আজকের শিরোনাম :

‘ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় এখনো বড় চ্যালেঞ্জ সচেতনতা বৃদ্ধি’

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২০ মার্চ ২০১৯, ১২:৫৬

মো. শফিকুল ইসলাম লস্কর, মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব), জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। জন্ম মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন স্থানীয় বিদ্যালয়ে। উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন ঢাকা কলেজ থেকে। স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পড়ালেখা সম্পন্ন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে। কর্মজীবনের শুরু হবিগঞ্জের ডিসি অফিসের সহকারী কমিশনার হিসেবে। ধাপে ধাপে সরকারি প্রশাসনের বিভিন্ন পদে লাভ করেন পদোন্নতি। গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হিসেবে। চেয়ারম্যান ছিলেন বাংলাদেশ পাট করপোরেশন এবং বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের। সম্প্রতি ভোক্তা অধিকার সুরক্ষা, পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত, বাজার তদারকি, প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধি, ভোক্তাদের সচেতনতা বাড়ানো, গণশুনানি, অভিযোগ নিষ্পত্তিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা হয় বণিক জনপ্রিয় একটি ধৈনিকের সঙ্গে। তা হুবহু তুলে ধরা হলো-

দেশে ভোক্তাস্বার্থ সবচেয়ে উপেক্ষিত। এখানে পণ্যের ইচ্ছামতো দাম রাখা হয়। দাম নির্ধারণে নেই কোনো যৌক্তিক ভিত্তি। এ সমস্যা সমাধানে বা দাম নিয়ন্ত্রণে আপনারা কী করছেন?

২০০৯ সালের ৬ এপ্রিল ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন প্রণীত হয় এবং এ আইনের অনুবলে একই বছরের ২৪ জুন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর প্রতিষ্ঠিত হয়। এর কার্যক্রম শুরু হয় পরের বছর ৬ এপ্রিল থেকে। এটি তুলনামূলক একটি নবীন সংস্থা। সেদিক থেকে প্রতিষ্ঠানটি শিশুকাল অতিক্রম করছে মাত্র। আমাদের আইনি এখতিয়ারও সুনির্দিষ্ট। যে পণ্যের নির্ধারিত মূল্য আছে, কোম্পানি যে মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে (যেমন খাদ্য, ওষুধ, অন্য পণ্য ও সেবা), তা থেকে বেশি নিলে আমরা হস্তক্ষেপ করতে পারি। কিন্তু যেখানে পণ্যের কোনো নির্ধারিত দাম নেই, সেখানে আমরা হস্তক্ষেপ করতে পারি না। বর্তমানে দেশে প্রচলন রয়েছে মুক্তবাজার অর্থনীতি। এক্ষেত্রে সরকার হস্তক্ষেপ করছে না, করবেও না। সরবরাহ ও চাহিদাই বাজারের দাম নির্ধারণ করবে। তবে যেখানে পণ্য বা খাবারের নির্ধারিত মূল্য আছে, সেখানে যদি কেউ বেশি নেয় কিংবা প্রতারণা করে, সেক্ষেত্রে আমরা হস্তক্ষেপ করি, আইনগত ব্যবস্থা নিই। প্রাপ্ত অভিযোগ নিষ্পত্তি করে দায়ীদের দ্রুত শাস্তির আওতায় আনি।

দাম বেশি নিলেও অনেক ক্ষেত্রে পণ্যের গুণগত মানও অত্যন্ত নিম্নমানের বলে অভিযোগ রয়েছে। মান নিশ্চিতে কী পদক্ষেপ নেন?

কোনো প্রতিষ্ঠান বা দোকান যদি নিম্নমানের পণ্য বিক্রি করে, কেউ যদি অভিযোগ দেয়, তাহলে আমরা তা খতিয়ে দেখি। অধিকন্তু আমরা বাজার অভিযানে যাই। শুক্রবার বাদে প্রতিদিন দুটি বাজার অভিযান হয়। ঢাকাসহ প্রতিটি জেলা শহরে এ অভিযান চলে। অভিযানে আমরা দেখি যে, নিম্নমানের পণ্য আছে কিনা। মেয়াদোত্তীর্ণ বা নিম্নমানের পণ্য পেলে জরিমানা করি, শাস্তি দিই। তবে এক্ষেত্রে যারা নিম্নমানের পণ্য পাচ্ছে, তাদেরই এগিয়ে আসতে হবে। তারা এগিয়ে এলে এটা ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে। আমরা শুধু এককভাবে দুটো বাজারে অভিযান চালালে কাঙ্ক্ষিত সুফল মিলবে না। ঢাকা শহরের কথাই চিন্তা করুন। এখানে আড়াই কোটির মতো লোক বাস করে। হাজার হাজার দোকান। সেগুলো নিয়ন্ত্রণ খুব কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।

ইদানীং রাইড শেয়ারিং সেবাপ্রদানকারী প্রতিষ্ঠান উবার, পাঠাও, ওভাই এসবের বিরুদ্ধে ভাড়া নেয়া এবং প্যাকেজ অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এসব কীভাবে করছেন?

কেউ বেশি ভাড়া নেয়ার অভিযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা নেব। উবারের বিরুদ্ধে একজন অভিযোগ করেছিল। আমরা প্রতিষ্ঠানটির কর্তৃপক্ষকে ডেকে পাঠিয়েছিলাম। তারা মাফ চেয়েছে, তারা জীবনে আর এমন প্রতারণা করবে না। বলেছে, তাদের জন্য যে সরকারি নীতি আছে, সেটি অনুসরণ করবে। একজন যেহেতু অভিযোগ করেছে, সেহেতু এটি আমরা অবশ্যই নিষ্পত্তি করব। ভবিষ্যতে চেষ্টা করব, যাতে গ্রাহকের কাছ থেকে বেশি ভাড়া না নেয়া হয়।

রাইড শেয়ারিং সেবা প্রদানকারীদের নিয়ন্ত্রণটা কীভাবে হবে?

আমরা এখনো এদের সেবা সম্পর্কে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ তো প্রথমে আসতে হবে। আমরা নিজেরা যখন চড়ি, তখন ভাড়া নির্ধারিত হারেই নেয়। কিন্তু যাদের ভাড়া বেশি নিচ্ছে, তাদেরই এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের অধিদপ্তরে আসতে তো অসুবিধা হয় না। এখন আর এখানে আসতেও হয় না। ফ্যাক্সে অভিযোগ দাখিল করতে পারে। ই-মেইল করতে পারে। নিজে না এসে অন্যকেও পাঠাতে পারে। এখানে কোর্ট ফি লাগে না, স্ট্যাম্প লাগে না, কোনো অ্যাডভোকেট লাগে না। শুধু শুনানির সময় অভিযোগকারীকে আসতে হয়।

দেশে গড়ে ওঠা ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলো এখন নানা পণ্য বিক্রি করছে। তাদের বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ হলো, অনলাইনে যেমন দেখা যায়, ভোক্তা পণ্য পায় ভিন্ন রকম (রঙ-ডিজাইন প্রভৃতির ক্ষেত্রে)। উপরন্তু মানও নিম্নমানের। ভোক্তাদের এ সমস্যার সমাধান কী?

হ্যাঁ, এটি অনেকক্ষেত্রে সত্য। গড়ে ওঠা অনেক ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানই এখন অনলাইনে পণ্য বিক্রি করছে। তারা দেখাচ্ছে এক পণ্য, দিচ্ছে আরেক পণ্য। ভোক্তার কাছ থেকে অভিযোগ আসছে। আমরা প্রতিদিন জরিমানা করছি। হয়তো ক্রেতা চেয়েছে ভি-কলার টি-শার্ট। তারা দিয়েছে রাউন্ড কলার। হয়তো ভোক্তা চেয়েছে লাল টি-শার্ট, তারা দিয়েছে গোলাপি বা মেরুন। আমরা এটা প্রতিরোধ করছি। যারা অভিযোগ করে দরখাস্ত করছে, তারা প্রতিকার পাচ্ছে। তবে যেহেতু আমরা ক্ষতিগ্রস্ত নই, সেহেতু স্বতঃপ্রণোদিতভাবে নিজেরা যাই না। তারাই আসে। এমডি আসছে, সিইও আসছে, যাতে আমরা কম জরিমানা করি।

দামি পণ্যের (ফ্রিজ, টিভি, এসি প্রভৃতি) ক্ষেত্রে হয়তো ওয়ারেন্টি আছে পাঁচ বছর। দেখা যাচ্ছে দুই বছরের মাথায় নষ্ট হয়ে গেছে। যথাযথ কাগজপত্র নিয়ে গেলে পণ্য বদল, ক্ষতিপূরণ কিংবা সার্ভিসিং সুবিধা দেয় না। এসব ক্ষেত্রে কী সমাধান করছেন?

ফ্রিজ, টেলিভিশন, এসিসহ যেসব পণ্যের ওয়ারেন্টি থাকে এবং এর মধ্যে যদি নষ্ট হয়, তাহলে তা ঠিক করে দিতে তারা বাধ্য। না হলে আমাদের কাছে অভিযোগ করলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিচ্ছি। হয় টাকা ফেরত দেবে নয়তো নতুন পণ্য বদলে দেবে কিংবা সার্ভিসিং সুবিধা দেবে।

ভোক্তারা অনেক সময় কীভাবে, কোথায় অভিযোগ দেবে, সেটি জানে না। নিজেদের অধিকার সম্পর্কেও তেমন সচেতন নন। ভোক্তাদের সচেতনতা বাড়াতে কী পদক্ষেপ নিয়েছেন?

আমাদের এখানে গণশুনানি হয়। ভোক্তাদের নিয়ে, ব্যবসায়ীদের নিয়ে, ছাত্রদের নিয়ে এবং বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার ব্যক্তিকে নিয়ে। প্রতি বুধবার সাড়ে ৯টায়। শুনানি প্রতিটি জেলায় হয় এবং এতে বেশ সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। এছাড়া মতবিনিময় সভা হচ্ছে, সেমিনার হচ্ছে। লিফলেট, পোস্টার এসব বিতরণ করছি। এবার ক্যালেন্ডার প্রকাশ করেছি, সেগুলো বিতরণ করছি। বিশ্ব অধিকার দিবসে প্রতি বছর ক্রোড়পত্র প্রকাশ করি এবং বিশেষ অনুষ্ঠান করি। এতে অনেক লোক জানতে পারে। এবারো এ দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করছি। ইলেকট্রনিক মিডিয়াও কভারেজ দেবে। এতে ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হবে। এছাড়া ভোক্তা অধিকার ও অভিযোগ নামে একটি মোবাইল অ্যাপস চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এটুআই কর্মসূচির আওতায় এজন্য আমরা অর্থ পেয়েছি। এটি শিগগিরই শুরু করব।

অভিযোগ দাখিলের ক্ষেত্রে আপনারা সাড়া কেমন পাচ্ছেন?

কেমন সাড়া পাচ্ছি, সেটি সঠিকভাবে বলতে পারব না। বাংলাদেশে লোক সংখ্যা প্রায় ১৭ কোটি। এর মধ্যে শতাংশ হিসাবে কত লোক এ সম্পর্কে জানে আমরা বলতে পারব না। তবে আমরা দেখতে পাচ্ছি, দুই বছর আগেও অর্থাৎ ২০১৫-১৬ সালে অভিযোগের সংখ্যা ছিল ৬৬২। ২০১৬-১৭ সালে অভিযোগ ছিল ৬ হাজার ১৪০। প্রায় ১০ গুণ বেড়ে গেল। আর ২০১৭-১৮ সালে অভিযোগের সংখ্যা বেড়ে হলো ৯ হাজার ১৯। এ থেকে বোঝা যায়, জনগণ জানছে এবং এজন্য তারা অভিযোগ করছে। আমাদের লক্ষ্য ভোক্তাদের অভিযোগ শূন্যে নামিয়ে আনা।

অভিযোগ করার ফলে ভোক্তারা প্রতিকার পাচ্ছেন?

অবশ্যই পাচ্ছেন। একটি বিধান রয়েছে, অভিযোগ প্রমাণিত হলে মোট আর্থিক জরিমানার ২৫ শতাংশ ভোক্তারা পাবেন। অভিযোগ প্রমাণ হলে ধার্য জরিমানার আলোচ্য অংশ তারা পাচ্ছেন।

অভিযোগ নিষ্পত্তিতে সময় বেশি নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টিকে কীভাবে দেখছেন?

অভিযোগ নিষ্পত্তিতে বেশি সময় লাগার বিষয়টি পুরোপুরি সত্য নয়। আমরা এক মাসের মধ্যেই শুনানির মাধ্যমে অভিযোগ নিষ্পত্তি করে থাকি। আমরা এ বিষয়টি পুরোপুরি প্রতিপালন করে থাকি। তবে কোনো অভিযোগে যদি রাসায়নিক, পরীক্ষা-নিরীক্ষা এবং আলামতের সম্পৃক্ততা থাকে, সেক্ষেত্রে সময় বেশি নেয়া হয়। তবে এ অভিযোগের সংখ্যা খুবই কম। আমাদের অভিযোগ নিষ্পত্তির হার ৯০ শতাংশের উপরে।

আপনাদের শাস্তিটা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আর্থিক জরিমানামূলক। প্রতিষ্ঠান বন্ধের মতো কঠোর শাস্তি দৃশ্যমান নয়। বিষয়টিকে কীভাবে দেখেন?

প্রথমবার তো আর দোকান বা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করতে পারি না। কিংবা লাইসেন্স বাতিল করতে পারি না। একই অপকর্ম যদি বারবার করে এবং এক্ষেত্রে যদি নিজেদের না শোধরায়, তাহলে আমরা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করব সাময়িকভাবে। লাইসেন্স আমরা দিই না। লাইসেন্স দেয় জেলা প্রশাসন, সিটি করপোরেশন বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠান। বন্ধ করার জন্য তাদের সহযোগিতা লাগে।

প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বাড়াতে কী করছেন?

আমাদের কাজের পরিধি প্রতিনিয়ত বাড়ছে। কিন্তু সেই তুলনায় আমাদের লোকবলের সংকট আছে। এখনো প্রতি জেলায় সহকারী পরিচালক নেই। যেখানে নেই, সেখানে দায়িত্ব পালন করছেন পার্শ্ববর্তী জেলার সহকারী পরিচালক। ছয় মাসের মধ্যে লোকবল পেয়ে যাব। তখন অনেকটা এগিয়ে যাব। তারপর উপজেলা পর্যায়ে লোকবল লাগবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সিদ্ধান্ত দিয়েছে সেখানে লোক নেয়ার।

ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় চ্যালেঞ্জ কী?

ভোক্তা অধিকার সুরক্ষায় এখনো বড় চ্যালেঞ্জ, সবার সচেতনতা বৃদ্ধি, সবাইকে জানানো। কারণ আমাদের বিপুল জনসংখ্যা। যারা অপ্রাপ্ত বয়স্ক, তাদের জানানোর দরকার নেই। কিন্তু যারা বিভিন্ন পণ্য ক্রয় করছেন, তাদেরই বেশি সচেতন হলে ভালো হয়। এবং তারা যদি ক্ষতিগ্রস্ত হন, সঙ্গে সঙ্গে আমাদের কাছে অভিযোগ বা দরখাস্ত করলে আমরা প্রতিকার করতে পারব। আগেই বলেছি, আগের চেয়ে অভিযোগের সংখ্যা বেড়েছে। তবে তা তো বেড়েছে রাজধানীতে। কিন্তু জেলা পর্যায়ে ততটা বাড়েনি, উপজেলা বা ইউনিয়ন পর্যায়ে বাড়েনি। আমাদের কিছু কমিটি আছে। সেগুলো এখনো চাঙ্গা হয়নি, চাঙ্গা করার চেষ্টা করছি। এটাই আমাদের অন্যতম চ্যালেঞ্জ। এখানে প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া এগিয়ে না এলে আমরা কখনো পুরোপুরি সফল হতে পারব না।

এ অধিদপ্তরকে এগিয়ে নিতে আপনার পরিকল্পনা কী?

আমরা যদি লোকজন সব পেয়ে যাই, উপজেলা পর্যায়ে যদি আমাদের অফিস প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহলে আমরা স্বয়ংসম্পূর্ণ হব। আমাদের যে কার্যক্রম চলছে (পোস্টার, লিফলেট, মতবিনিময় সভা, গণশুনানি, ক্যালেন্ডার বিতরণ, রচনা প্রতিযোগিতা), তার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন আমাদের রয়েছে। আমরা চাইছি রেডিও, টেলিভিশন ও সংবাদমাধ্যমে যেন নিয়মিত সচেতনতামূলক বিজ্ঞাপন প্রকাশ করতে; সেজন্য অর্থ বিভাগে বরাদ্দের জন্য লিখেছি। যদি বরাদ্দ দেয়, তাহলে ঘন ঘন ভোক্তা অধিকার সম্পর্কে গণমাধ্যমে প্রচার করতে পারব। এটা করলে জনগণ বেশি জানতে পারবে।

আগেই বলেছি, আমাদের অধিদপ্তর ২০০৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও বাস্তবে কাজ শুরু হয়েছে ২০১০ সাল থেকে। আগে বাজার অভিযান হতো ৫০০-৬০০। আমি আসার পর হয়েছে ১ হাজার ৩০০। এবার বাজার অভিযান হচ্ছে ৭ হাজার। আগামী বছর হবে ১০ হাজার। এর বেশি করা যাবে না। কেননা এর জন্য পর্যাপ্ত লোকবল নেই। প্রতিদিন করাও সম্ভব নয়। কারণ গণশুনানি করতে হবে, অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে হবে। সেজন্য সপ্তাহে পাঁচদিন সম্ভব নয়। চারদিন বা তিনদিন করবে। মাসে ১৪ দিন বা ১৬ দিন করবে। বছরে ১০ হাজার। এটা করতে পারলে আমরা অনেক এগিয়ে যাব। আর গণশুনানি দুই বছর আগে ছিল আটটি। চলতি বছর গণশুনানি হয়েছে এক হাজারের বেশি। গণশুনানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এখন ব্যবসায়ীরা আসছেন। তারা বলছেন, আগে আইনটি সম্পর্কে জানলে তাদের জরিমানা দিতে হতো না। না জানার কারণে তারা অনেকে জরিমানা দিয়েছেন।  (দৈনিক বণিক বার্তা থেকে নেয়া)

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ