আজকের শিরোনাম :

গুগোলের তথ্যমতে, আমেরিকার চেয়েও লকডাউনে সফল বাংলাদেশ

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৪ এপ্রিল ২০২০, ০০:৪১

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে কার্যত সারা বিশ্বেই চলছে লকডাউন। শপিং মল, হোটেল, রেস্তোরাঁ থেকে গণ পরিবহণ, সবকিছুই প্রায় বন্ধ। স্বাভাবিক জীবনে কমেছে গতিশীলতা। বেড়েছে বাড়িতে থাকার প্রবণতা। কিন্তু সেই পার্থক্য কতটা তার একটা চিত্র তুলে ধরল গুগোল। ১৩১টি দেশের পরিসংখ্যান তুলে ধরে গুগল দেখিয়েছে, হোটেল-রেস্তোরাঁ, পার্ক, থিয়েটার, অফিস থেকে শুরু করে মুদি বা ওষুধের দোকানে মানুষের যাতায়াত বা উপস্থিতি যেমন কমেছে, তেমনই বেড়েছে বাড়িতে থাকার হার। একই ভাবে কমেছে বাস, ট্রেন, মেট্রোর মতো গণ পরিবহণব্যবস্থাও।

তথ্য জোগাড় করতে গুগল ম্যাপের সাহায্য নিয়েছে গুগল। অঞ্চলভিত্তিক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় একটি নির্দিষ্ট সময়ে কত লোক অবস্থান করছে, তার যোগফলের উপর ভিত্তি করে এই পরিসংখ্যান তৈরি হয়েছে। সময়সীমা ধরা হয়েছে ১৬ মার্চ থেকে ২৯ মার্চ। তবে বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ হিসেবে গুগল বলেছে, এই তথ্যের উপর ভিত্তি করে চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না।

বাংলাদেশে মানুষের খাবার রেস্তোরাঁ ও বিনোদন কেন্দ্রে যাতায়াতের হার কমেছে ৪৮ শতাংশ। একইসাথে মুদি ও ওষুধের দোকানে ৪৬, পার্কে ২৬, পরিবহন টার্মিনাল ২৬ এবং কর্মক্ষেত্রে ৬৬ শতাংশ উপস্থিতি কমেছে। তবে বাসায় অবস্থান ২৪ শতাংশ বেড়েছে।

এই পরিসংখ্যানের বিচারে আমেরিকার চেয়ে বাংলাদেশের অবস্থা ভালোই বলা যায়। ইতালি, স্পেনের পর সবথেকে ভয়াবহ অবস্থানে আছে আমেরিকা। তবুও গুগোল ডাটা বলছে, তাদের লকডাউনের চেয়ে বাংলাদেশ বেশ ভালো অবস্থানে আছে। তবে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের অবস্থান কোনক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকলেও বেশিরভাগ জায়গাতে তারা বাংলাদেশের চেয়ে সতর্ক।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণে এখনও পর্য়ন্ত মৃতের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ইটালিতে। আক্রান্তের সংখ্যাও বিপুল। পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, লকডাউনের প্রভাবও সবচেয়ে বেশি সেই ইটালিতেই। গুগলের হিসেবে বিনোদন ও হোটেল-রেস্তোরাঁয় মানুষের যাতায়াত কমেছে ৯৪ শতাংশ। একই ভাবে মুদি ও ওষুধের দোকানে ৮৫ শতাংশ, পার্কে ৯০ শতাংশ, কর্মক্ষেত্রে ৬৩ শতাংশ কমেছে। গণ পরিবহণ, যেমন বাস, ট্রেন, মেট্রোর টার্মিনালগুলিতে মানুষের যাতায়াত কমেছে ৮৭ শতাংশ। উল্টোদিকে বাড়িতে থাকার হার বেড়েছে ২৪ শতাংশ। মৃত্যু-হারে ইটালির পরেই রয়েছে স্পেন। সেখানকার পরিসংখ্যানও ইটালির কাছাকাছি। কোথাও সামান্য বেশি, কোনও ক্ষেত্রে কিছুটা কম। ইতালীর পাশাপাশি স্পেনেও প্রায় একই অবস্থা। তবে ইতালি, স্পেনের চেয়ে আমেরিকায় অবস্থা শিথিল।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ