আজকের শিরোনাম :

কৃষ্ণাঙ্গ হত্যায় বিশ্ব জুড়ে সমালোচিত যুক্তরাষ্ট্র

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০১ জুন ২০২০, ১৯:৩৪

শ্বেতাঙ্গ পুলিশের কাছে জর্জ ফ্লয়েড মৃত্যুতে বিশ্ব জুড়ে সমালোচনার তীরে বিদ্ধ হচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এক্ষেত্রে মানবাধিকার রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ও বিশ্ব জুড়ে পরিচালিত কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস। সেখানে আরো বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রে বিগত বছরগুলোতে একাধিক কৃষ্ণাঙ্গ হত্যা ও নির্যাতনের ঘটনার পর জর্জ ফ্লয়েডের ঘটনায় বিশ্ব জুড়ে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ক্ষোভ বাড়ছে যা দেশটির বর্তমান অবস্থানে বড় প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা প্রকাশ করা হয়।

ফ্লয়েডের মৃত্যু নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি কানাডার টরোন্টো থেকে শুরু করে লন্ডনের রাস্তায়ও বিক্ষোভ প্রদর্শন করা হয়। এর পাশাপাশি ক্ষোভ প্রকাশ করে আদ্দিস আবাব এবং বেইজিং। কানাডার ভ্যানকুবারে রাস্তায় আন্দোলনকারীরা স্লোগান দেয়, 'ব্লাক লাইফ মেটার'। অন্যদিকে জার্মানের বার্লিনে প্রকাশিত সংবাদপত্রে ফ্লয়েডকে হত্যা করা শ্বেতাঙ্গ সাবেক পুলিশ কর্মকর্তাকে 'কিলার কপ' (খুনি পুলিশ) অ্যাখ্যা দিয়ে জানায় তার কারণে আজ আমেরিকায় আগুন জ্বলছে। লেবাননেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জুড়ে ছিলো আন্দোলনকারীদের পক্ষে পোস্ট।

বারবার এমন ঘটনা বিশ্ব দরবারে আমেরিকার নৈতিক অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে বলে জানায় নিউ ইয়র্ক টাইমস। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিপক্ষদের জন্য এটি একটি দুর্দান্ত সুযোগ বলে মন্তব্য করেছে এই গণমাধ্যম। তারা জানায়, এরই মধ্যে চীন তার রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যমে বেশ ফলাও করে এই আন্দোলনের খবর প্রকাশ করছে। সেই সঙ্গে তারা (চীন) বিষয়টিকে আমেরিকার জন্য বড় ব্যর্থতা হিসেবেও মন্তব্য করছে।

অন্যদিকে আমেরিকার সরকারি কর্মকর্তারা যখন হংকং ইস্যুতে চীনের সমালোচনা করছিলো, এই আন্দোলন শুরু হওয়ার পর সেই আমেরিকান কর্মকর্তাদের পোস্ট আমেরিকার নৈতিক অবস্থানকে প্রশ্নবিদ্ধ করে প্রচার করা হচ্ছে। আমেরিকার প্রতি তীব্র সমালোচনার তীর ছুড়ে দিচ্ছে চীন এবং ইরান। এখনো যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ১৪০ শহরে এই হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে ন্যায় প্রতিষ্ঠার আন্দোলন চলছে। আন্দোলন থামাতে বিশেষ বাহিনী মোতায়েনের কথা ভাবছে দেশটি যা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে নতুন এক ঘটনা হবে।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ