মেক্সিকোতে প্রাচীন ‘বৃষ্টি দেবতার’ মন্দিরের সন্ধান
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৫ জুলাই ২০১৮, ১৩:২৯
ঢাকা, ১৫ জুলাই, এবিনিউজ : সেপ্টেম্বরের প্রলয়ঙ্করী ভূমিকম্পে মেক্সিকোতে যে ধ্বংস-যজ্ঞ ঘটে গেছে তার মধ্যেই একটি সুখবরের আভাস দিচ্ছেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা।
ভূমিকম্পের পর হঠাৎ করেই পাওয়া গেছে প্রাচীন এক মন্দিরের সন্ধান।
প্রাচীন এ মন্দিরটির সন্ধান মিলেছে মেক্সিকো সিটি থেকে ৭০ কিলোমিটার দক্ষিণে একটি পিরামিডের ভেতর।
পুরনো এই পিরামিডের নাম টিওপানজোলকো।
মনে করা হচ্ছে যে, ১১৫০ সালের দিকে এটি নির্মিত হয়ে থাকতে পারে এবং এটি হয়তো সম্ভবত টিলাহুইকা সংস্কৃতির নির্দেশক।
মেক্সিকোর কেন্দ্রীয় অঞ্চলে একসময় প্রাচীন এজটেকদের বাস ছিল।
ভূমিকম্পে হদিস পাওয়া এ মন্দিরটি এজটেকদের বৃষ্টির দেবতা টিলালোককে উৎসর্গ করে বানানো বলে ধারণা করা হচ্ছে।
প্রতœতাত্ত্বিকরা বলছেন, মন্দিরটি দৈর্ঘ্য-প্রস্থে ৬ মিটার বাই ৪ মিটার। অর্থাৎ ২০ ফিট বা ই ১৩ ফিটের মতো বড় এই প্রাচীন মন্দির।
মন্দিরের অভ্যন্তরে ধূপ-ধোনা দেওয়ার জন্য একটি জায়গা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া, মৃৎপাত্রের টুকরো বা ধ্বংসাবশেষ-ও পাওয়া গেছে।
ভূমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতি পরিমাপ করবার জন্য মেক্সিকোর ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব এনথ্রোপোলজি অ্যান্ড হিস্ট্রির (আইএনএএইচ) পক্ষ থেকে রাডার ব্যবহার করে ভবনগুলোতে কী পরিমাণ স্ট্রাকচারাল ক্ষতি হয়েছে সেটি জানার চেষ্টা করছিল। আর এটি জানতে গিয়েই পাওয়া যায় প্রাচীন এই বৃষ্টি দেবতার মন্দির।
প্রতœতাত্ত্বিক বারবারা কোনিয়েকযা বলেন, ৭ দশমিক ১ মাত্রার যে ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল মেক্সিকোতে ফলে টিওপানজোলকোর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।
টিওপানজোলকো পিরামিডের মূল অবকাঠামো ১৩শ শতকের দিকে নির্মিত হয়েছিল বলে মনে করা হয়।
অর্থাৎ পিরামিডের ভেতরে যে মন্দিরের সন্ধান পাওয়া গেছে সেটি এই পিরামিডের আগে থেকেই এখানে ছিল বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
আর এ বিষয়টির একটি বিশ্লেষণ তুলে ধরে মিজ কোনিয়েকযা বলেন, পুরনো অবকাঠামোর ওপরে নতুন কিছু নির্মাণ করাটা এখানে কোনো অস্বাভাবিক ব্যাপার নয়।
সূত্র : বিবিসি এবিএন/সাদিক/জসিম
সূত্র : বিবিসি এবিএন/সাদিক/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ