আজকের শিরোনাম :

ইরান ও যুক্তরাষ্ট্র পরস্পরকে ‘নজিরবিহীন যুদ্ধের’ হুঁশিয়ারি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৩ জুলাই ২০১৮, ১৫:৫৩

ঢাকা, ২৩ জুলাই, এবিনিউজ : যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশই বাড়ছে এবং দুই দেশের প্রেসিডেন্টের সর্বশেষ পাল্টাপাল্টি হুমকির পর এ উত্তেজনা আরও তীব্র হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রোহানিকে হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছেন, তেহরান যদি যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দেয় তা হলে ইরানকে ‘এমন পরিণতি ভোগ করতে হবে যে পরিণতি ইতিহাসে অল্প কিছু দেশই এর আগে ভোগ করেছে।’

ট্রাম্পের এ হুঁশিয়ারির আগে প্রেসিডেন্ট রোহানি বলেছিলেন, ‘ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ হলে সেটা হবে এমন এক যুদ্ধ, যা পৃথিবীতে এর আগে কখনো হয়নি।’

ইরানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত আন্তর্জাতিক পরমাণু চক্তি থেকে গত মে মাসে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রেকে প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর থেকে দুটো দেশের পক্ষ থেকে পাল্টাপাল্টি হুমকি দেওয়ার ঘটনা বেড়েই চলেছে।

ওই চুক্তিতে ধীরে ধীরে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি পরিহার করার বদলে দেশটির উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়ার অঙ্গীকার করা হয়েছিল।

এখন চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেওয়ার পর ওয়াশিংটন ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করছে।

কিন্তু ২০১৫ সালে আরও যেসব পক্ষ ওই চুক্তিতে সই করেছিল তারা ইরানের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ব্যাপারে আপত্তি জানিয়ে আসছে। এই দেশগুলো হচ্ছে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, চীন এবং রাশিয়া।

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প টুইট বার্তায় প্রেসিডেন্ট রোহানিকে সতর্ক করেছেন। বলেছেন, ‘আপনি আর কখনোই যুক্তরাষ্ট্রকে হুমকি দেবেন না। যদি দেন তা হলে আপনাকে এমন পরিণতি দেখতে হবে, যা ইতিহাসে এর আগে খুব কমই হয়েছে।’

ট্রাম্প বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র এখন আর এমন কোনো দেশ নয়, যা সহিংসতা ও মৃত্যুর ব্যাপারে আপনার উন্মত্ত কথা শুনবে। আপনি সাবধান হয়ে যান।’

এর আগে ইরানি প্রেসিডেন্টের করা এক মন্তব্যের পরেই ট্রাম্প এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইরনা জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রোহানি ইরানি কূটনীতিকদের বলেছেন, ‘আমেরিকার জানা উচিত যে ইরানের সঙ্গে শান্তিই হলো আসল শান্তি। আর ইরানের সঙ্গে যুদ্ধের মানে হলো এক ব্যাপক যুদ্ধ।’

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এর আগে টুইটারে এ ধরনের ক্রুদ্ধ বার্তা দিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-আনের উদ্দেশ্যে, যাকে তিনি উল্লেখ করেছিলেন একজন ‘উন্মাদ’ হিসেবে। তাকে উদ্দেশে করেও তিনি বলেছিলেন, ‘এমন পরিণতি হবে যা এর আগে কারো হয়নি।’ পরমাণু হামলা চালানোর জন্যে কার দেশের ‘সুইচ’ কত বড়ো সেটা নিয়েও তারা বিবাদে জড়িয়ে পড়েছিলেন।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ