আজকের শিরোনাম :

উত্তাল দিল্লিতে সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০৯:৩১ | আপডেট : ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১০:২২

ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) বিরোধিতাকারী এবং উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। এদিকে আজ বৃহস্পতিবার প্রাণ গেল আরও ৭ জনের। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে ভারতীয় একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। এর ফলে দিল্লিতে সংঘর্ষের ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৪ জনে।

দিল্লির গুরু তেগ বাহাদুর হাসপাতাল এবং জগ প্রভাস চন্দ্র হাসপাতালের চিকিৎসকরা বলছেন, গুলিবিদ্ধ, ধারালো অস্ত্রের আঘাত, পাথরের আঘাত, ভারী কোনো জিনিসের আঘাত এবং দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছেন ভুক্তভোগীরা। 

তারা আরো বলছেন, নিহত ২৭ জনের মধ্যে ১৪ জনই গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। চিকিৎসকরা যে ধরনের আঘাতের বর্ণনা দিচ্ছেন এবং প্রত্যক্ষদর্শীরা যা বলছেন, তার ভিত্তিতে বিশেষজ্ঞদের মত হলো- এই সংঘর্ষে দেশীয় অস্ত্রের ব্যবহার ব্যাপক। ভারতে তৈরি পিস্তল, রাম দা, হাতুড়ি, কাস্তে, বেসবল ব্যাট, লাঠি ও পাথর নিয়ে হামলা চালাচ্ছেন উগ্র হিন্দুত্ববাদীরা।

পুলিশ বলছে, সংঘর্ষের সময় যে পিস্তলগুলো ব্যবহার করা হচ্ছে, সেগুলো ভারতেই তৈরি। সম্ভবত উত্তরপ্রদেশ থেকে সেসব কিনে নিয়ে আসা হচ্ছে। শ্যামলী এবং মুজাফফরনগর থেকেও কিনে নিয়ে আশার শঙ্কা রয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেছেন, গত রবিবার দিল্লি-উত্তরপ্রদেশ সীমান্ত কিছুটা বন্ধ রাখা হয়েছিল। কিন্তু সংঘর্ষের ঘটনার দিকে লক্ষ্য রেখে মঙ্গলবার বিকেল থেকে একেবারে বন্ধ করে দেওয়া হয়।  

তিনি আরো বলেন, দিল্লিতে অস্ত্র তৈরির কোনো কারখানা নেই। দিল্লিতে ব্যবহার হওয়া অবৈধ প্রত্যেকটি পিস্তল বাইরে থেকে নিয়ে আসা। সংঘর্ষের ঘটনায় গতকাল বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত অন্তত একশ ছয় জনকে আটক করা হয়েছে।

পুলিশের নথি বলছে, দিল্লিতে বসে উত্তরপ্রদেশ থেকে সহজেই অস্ত্র পেয়ে যায় অপরাধীরা। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে পুলিশ যে তথ্য প্রকাশ করেছে, সেসব নথিতেই এ ধরনের প্রমাণাদি রয়েছে। মাত্র তিন থেকে পাঁচ হাজার রুপিতেই পিস্তল পাওয়া যায় ভারতের উত্তরপ্রদেশে। আর ১৫ থেকে ২০ হাজার রুপিতে পাওয়া যায় অটোমেটিক পিস্তল।

গত সোমবার শাহরুখ নামে এক ব্যক্তির অস্ত্রসহ ছবি ভাইরাল হয়। তার ব্যবহৃত পিস্তল উত্তরপ্রদেশে তৈরি বলে মত দিয়েছেন অনেকেই। তবে, সংঘর্সের সময় সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হচ্ছে ইট ও পাথর।

সংঘর্ষের সময় অনেকেরই ভবনের জানালার কাচ ভেঙে গেছে। তারা বলছেন, জানা ভেঙে ঘরের মধ্যে ঢুকে গেছে ইট-পাথরের টুকরো। আবার অনেকের মজুদ করে রাখা ইট ভেঙে ভেঙে প্রতিপক্ষকে মারার ঘটনা ঘটছে। সংঘর্ষের সময় হাতুড়ি দিয়ে ইট ভেঙে সেসব অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ