আজকের শিরোনাম :

রাশিয়ার করোনা ভ্যাকসিনের ট্রায়াল হবে ভারতেও

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ আগস্ট ২০২০, ১১:৫২

উস্কে ওঠা যাবতীয় বিতর্ক ধামাচাপা দিয়ে ধীরে ধীরে পায়ের নীচে শক্ত জমি পাচ্ছে রাশিয়া। কারণ, দক্ষিণ কোরিয়া, ব্রাজিল, সৌদি, তুরস্ক বা কিউবাতেই শেষ নয়, রুশ টিকার হিউম্যান ট্রায়াল হতে চলেছে ভারতেও। 

বুধবার নিজেই জানিয়েছেন রাশিয়ান ডিরেক্ট ইনভেস্টমেন্ট ফান্ডের প্রধান কিরিল দিমিত্রিভ একথা নিশ্চিত করেছেন। 

রীতিমতো উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে কিরিল জানিয়েছেন, ‘প্রথম যে ২০টি দেশ এই নিয়ে আগ্রহ দেখিয়েছে, ভারত তার মধ্যে অন্যতম। চলতি বছর ডিসেম্বরের মধ্যে ২০ কোটি ডোজ ‘স্পুটনিক ভি’ তৈরি করতে চলেছে রাশিয়া।’ 

জনসাধারণের জন্য টিকা তৈরি শুরু করে দিয়েছে রাশিয়া। আর সেটাই আগ্রহী করে তুলেছে বিভিন্ন দেশকে। এই তালিকায় ঢুকে পড়ার অর্থ, করোনা ভ্যাকসিনের আরও একটি উৎস এসে যাচ্ছে ভারতের হাতে। সূত্রের খবর, সিরাম ইনস্টিটিউট, পানাশিয়া বায়োটেক, শান্তা বায়োটেক এবং বায়োলজিক্যাল ই লিমিটেড স্পুটনিক ভি তৈরির বরাত পেতে পারে। তবে ভারতের তরফে সরকারিভাবে এখনও কিছু জানানো হয়নি।

ইতিমধ্যেই দক্ষিণ আমেরিকা, পশ্চিম এশিয়া এবং এশিয়ার ২০টি দেশ এই টিকার জন্য রাশিয়ার কাছে দরবার করেছে। 

কিরিল বলেছেন, ‘বিদেশি সহযোগীদের সঙ্গে বছরে ৫০ কোটি ডোজের বেশি টিকা তৈরি করতে আমরা প্রস্তুত। তবে রাশিয়ায় উৎপাদিত টিকা রাখা থাকবে শুধুই রুশ নাগরিকদের জন্য। অন্য যে দেশ আগ্রহী হবে, তারা ফর্মুলা মেনে নিজেদের ভ্যাকসিন নিজেরাই তৈরি করে নেবে।’

রাশিয়ার তৈরী করোনাভাইরাসের প্রথম টীকা ‘স্পুটনিক ভি’

প্রথম দেশ হিসেবে করোনার টিকা আবিষ্কারের দাবি জানিয়ে দুনিয়াকে চমকে দিয়েছে রাশিয়া। একদিনের মধ্যেই অবশ্য সেই ‘স্পুটনিক ভি’ ঘিরে দ্বিধাবিভক্ত গোটা পৃথিবী। প্রথম শিবিরে রয়েছে আমেরিকা, জার্মানির মতো দেশ। যারা স্পুটনিক ভি-র কার্যকারিতা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে। অন্যদিকে রয়েছে রুশপন্থী দুই দেশ-ফিলিপিন্স এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। উচ্ছ্বসিত ফিলিপিন্সের প্রেসিডেন্ট রডরিগো দুতের্তে জানিয়েছেন, ব্যক্তিগতভাবে তিনি স্পুটনিক ভি-র ক্লিনিকাল ট্রায়ালে অংশ নেবেন।

কীভাবে রাশিয়া এত দ্রুত টিকা আনল, ইতিমধ্যেই তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গত এপ্রিলে একটি আইন আনে পুতিন সরকার। সেখানে ফেজ থ্রি ট্রায়ালের আগেই ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করার অনুমতি দেওয়া হয়। স্পুটনিক ভি এই কাজটাই করেছে। তাই রাশিয়ার এই অগ্রগতিকে বড় ব্যাপার বলে মানতে নারাজ আমেরিকা। 

এ প্রসঙ্গে নটিংহ্যাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ কিথ নিল বলেন, ‘ওরা মোটেও আমাদের থেকে খুব বেশি এগিয়ে নেই।’ 

জানা গেছে, স্পুটনিক ভি আসলে একটি অ্যাডেনোভাইরাল ভেক্টর। অ্যাডেনোভাইরাসের প্রভাবে সাধারণ সর্দি হয়ে থাকে। কিন্ত‌ু নভেল করোনা ভাইরাসের টিকার ক্ষেত্রে দুর্বল এবং কিছুটা ভিন্ন ভেক্টর প্রয়োগ করা হবে। এরা করোনা ভাইরাস থেকে প্রোটিন নিয়ে আলাদা একটি জিন কোড বানাবে। এরপরে শরীরে সেই প্রোটিন তৈরি হবে। স্পুটনিক ভি’র নির্মাতারা জানিয়েছেন, টিকা দেওয়ার পরে কোনও স্বেচ্ছাসেবকের করোনা ধরা পড়েনি।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ