আজকের শিরোনাম :

রাস্তায় ঘুরছে হরিণ, সৈকতে ভিড় কচ্ছপদের! (ভিডিও)

  সংবাদ প্রতিদিন

৩০ মার্চ ২০২০, ১১:১২ | অনলাইন সংস্করণ

দেশজুড়ে লকডাউনের জেরে ইতিমধ্যেই কমেছে দূষণের মাত্রা। প্রকৃতি একেবারে শান্ত-নিঝুম। তা মায়ানগরী মুম্বই হোক কিংবা কলকাতার মতো দেশের বিভিন্ন ব্যস্ততম শহরগুলো। আর সেই সুবাদেই বর্তমানে বেশকিছু বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীদের দেখা মিলছে খোলা রাস্তায়। কোথাও জেব্রা ক্রসিংয়ের উপর দিয়ে হেঁটে চলেছে বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির বনবিড়াল তো কোথাও রাতের রাজপথে নেমে ঘুরে বেড়াচ্ছে হরিণরা। কিংবা কোনও সমুদ্র সৈকতের কাছে ডলফিনের ঝাঁক খেলছে তো আবার প্রকাশ্য দিনের আলোয় ঘুরে বেড়াচ্ছে বাইসন, নীলগাই, আবার জনশূন্য সমুদ্র সৈকতে ভিড় জমিয়েছে কচ্ছপরা। পরিবেশপ্রেমীরা বলছেন, এসব অকল্পনীয় দৃশ্য! প্রকৃতি যেন শ্বাস নিচ্ছে।

 

অকল্পনীয় দৃশ্যই বটে! কোনও দিনও হয়তো মানুষ কল্পনা করেননি যে রাতে ঘুমতে যাওয়ার আগে বাড়ির সামনে দিয়ে হরিণ ও তার শাবকের দলকে হেঁটে যেতে দেখবে। জানলা দিয়ে উঁকি মেরে সেসব দৃশ্য নিজের সন্তানদের সঙ্গে ভাগ করে নেবে। হরিদ্বারে সম্প্রতি এরকমই এক দৃশ্য ধরা পড়েছে। ওই একইরকম দৃশ্য ধরা পড়েছে চণ্ডীগড়ের জনৈক ব্যক্তির ক্যামেরাতেও। স্ট্রিটলাইটের আলোয় রাতের রাস্তা পেরচ্ছে এক হরিণ। বৃহস্পতিবারের কথা। নয়ডার রাস্তায় নীলগাইকে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেল।

 

কিছুদিন আগে মুম্বইয়ের সমুদ্রতটের কাছে নীল জলরাশির মাঝে ডলফিনদের অবলীলায় খেলা করতে দেখা গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রী জুহি চাওলা নিজে সেই ভিডিও শেয়ার করেছিলেন। রোজ সকালে এখন পাখির ডাকে ঘুম ভাঙছে মু্ম্বইবাসীদের। এছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এমন ঘটনার সাক্ষী থাকছেন সাধারণ মানুষ। যেমন বিরাটাকার বিলুপ্তপ্রায় এক বনবিড়ালকে দেখা গেল কেরালার কালিকটের রাস্তায় চলে বেড়াতে। অনেকটা চিতা বাঘের মতো দেখতে। পশুপ্রেমীদের দাবি অনুযায়ী, শেষবার এই জন্তুটিকে ১৯৯০ সালে দেখা গিয়েছিল।

 

ইন্ডিয়ান ফরেস্ট সার্ভিসের অফিসার সুশান্ত নন্দা বৃহস্পতিবার একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন নিজের টুইটারে। যাতে দেখা গিয়েছে বাইসন প্রজাতিরই এক প্রাণীকে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে। এদিকে, ওড়িশার সমুদ্র সৈকতে ভিড় জমিয়েছে লক্ষ লক্ষ কচ্ছপ। প্রত্যেক বছর মার্চ মাসে এই প্রজাতির কচ্ছপরা প্রজননের জন্য ওড়িশার গহিরমাথা ও রুশিকুল্যা সমুদ্র সৈকতে আসে। এই বছর ৭ লাখেরও বেশি অলিভ রিডলেস কচ্ছপ ডিম দেওয়ার জন্য সমুদ্র তীরে উঠে এসেছে। বন বিভাগের পরিসংখ্যান বলছে, এই বছর কচ্ছপগুলো প্রায় ৬০ মিলিয়ন ডিম দেবে। প্রকৃতি যে এক অন্য রূপধারণ করছে, তা বলাই যায়।  

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ