আজকের শিরোনাম :

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে প্রচণ্ড বন্দুক যুদ্ধ: ৩ সেনা, ৯ গেরিলা নিহত

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ এপ্রিল ২০২০, ০০:১১

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে দুই পৃথক ঘটনায় ৩ সেনা এবং স্বাধীনতাকামী ৯ গেরিলা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানের ইংরেজি নিউজ চ্যানেল প্রেসটিভি।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর মুখপাত্র কর্নেল রাজেশ কালিয়া জানান, আজ(রোববার) ভোরে পাঁচ গেরিলা নিহত হয়েছে। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিভক্ত কাশ্মিরের কার্যকর সীমান্ত হিসেবে পরিচিত নিয়ন্ত্রণ রেখা বা এলওসি কাছাকাছি উত্তরাঞ্চলীয় কেরান এলাকায় এই পাঁচ গেরিলা নিহত হয়। সংঘর্ষে তিন সেনা নিহত এবং কয়েকজন মারাত্মক ভাবে আহত হয়েছে বলেও জানান তিনি।

নয়াদিল্লির সরকারি বাহিনী এবং স্বাধীনতাকামী গেরিলাদের মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলীয় কুলগামে মারাত্মক বন্দুক যুদ্ধের মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এ লড়াই হয়। এখানে চার গেরিলা নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

প্রেসটিভি আরও জানায়, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে জমির মালিকানা অধিকার আইনে পরিবর্তন আনার সিদ্ধান্ত নেয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই সেখানে প্রচণ্ড বন্দুক যুদ্ধ হলও। এই আইন পরিবর্তন করা হলে ভারতীয়রা কাশ্মিরের স্থায়ী বাসিন্দা হতে পারবেন। আর এতে মুসলমান অধ্যুষিত হিমালয় অঞ্চলটিতে জনমিতির পরিবর্তন ঘটবে বলে আশংকা করা হচ্ছে।

করোনার প্রকোপ ঠেকাতে একশ ১৩ কোটি মানুষের দেশ ভারতে যখন ২১ দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে তখন কাশ্মিরে এ আইনের পরিবর্তন আনায় একে অনেকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত হিসেবে দেখছেন।

গত আগস্টের ৫ তারিখে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশাসন আধা স্বায়ত্তশাসনের মর্যাদা বাতিল করার পর থেকেই কার্যত লকডাউনে রয়েছে জম্মু ও কাশ্মির।

কাশ্মিরে কয়েক হাজার অতিরিক্ত সেনা প্রেরণের পাশাপাশি, কঠোর কারফিউ বলবত করে নয়াদিল্লি । টেলিযোগাযোগ এবং ইন্টারনেট সেবা বন্ধ করে দেয়। কাশ্মিরের রাজনৈতিক নেতা এবং স্বাধীনতাকামীদেরকে করে গ্রেফতার।

সাত দশক আগে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ভাগ হওয়ার পর নয়াদিল্লি কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। তবে মোদী এবং তাঁর উগ্র হিন্দুবাদী ভারতীয় জনতা পার্টি বা বিজেপি দীর্ঘদিন ধরে কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসনের বিরোধিতা করছে।

গত বছরের গোঁড়ার দিকে নির্বাচনে  হিন্দু সংখ্যাধিক্য অঞ্চলগুলো থেকে তার দল বৃহত্তর ম্যান্ডেট পাওয়ার পরে মোদী সরকার তাদের হিন্দু-প্রথম জাতি গঠনের ইশতেহার বাস্তবায়নে কোনও সময় নষ্ট করে নি। তার এই ইশতেহারে মুসলিম বিরোধী দল এবং ভিন্নমতাবলম্বীদের মত প্রকাশের কোনও অবকাশই নেই। কিংবা তাদেরকে মুখ খুলতে দেয়া হবে না বলে জানায় প্রেসটিভি।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ