আজকের শিরোনাম :

করোনাভাইরাস

ভেঙ্গে গেছে স্বাস্থ্য কাঠামো, ইকুয়েডরের সড়কে ছড়িয়ে ছিটিয়ে লাশ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২০, ১৭:৩৫

করোনাভাইরাস মহামারিতে নাস্তানাবুদ দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ইকুয়েডর। দেশটিতে ঝড়ের গতিতে ছড়াচ্ছে এই ভাইরাস। হু হু করে বাড়ছে রোগী। তাতে পুরো স্বাস্থ্যসেবা কাঠামোই যেন ভেঙ্গে পড়েছে দেশটির।

ইকুয়েডরে করোনার এপিসেন্টার বা মূলকেন্দ্র হিসেবে চিহ্নিত বন্দরনগরী গুয়ায়াকুইলে সবচেয়ে বড় মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে করোনায়। এখানে করোনায় আক্রান্তরা হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার কোনো সুযোগই পাচ্ছেন না।এমনকি মৃত্যুর পর লাশ সৎকারেরও কোনো কার্যকর ব্যবস্থা করতে পারছে না পৌর কর্তৃপক্ষ। শহরটির বিভিন্ন রাস্তায় তাই করোনায় মৃত মানুষের লাশ ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকতে দেখা যায়।

এমন অবস্থায় রাস্তা থেকে লাশ সরিয়ে নিতে সেনাবাহিনী ও পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।তারা রাস্তায় রাস্তায় পড়ে থাকা মৃতদেহ জড়ো করছে।

দেশটির বন্দরনগরী গুয়ায়াকুইলের রাস্তা থেকে এখন পর্যন্ত ৪০০ জনের পচাগলা লাশ উদ্ধার করেছে সেনা-পুলিশের যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। শহরের হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতেও অসংখ্য লাশ বেওয়ারিশ পড়ে আছে। মর্গগুলোতেও আর জায়গা নেই।

ইকুয়েডর সরকারের আশংকা, চলতি এপ্রিল মাসের মধ্যেই গুয়ায়াকুইল নগরী ও আশপাশের এলাকায় ৩,৫০০-এর বেশি মানুষ করোনায় মারা যেতে পারে।

এমন অবস্থায় রাস্তা থেকে লাশ সরিয়ে নিতে সেনাবাহিনী ও পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।তারা রাস্তায় রাস্তায় পড়ে থাকা মৃতদেহ জড়ো করছে।

দেশটির বন্দরনগরী গুয়ায়াকুইলের রাস্তা থেকে এখন পর্যন্ত ৪০০ জনের পচাগলা লাশ উদ্ধার করেছে সেনা-পুলিশের যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। শহরের হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতেও অসংখ্য লাশ বেওয়ারিশ পড়ে আছে। মর্গগুলোতেও আর জায়গা নেই।

ইকুয়েডর সরকারের আশংকা, চলতি এপ্রিল মাসের মধ্যেই গুয়ায়াকুইল নগরী ও আশপাশের এলাকায় ৩,৫০০-এর বেশি মানুষ করোনায় মারা যেতে পারে।

লস অ্যাঞ্জেলেস টাইমস জানায়, ইকুয়েডরের দ্বিতীয় বৃহত্তম নগরী গুয়ায়াকুইলের বাসিন্দারাই সামাজিক মাধ্যমে রাস্তায় পড়ে থাকা মৃতদেহের ভিডিও প্রকাশ করে। অনেকে তাদের বাড়ি থেকে মৃতদেহ সরিয়ে নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে বার্তা পাঠায়। কর্তৃপক্ষ মৃতদেহ থেকে দূরে থাকার নির্দেশনা দেয়ার বাড়িতে মারা যাওয়া মৃতদেহ পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে।

জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটির তথ্য অনুসারে, আজ শনিবার (৪ এপ্রিল) পর্যন্ত দেশটিতে ৩ হাজার ৩৬৮ নাগরিকের মধ্যে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এবং করোনায় এখন পর্যন্ত ১৪৫ জন মানুষ মারা গেছেন। আর  মৃতদের একটি বড় অংশ ছিলেন গুয়ায়াকুইলের বাসিন্দা।

জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি অবশ্য সংশ্লিষ্ট দেশের সরকারের প্রকাশিত তথ্যই কেবল তাদের তথ্য ভাণ্ডারে যুক্ত করে থাকে।

বেসরকারি বিভিন্ন সূত্রের দাবি, ইতোমধ্যে ইকুয়েডরে কয়েকশ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সরকারের জরুরী বিভাগে ফোন করে মৃত্যুর খবর জানানোর পর, তারা মৃতদেহ থেকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করার পরামর্শ দিয়েই দায়িত্ব সারছেন। কিছুক্ষণের মধ্যেই মৃতদেহ সরিয়ে নিতে লোক আসবে বলে আশ্বস্ত করা হলেও বাস্তবে কারোরই দেখা মিলছে না। বাধ্য হয়ে পলিথিনে মুড়িয়ে এসব মৃতদেহ রাস্তায় রেখে দিয়ে আসতে হচ্ছে।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ