মিয়ানমারে খনিতে ভূমিধসে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১১৩
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০২ জুলাই ২০২০, ১৫:০০
মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলে জেড পাথরের একটি খনিতে ভূমিধসের পর নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১৩ জনে। এর আগে ৫০ জন নিহতের কথা জানানো হয়েছিল।
নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে বলা হয়, ভারি বর্ষণের মধ্যে শ্রমিকরা পাথর সংগ্রহ করার সময় আড়াইশ ফুট উঁচু বিশাল এক কাদার স্তূপ ধসে পড়ে। ফলে খনিতে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে জল-কাদার বিশাল ঢেউ সৃষ্টি হয় এবং বহু শ্রমিক তার নিচে চাপা পড়েন।
অনেকেই এখনো নিখোঁজ রয়েছে জানিয়ে মিয়ানমারের মন্ত্রী উ তিন সোয়ে বলেছেন, মৃতের সংখ্যা আরও বাড়বে বলে তারা আশঙ্কা করছেন।
বিশ্বের সবচেয়ে বেশি জেড পাথর মজুদ রয়েছে মিয়ানমারে। কিন্তু সেখানে প্রায়ই অসংখ্য দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। কিছু রিপোর্টে বলা হয়েছে, কাচিন প্রদেশের হপাকান্ত এলাকায় ওই খনি ধসের ঘটনায় আরও অনেকে মাটিচাপা পড়েছে।
এক ফেসবুকে পোস্টে মিয়ানমারের ফায়ার সার্ভিস জানিয়েছেন, উত্তর মিয়ানমারের কাচিন রাজ্যের জেড-সমৃদ্ধ পাক্তান এলাকার খনিতে অলঙ্কারে ব্যবহৃত পাথর সংগ্রহ করছিলেন খনি শ্রমিকরা। গত কয়েকদিন যাবত তুমুল বৃষ্টির কারণে ‘কাদার স্রোত’-এ চাপা পড়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে।
এদিকে জেড পাথর খুঁজে পাওয়ার আশায় লরি থেকে ফেলে দেওয়া ধ্বংসস্তুপের কাছে জড়ো হয়েছে কয়েকশ মানুষ।
মিয়ানমারে এ ধরনের ঘটনা অবশ্য নতুন নয়। শ্রমিকদের নিরাপত্তায় পর্যাপ্ত ব্যবস্থা না থাকায় মাঝেমধ্যেই এমন ঘটনা ঘটে। গত বছরও এক খনিতে দুর্ঘটনায় শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়।
সবুজ রঙের মূল্যবান জেড পাথর সাধারণত অলঙ্কার তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। বিশ্বে এ ধরনের পাথরের সবচেয়ে ভালো উৎস মিয়ানমার। দেশটির জিডিপির একটা বড় অংশই আসে এ খাত থেকে।
চীন বার্মিজ জেড পাথরের বৃহৎ বাজার হিসেবে পরিচিত। চীনারা এটিকে ‘স্বর্গের পাথর’ হিসেবে আখ্যায়িত করে থাকে। আর এ জেড পাথর খাতে মিয়ানমারের বার্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ৩০ বিলিয়ন ডলার।
এবিএন/সাদিক/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ