ভারত সফরে রেকর্ড ৩ বিলিয়ন ডলারের সামরিক চুক্তি করবেন ট্রাম্প

  সংবাদ প্রতিদিন

২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১৮:২৮ | অনলাইন সংস্করণ

ভারত সফরে এসেই একগুচ্ছ অত্যাধুনিক অস্ত্রের ঝাঁপি খুলে দিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। অত্যাধুনিক ‘এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম’ থেকে শুরু করে সাজোয়া হেলিকপ্টার পর্যন্ত বিক্রির প্রতিশ্রুতি দিলেন তিনি। ইন্দো-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তি নিয়ে মেঘ জমলেও নিজের ভাষণে উচ্ছ্বাস উজাড় করে দিলেন ট্রাম্প।           

সোমবার, দু’দিনের ভারত সফরে সোমবার আহমেদাবাদে সস্ত্রীক পা রাখেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সকাল ১১.৩০ নগদ বিমানবন্দরে নামে ‘এয়ারফোর্স ওয়ান’।সেখানে তাঁকে অভ্যর্থনা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।  অবতরণের পর মোতেরা স্টেডিয়ামে ‘নমস্তে ট্রাম্প’ অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। শুরুতেই ‘বন্ধু’ মোদির ‘চায়ওয়ালা’ জীবনের সংঘর্ষের কথা তুলে ধরে তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করেন ট্রাম্প। তবে মুখে যাই বলুন না কেন, হাড়েমজ্জায় ব্যবসায়ী তিনি। সেই পথে হেঁটেই, নিজের ভাষণের মধ্যে ভারতে ‘অস্ত্রের বেসাতি’ নিয়ে একগুচ্ছ ‘লোভনীয়’ সমরাস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব দেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে অত্যাধুনিক এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম। উল্লেখ্য, রাশিয়া থেকে ‘S-400’ মিসাইল সিস্টেম কিনতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে নয়াদিল্লি। বিষয়টি নিয়ে যথেষ্ঠ আপত্তি রয়েছে ওয়াশিংটনের। এবার ভারতের প্রতিরক্ষা বাজারে রুশ প্রভাব খর্ব করতে ফের চেষ্টা চালালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। 

এদিন, ট্রাম্পের অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব সন্ত্রাসবাদ বিরোধী লড়াইয়ের মোড়কে ঢাকা ছিল।ভাষণে ট্রাম্প বলেন, “আমরা ভারতকে অত্যাধুনিক অস্ত্র দিতে তৈরি। দু’দেশ একসঙ্গে সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছে। ভবিষ্যতে এই সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। ইসলামিক স্টেট-এর মতো জঙ্গি সংগঠনকে আমরা ১০০ শতাংশ খতম করেছি। শেষ করা হয়েছে কুখ্যাত বাগদাদিকে।” এদিন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জানান, ভারতের সঙ্গে ৩ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্রচুক্তি স্বাক্ষর করতে চলেছে আমেরিকা। ভারতের মূল উদ্বেগ নিয়ে ট্রাম্প আরও জানান, সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়া থামাতে পাকিস্তানকে বাধ্য করেছে ভারত।

বিশ্লেষকদের মতে, ইন্দো-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তি না হলেও। বয়াশিংটনে প্রভাবশালী ‘আর্মস লবি’র জন্য সুখবর বয়ে নিয়ে যাবেন ট্রাম্প। কাশ্মীর ও আফগানিস্তানে পাক সন্ত্রাস বন্ধ করতে ও ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চিনা আগ্রাসন রোধ করতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে বোঝাপড়া রয়েছে নয়াদিল্লির। তবে কয়েক দশকের রুশ মদত ও বন্ধুত্বও কৌশলগত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় ভারতকে মাথায় রাখতে হবে। ফলে গোটা প্রক্রিয়ার ভারসাম্য বজায় রাখাই নমোর কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।           

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ