এমারসনই জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৩ আগস্ট ২০১৮, ১১:০৭

ঢাকা, ০৩ আগস্ট, এবিনিউজ : জিম্বাবুয়ের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পেলেন দেশটির অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে থাকা এমারসন নানগাগওয়া।  নির্বাচন ও নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতা আর নির্বাচনে কারচুপির বিরোধীদের অভিযোগের মাঝেই শেষ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নাম ঘোষণা করে দেশটির নির্বাচন কমিশন।

ক্ষমতাসীন জানু-পিএফ দলের নেতা এমারসন ৫০.৮ শতাংশ ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হন। আর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন মুভমেন্ট ফর ডেমোক্রেটিক চেঞ্জ (এমডিসি) অ্যালায়েন্স দলের প্রার্থী নেলসন চামিসা। তিনি পান ৪৪.৩ শতাংশ ভোট। আজ শুক্রবার সকালে দেশটির নির্বাচন কমিশন এই ফলাফল ঘোষণা করে।

দেশটির নির্বাচন বিধি অনুযায়ী, সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনকারী প্রার্থীই প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হবেন। সে হিসেবে গত ৩০ জুলাই এর নির্বাচনে ৫০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হলেন এমারসন।

২০১৭ সালের নভেম্বরে দেশটির স্বাধীনতার পর থেকে ৩৭ বছর ধরে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করা রবার্ট মুগাবে পদত্যাগ করেন। সেনাবাহিনীর হস্তক্ষেপে তিনি পদত্যাগ করলে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেন এমারসন। এর আগে মুগাবের ‘ডেপুটি’ হিসেবে নিয়োজিত ছিলেন এমারসন।

এদিকে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর দেশবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে টুইট করেন এমারসন। নিজের জয়কে জিম্বাবুয়ের জন্য এক ‘নতুন শুরু’ বলে আখ্যায়িত করেন তিনি। আর দলের বিজয়ে নিজেদেরকে ‘খুশি’ বলেছে জানু-পিএফ।

এক বিবৃতিতে দলের মুখপাত্র পল মাঙ্গওয়ানা বলেন, “আমরা খুবই খুশি কারণ আমাদের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়েছেন। কারণ এর অর্থ জনগণের উদ্দেশ্যে করা আমাদের প্রতিশ্রুতিগুলো এখন আমরা বাস্তবায়ন করতে পারবো”।

এসময় নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগ থাকলে বিরোধীদলকে আদালতে আইনী লড়াই এর চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন পল। তিনি বলেন, “তাদের যদি কারচুপির অভিযোগ থাকে তাহলে তারা যেন সাহস করে আদালতে আমাদের মুখোমুখি হয়। আমরা প্রস্তুত এবং সেখানেও আমরা তাদেরকে সেভাবেই হারাবো যেভাবে এই নির্বাচনে হারিয়েছি”।

এদিকে পলের বক্তব্যকে ‘অর্থহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন এমডিসি জোটের প্রধান মরগান মরিচি। তিনি বলেন, “ফলাফল পরীক্ষা করে দেখার মতো সময়ও আমাদেরকে দেয়া হয়নি। এই ফলাফল যাচাই করেও দেখা হয়নি। আপনারা যে ফলাফল দেখছেন তা অর্থহীন। আমরা আশঙ্কা করছি অনেক কেন্দ্রের ফলাফলে হেরফের করা হয়”।

এদিকে নির্বাচন পরবর্তী সহিংসতায় এখন পর্যন্ত ছয় জন নিহতের ঘটনা ঘটেছে। আহত হয়েছেন ১৪ জন। রাজধানী হারারেতে জোরদার করা হয়েছে সেনা টহল। সূত্রঃ বিবিসি

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ