আজকের শিরোনাম :

সৌদি ছাড়তে হতে পারে কয়েক লাখ শ্রমিককে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২০, ১০:২৭

অভিবাসী কর্মী ছাঁটাই কর্মসূচি নিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশ। এদের মধ্যে সৌদি আরব আগে থেকেই বিদেশি কর্মী বাদ দিয়ে নিজেদের নাগরিকদের কাজে লাগানোর সিদ্ধান্ত নেয়।  

করোনার কারণে তা হতে পারে আরও জোরদার। ফলে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হলে দেশে ফিরতে পারেন কয়েক লাখ আন-ডকুমেন্টেড বা অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসী কর্মী।   

এপ্রিলের শুরু থেকেই সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের আটটি দেশ বেকার কর্মীদের ফিরিয়ে নিতে সরকারকে চাপ দিয়ে আসছে। করোনার মধ্যে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকা সত্ত্বেও বিশেষ ব্যবস্থায় গেলো ১ এপ্রিল থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্য থেকে ফেরত এসেছে ১৪ হাজার ৬৯২ অভিবাসী কর্মী। যাদের মধ্যে ৯৪ জন নারী। কাতার, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত  থেকে ফিরেছে এসব কর্মী। তাদের মধ্যে মালদ্বীপ ফেরতও রয়েছেন। 

এদিকে সৌদি আরব বাংলাদেশের সবচে বড় শ্রমবাজার। দেশটি ২০৩০ সালের মধ্যে সরকারি চাকরিতে ৭০ শতাংশ সৌদি নাগরিক নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর সাথে করোনায় চাকরি হারানোর সংখ্যা যোগ হলে ফিরতে পারে কমপক্ষে ১০ লাখ বাংলাদেশি। এ নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নতুন বাজার খুলতে চিঠিও দিয়েছিল দূতাবাস। 


সৌদি আরবে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত গোলাম মসিহ বলেন, ‘তারা পলিসি নিয়েছে ৭০ শতাংশ দেশীয় কর্মী নিয়োগ করবে। তাহলে সেখানে আমাদের বিরাট একটা অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’ 

বিএমইটির হিসেবে শ্রমবাজার চালুর পর থেকে এখন পর্যন্ত সৌদি আরবে ৪০ লাখ বাংলাদেশি কর্মী গেছে। বর্তমানে রয়েছে ২২ লাখ বাংলাদেশি যার মধ্যে ২ লাখের বেশি অবৈধ। 

গোলাম মসিহ বলেন, ‘হাফ মিলিয়ন থেকে এক মিলিয়ন পর্যন্ত আমাদের অ্যাফেক্ট করবে। সব চেয়ে বড় যায়গা হচ্ছে যারা আন ডকুমেন্টেড অর্থাৎ যারা ছোট ছোট কাজ করত।’  

মোবাইল ফোন কোম্পানি কিংবা প্রসাধনী দোকানগুলোতে কোন বিদেশি অভিবাসী কাজ করতে পারবে না বলে এরই মধ্যে নির্দেশনা জারি করেছে সৌদি সরকার। করোনার কারণে আকামার মেয়াদ শেষ হওয়ায় আকামা নবায়ন করতে পারেনি অনেকেই। ফলে ভিসার মেয়াদ শেষ হওয়ায় অবৈধ হয়ে পড়তে পারেন কয়েক লাখ অভিবাসী। তাদেরকেও ফেরত পাঠানো হতে পারে।

বিভিন্ন সময় ইয়েমেন, ইথিওপিয়া ও সোমালিয়ার কর্মী ফেরত পাঠানোর ইতিহাস রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের এই তেল সমৃদ্ধ দেশটির।  

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ