আজকের শিরোনাম :

করোনা মোকাবিলায় বিল গেটসের অর্থসাহায্য, জিনপিংয়ের কৃতজ্ঞতা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ২০:৫০

পরিকাঠামোই হোক কিংবা অর্থবল, নোভেল করোনা ভাইরাসের দাপটের সঙ্গে যুঝতে যে হিমশিম দশা চিনের, তা মানলেন চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। এই পরিস্থিতিতে অর্থ দিয়ে চিনের পাশে দাঁড়ানোয় কৃতজ্ঞতাপূর্ণ চিত্তে তিনি চিঠি লিখলেন মার্কিন ধনকুবের বিল গেটসকে। জানালেন ধন্যবাদ, প্রকাশ করলেন আরও অনেক কথাই। তার মধ্যে নিজেদের ব্যর্থতার ইঙ্গিতও রয়েছে। চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম সূত্রে এই চিঠির কথা জানানো হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, চিনে করোনার বলি ২৩০০ পেরিয়েছে।

ডিসেম্বরের মাঝামাঝি থেকে চিনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী ইউহান প্রথম ছড়িয়ে পড়ে করোনা ভাইরাস বা Covid-19 জীবাণুটি। রোগ প্রতিরোধে গোড়া থেকে আঁটঘাঁট বেঁধে নামলেও, সংক্রমণ ঠেকাতে ডাহা ফেল চিনের স্বাস্থ্য বিভাগ, চিকিৎসা পরিষেবা। দিন দিন লাফিয়ে বাড়ছে মৃত্যু। তড়িঘড়ি ১০০০ শয্যার হাসপাতাল তৈরি করেও লাভ বিশেষ হয়নি। শুধু চিন নয়, বিশ্বের অন্তত ২৫ দেশের করোনা ভাইরাস ছড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একে ‘গুরুতর বিপদ’ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এই পরিস্থিতিতে করোনা মোকাবিলায় গোটা বিশ্বের সাহায্যার্থে ১০০ মিলিয়ন ডলার দান করেছে বিল গেটসের প্রতিষ্ঠান। তার পরিপ্রেক্ষিতেই তাঁকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে চিঠি লিখলেন চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

চিনা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, জিনপিং চিঠিতে লিখেছেন, “বিল এবং মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের কাছে আমি গভীরভাবে কৃতজ্ঞ। চিনের এমন সংকটের মুহূর্তে তিনি যেভাবে পাশে দাঁড়িয়েছেন, তা দেশবাসীর কাছে খুবই ভরসার। অপ্রত্যাশিতভাবেই দেশজুড়ে এই মারণ রোগটি ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা সবরকমভাবে আক্রান্তদের সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করছি। কিন্তু এত চেষ্টা সত্ত্বেও কাজ হচ্ছে খুব কম।” তাঁর এই বয়ান থেকেই স্পষ্ট যে পরিস্থিতি সামলাতে নিজেদের ব্যর্থতা স্বীকার করে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। সেইসঙ্গে প্রভূত অর্থ খরচ করেও প্রত্যাশিত ফল মিলছে না।

নতুন পাওয়া খবর অনুযায়ী, ইউহানের পর সম্প্রতি চিনের বিভিন্ন কারাগার এবং হাসপাতালেও করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক চেহারা নিয়েছে। দিনরাত এক করে সেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা। নিজেদের বিপদ তুচ্ছ করেও লাগাতার করোনা আক্রান্তদের পাশে রয়েছেন সে দেশের প্রায় সকল স্বাস্থ্যকর্মীই। তবু কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। মারণ করোনা জীবাণু বুঝিয়ে দিচ্ছে নিজের শক্তি। তাকে রোখা আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের সীমিত পরিকাঠামোয় এখনও পর্যন্ত সম্ভব হচ্ছে না।

এই পরিস্থিতিতে বিল গেটসের প্রতিষ্ঠান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, মার্কিন রোগ প্রতিরোধ সংগঠন এবং চিনের স্বাস্থ্য কমিশনকে আর্থিক সাহায্য করেছে। যে অর্থে করোনা প্রতিরোধের গবেষণা, ওষুধ আবিষ্কার এবং সঠিকভাবে চিকিৎসার কাজে লাগানোর কথা জানিয়েছেন গেটস। আর তাঁর এই সাহায্যেই আপ্লুত বিশ্বের অন্যতম ধনী দেশের রাষ্ট্রপ্রধান। বোঝাই যাচ্ছে, করোনার সঙ্গে যুদ্ধ করতে গিয়ে চিনের আর্থিক পরিস্থিতিও ততটা শক্তপোক্ত আর নেই। নাহলে কি প্রেসিডেন্টকে এভাবে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে হতো?

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ