আজকের শিরোনাম :

কোন মেয়েকে দিয়েছেন ভ্যাকসিন, ধোঁয়াশা বজায় রাখলেন পুতিন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২০, ১২:০৩

বিশ্বে কিছুতেই কমছে না করোনা ভাইরাসের মৃত্যুমিছিল। দাওয়াই না থাকায় ভ্যাকসিনের জন্য চটকের মতো আশায় রয়েছে মানুষ। 

এহেন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার করোনার টিকা আবিষ্কারের কথা ঘোষণা করেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। শুধু তাই নয় সফলভাবে টিকাটি পেয়যোগ করা হয়েছে তাঁরই এক কন্যার শরীরে বলেও জানান রুশ প্রেসিডেন্ট। তবে দুই মেয়ের মধ্যে কার শরীরে টিকা প্রয়োগ করা হয়েছে সেই রহস্য ভাঙলেন না পুতিন।

বিশ্বের সবচেয়ে বেশি রহস্যময়ী মহিলাদের মধ্যে রয়েছেন পুতিনের দুই কন্যা ক্যাটরিনা তিখোনোভা এবং মারিয়া ভরন্টশোভা পুতিনা। এদের গোটা পরিবারই রহস্যে ঘেরা। নিরাপত্তার স্বার্থেই হোক বা অন্য কোনও অজানা কারণে নিজের পরিবারের বিষয়ে অত্যন্ত কোম মুখ খোলেন প্রেসিডেন্ট পুতিন। কিন্তু গতকাল থেকেই পালটে গেছে পরিস্থিতি। আপাতত গোটা দুনিয়া তাকিয়ে আছে পুতিনের দুই কন্যার দিকে। 

কারণ তাঁদেরই মধ্যে কোনও একজনকে দেওয়া হয়েছে রাশিয়ায় তৈরি বিশ্বের প্রথম করোনা ভ্যাকসিন ‘স্পুটনিক ভি’। এহেন এই ঝুঁকিপূর্ণ তথা মহৎ কাজে কোন নেতা যে নিজের কন্যাকে এগিয়ে যেতে দেবেন তা সাধারণতও ভাবাই যায় না। তবে রাশিয়া বরাবরই অন্য ধাতের দেশ। স্পেশ্যাল ফোর্সের সাবেক সদস্য পুতিনের মানসিকতাও তাই লড়াকু।

উল্লেখ্য, গুগল সার্চে সবচেয়ে বেশি খোঁজা মানুষের তালিকায় রয়েছেন ভ্লাদিমির পুতিন। তাঁকে নিয়ে কৌতূহলের অন্ত নেই। তার বিয়ে হয়েছে কি না, তিনি কতটা ধনী, তাঁর পরিবার কোথায় থাকে এসব জানতে আগ্রহী গোটা দুনিয়া। কিন্তু মানুষকে সে সব প্রশ্নের উত্তর জানার সুযোগ দিতে নারাজ পুতিন। নিজের মেয়েদের সম্পর্কেও কোনও কথা তাঁর মুখ নিয়ে শোনা যায় না। তবে যতদূর জানা যায়, তাঁর বিবাহিত জীবনে ইতি পড়েছে। ৩০ বছরের দাম্পত্য জীবনের শেষে ২০১৩ সালে তার স্ত্রী লুডমিলার সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় যায় তাঁর। এই লুডমিলার দুই মেয়ে-ক্যাটরিনা এবং মারিয়া। গত তিন দশক ধরে এরা দু’জনই ছিল অজ্ঞাতে। তিখোনোভা ছিল ক্যাটরিনার দিদিমার ডাকনাম। গত বছর রাশিয়ার সাংবাদিকরা প্রেসিডেন্টের শাশুড়ির নামটি প্রকাশ করেন। এই তথ্যটি প্রকাশের পর মারিয়া ও ক্যাটরিনাকে চিনতে পারে দেশবাসী। আর তারপর থেকেই পুতিনের ছোট মেয়ে ক্যাটরিনা তিখোনোভার নিয়ে সংবাদমাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়ে গিয়েছে। তিনি শিক্ষক, লেখক ও নৃত্যশিল্পী। কাজ করছেন মস্কো স্টেট ইউনিভার্সিটিতে (এমএসইউ)।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ