আজকের শিরোনাম :

যুক্তরাষ্ট্রে করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থ ট্রাম্প প্রশাসন: সিএনএন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২০, ১৬:৫১

করোনায় এখনো বিশ্বে এখনো সংক্রমণের শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। গেল কয়েকদিনে আক্রান্ত আর মৃত্যুর সংখ্যা কমতির দিকে থাকলেও তা নগণ্য।

রাজনৈতিক-সামরিক-অর্থনৈতিক সবদিক দিয়েই অন্যতম শক্তিশালী দেশটির কেন এই অবস্থা সেটাই এখন প্রশ্ন। প্রভাবশালী গণমাধ্যম সিএনএন এর এক নিবন্ধে এই প্রশ্নের উত্তরই খোঁজা হয়েছে। করা হয়েছে ট্রাম্প প্রশাসনের তীব্র সমালোচনা।

আটলান্টিক পাড়ের দেশটিতে মহামারি আঘাত হানার পরেই কর্মকর্তারা বলেছিলেন, করোনা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন তারা। কিন্তু যতই দিন গড়িয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে।

পরস্পরবিরোধী বক্তব্য, বৈপরীত্য আর বিভ্রান্তিই বেশি চোখে পড়েছে কেন্দ্রীয় প্রশাসনের কর্মকাণ্ডে। শুরু থেকেই রাজ্য সরকারগুলোর সাথে কেন্দ্রীয় সরকারের দ্বন্দ স্পষ্ট হয়ে ওঠেছে। ফলে লকডাউন নিয়ে অঙ্গরাজ্যগুলোর ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান দেখা গেছে। এক রাজ্য লকডাউন দিয়েছে তো অন্য রাজ্যে বিক্ষোভ হয়েছে লকডাউন তুলে নেয়ার পক্ষে।

সম্প্রতি সিএনএন এর এক নিবন্ধে বলা হয়েছে, করোনার গভীর খাদে পড়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যেখান থেকে উঠে আসার কোন উপায় জানা নেই প্রশাসনের। এতে ট্রাম্পের সমালোচনা করে বলা হয়েছে, দেশে তৈরি হয়েছে নেতৃত্ব সংকট।

মতের অমিল হলেই প্রশাসন থেকে শীর্ষস্থানীয় বিশেষজ্ঞদের সরিয়ে দিয়েছেন ট্রাম্প। তারা শুরু থেকেই কঠোর লকডাউনের পক্ষে ছিলেন। বলেছিলেন, সারাদেশেই সমন্বিত লকডাউন ও জীবনযাত্রা নিয়ন্ত্রণের কথা। কিন্তু কোন পরামর্শই কানে তোলেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। মহামারির এইসময়ে এসেও, মাস্ক পরার বাধ্যবাধকতা নিয়ে নাগরিকদের দেয়া হয়নি কোন সুস্পষ্ট নির্দেশনা।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ উপেক্ষা করে সময়ের আগেই খুলে দেয়া হয়েছে অনেক অঙ্গরাজ্যের দোকানপাট। আরো অভিযোগ, দক্ষিণ ও পশ্চিমের ডেমোক্র্যাট শাসিত অঙ্গরাজ্যগুলোতে পর্যাপ্ত সহযোগিতা দেয়নি রিপাবলিকান কেন্দ্রীয় প্রশাসন। এমনকি শুরু থেকে এখন পর্যন্ত করোনা নিয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ভিন্ন ভিন্ন অবস্থান যথেষ্ট সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

কখনো বলেছেন গরম আসলেই চলে যাবে করোনা আবার কখনোবা আত্মবিশ্বাসের সাথে জানিয়েছেন, শিগগিরই নির্মূল হবে ভাইরাস। করোনা পরিস্থিতি যখন ভয়াবহ, তখনও বলেছেন, নিয়ন্ত্রণে আছে সবকিছুই।

ট্রাম্পের বিরুদ্ধে করোনা নিয়ে মিথ্যা তথ্য দেয়ারও অভিযোগ আছে। সম্প্রতি তিনি বলেন, বেশি পরীক্ষা করা হচ্ছে বলেই যুক্তরাষ্ট্রে শনাক্ত হচ্ছে বেশি।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ