরিচালকরা এলাকায় থাকেন না, কাজে মনোযোগ দেন না। প্রত্যন্ত অঞ্চলের পিডিদের গাড়ি গুলশান-বারিধারায় ঘুরতে দেখা যায়। পিডিদের নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন রয়েছে। একাধিক প্রকল্পের ভার নিয়ে বসে আছেন, সেগুলো ক্যারি করতে পারেন না। তারা কাজে ফাঁকি দিচ্ছেন কিনা জনগণ তা জানতে চায়। এজন্য তাদের নিয়ে বসেছি। চলতি অর্থবছর প্রকল্প শতভাগ বাস্তবায়নের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি বাড়াতে হবে। একজন একাধিক প্রকল্পে পিডি হিসেবে থাকতে পারবেন না। কোথাও থাকতে হলে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ অনুমতি নিতে হবে। এখনো যারা আছেন, তাদের অনুমতি কিংবা ব্যাখ্যা দিতে হবে।

বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে সরকারের নানা উদ্যোগের অংশ হিসেবে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য বিভাগীয় পর্যায়ে বৈঠক ও পরিদর্শন শুরু করেছি। সিলেট, খুলনা ও রংপুর বিভাগে বিভাগীয় সম্মেলন করেছি। সেখানে তাদের কথা শুনেছি। প্রকল্প পরিচালকদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়েছি। এছাড়া জেলা সমন্বয় সভায় প্রকল্পের বিষয়গুলো কীভাবে আলোচনায় আনা যায়, তা নিয়েও আলাপ করেছি। এখন থেকে পরবর্তী পর্যায়ে জেলা সমন্বয় সভায় প্রকল্প বাস্তবায়ন নিয়ে আপডেট থাকতে হবে। প্রকল্পের কাজে গতি আনতে প্রয়োজনে বিভিন্ন স্তর সংক্ষিপ্ত করা হবে। পিডিদের ঘর ছেড়ে মাঠে থাকতে হবে। কোনোভাবেই ঘরে বসে প্রকল্প তদারক করা চলবে না। তবে স্পিরিটটা হলো খবরদারি করা নয়। সেখানে আমি সহযোগিতার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে গেছি। পারস্পরিক মর্যাদাবোধ, ভ্রাতৃত্ববোধ, সম্মানবোধের সঙ্গে সবাইকে নিয়ে এগিয়ে যেতে চাই। জনগণ ও মানবকল্যাণের জন্য সব ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকার সবসময়ই আন্তরিক। কিছু কিছু প্রকল্প পিছিয়ে পড়েছে এটি সত্য। কিছু কিছু প্রকল্প দ্রুত এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব। এডিপির গুণগত বাস্তবায়নে সব ধরনের পদক্ষেপ থাকবে।

উন্নয়ন বরাদ্দে আঞ্চলিক বৈষম্য কীভাবে কমাবেন?

উন্নয়ন বরাদ্দের ক্ষেত্রে আমাদের কোনো দুর্বলতা আছে কিনা সেটি দেখা হচ্ছে। সুষম উন্নয়নে সরকারের নজর আছে। আগামীতে পিছিয়ে পড়া অঞ্চলে উন্নয়ন বরাদ্দ আরো বাড়বে। দারিদ্র্য বিমোচন ও পিছিয়ে পড়া মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে আমরা যে কাজ করছি, সেগুলোকে আরো মানবিক করব। এজন্য পিছিয়ে পড়া মানুষকে এগিয়ে আনতে কর্মসূচি নেয়াই হবে আমার কাজ। বিশেষ করে আমার হাওড় এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই পিছিয়ে রয়েছে। সেখান মানুষের জীবনমান উন্নয়নের চেষ্টা থাকবে। সেখানকার প্রতিনিধি হিসেবে এটিকে অগ্রাধিকার দিতে চাই। যদিও আমি সারা দেশের মানুষের প্রতিনিধিত্ব করছি, তাই হাওড় অঞ্চলের মানুষের পাশাপাশি নদীভাঙন এলাকা, দক্ষিণাঞ্চলের লবণাক্ত এলাকার মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের চেষ্টা থাকবে, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, চরাঞ্চলসহ সব ধরনের পিছিয়ে পড়া মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে সচেষ্ট থাকব। সুষম সামগ্রিক ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন করতে চাই। এজন্য সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি যেমন বাড়ানো হচ্ছে, উন্নয়ন বরাদ্দও তেমনি বাড়ানো হচ্ছে। বিশেষ করে এসব এলাকায় অবকাঠামো উন্নয়ন ও শিল্পায়ন করা হবে। পাশাপাশি ভিন্ন ভিন্ন অঞ্চলের চাহিদাকে গুরুত্ব দিয়ে বরাদ্দ বাড়ানো হবে।

মেগা প্রকল্পে গতি আনতে কী করবেন?

১০টি বড় প্রকল্পে নজরদারি আছে। প্রধানমন্ত্রী সরাসরি এটি দেখেন। আমরা আমাদের দিক থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। জাতির ইমাজিনেশনে এসব প্রকল্প জড়িত রয়েছে। অদম্য গতিতে এগিয়ে যাবে এসব প্রকল্প। আমাদের অভিজ্ঞতা এখন অনেক বেশি পরিপক্ব। মেগা প্রকল্পগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন হলে দেশের অর্থনীতির চেহারা পাল্টে যাবে। এসব প্রকল্পের পাশাপাশি বেসরকারি খাতেও অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। পদ্মা বহুমুখী সেতু নির্মাণ, পদ্মা রেলসেতু নির্মাণ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন, রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ, চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু-কক্সবাজার ও রামু-ঘুমধুম রেলপথ নির্মাণ, ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট (এমআরটি) ছাড়াও পায়রা সমুদ্রবন্দর, সোনাদিয়া গভীর সমুদ্রবন্দর, মাতারবাড়ী আলট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল পাওয়ার ও মহেশখালীতে ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পগুলো তদারক করছে প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ফাস্ট ট্র্যাক প্রজেক্ট মনিটরিং টাস্কফোর্স। আগামী অর্থবছরের প্রাক্কলিত এডিপিতে এসব প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে। গুরুত্ব আছে বিধায় অর্থ বরাদ্দ বাড়ানো হচ্ছে।

সামনের দিনে কোন কাজগুলোকে অগ্রাধিকার দেবেন?

আমাদের সরকারের মূল রাজনৈতিক দর্শন হলো গ্রামকে শহরে পরিণত করা এবং এর উপযোগী প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। আরো মানবিক প্রকল্প গ্রহণে মনোনিবেশ করব। উন্নয়নকে আরো অন্তর্ভুক্তিমূলক করতে চাই। রাজনৈতিকভাবে আমাদের যে অঙ্গীকার আছে, সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য যথাযথভাবে কাজ করে যাব। নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়নে সরকারের কেন্দ্র থেকে যেসব নির্দেশনা আসবে, সেগুলো পরিপালন করব। দরিদ্রবান্ধব, শিক্ষা, কৃষি ও গ্রামমুখী প্রকল্প বাস্তবায়ন অগ্রাধিকার পাবে। মেগা প্রকল্পে আরো নজরদারি বাড়াব। মানুষ চায় শতভাগ বাস্তবায়ন, সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত করা। সব কাজই দ্রুত করতে চাই। তবে অন্ধের মতো দ্রুত করতে চাই না, গতি হতে হবে সুষম। তবে দ্রুত করতে গিয়ে অর্থের অপচয় যেন না হয়, সেটিও দেখব। সুষম মাত্রায় কাজের গতি ধরে রেখে গুণগত পরিবর্তন আনাই আমার অন্যতম কাজ হবে। আমাদের সরকার গত ১০ বছরে যে উন্নয়ন করেছে, জীবনযাত্রার মান যেভাবে উন্নয়ন করেছে, সেটি আরো প্রসারিত করতে কাজ করব। বিদ্যুৎ সুবিধার যে প্রসার হয়েছে, সেটিকে টেকসই, নিশ্ছিদ্র, নিরাপদ ও স্থায়ী করতে হবে। বৃহৎ অবকাঠামো উন্নয়নের যে কাজ চলছে, সেগুলো যথাসময়ে শেষ করার পাশাপাশি যথাযথ মানে উন্নীত করাই আমার অন্যতম কাজ। (দৈনিক বণিক বার্তা থেকে নেয়া)

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ