আজকের শিরোনাম :

কোয়ারেন্টিন করা জাহাজ থেকে দেশে ফিরছেন মার্কিনিরা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১২:১৫ | আপডেট : ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ১২:১৬

জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে কোয়ারেন্টিন করা প্রমোদতরী ডায়মন্ড প্রিন্সেস থেকে দুটি উড়োজাহাজে করে মার্কিন নাগরিকদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে।

সোমবার ভোররাতে টোকিওর হ্যানেডা বিমানবন্দর থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের পাঠানো বিমান ছেড়ে যায় বলে জানাচ্ছে কিওডো নিউজ এজেন্সি।

চীনে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ার কারণে জাপানের ইয়োকোহামা বন্দরে গত ৩রা ফেব্রুয়ারি থেকে আটকে আছে ডায়মন্ড প্রিন্সেস। জাহাজটিতে ৩৫৫ জনেরও বেশি লোকের করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিশ্চিত করা হয়েছে। চীনের বাইরে একক কোনো জায়গায় সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা ঘটেছে এ জাহাজেই।

ডায়মন্ড প্রিন্সেস জাহাজে প্রায় ৪০০ মার্কিন যাত্রী ছিলেন, তাদের মধ্যে অন্তত ৪০ জনের করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঘটেছে। তাদের চিকিৎসা জাপানেই হবে।

ডায়মন্ড প্রিন্সেস জাহাজটিকে প্রায় ৩ হাজার ৭০০ যাত্রী নিয়ে ইয়োকোহামা বন্দরে কোয়ারেন্টিন করা হয়। জাহাজের একজন যাত্রী হংকংয়ে নেমে যাবার পর তার করোনাভাইরাস শনাক্ত হলে ডায়মন্ড প্রিন্সেস জাহাজটিকে আটক করা হয়। এর পর থেকে জাহাজের যাত্রীদের মধ্যে প্রবল ভীতি ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দৈনন্দিন জীবনযাপনে সতর্কতা অবলম্বন করা শুরু হয়।

যাত্রীদের নিজ নিজ কেবিনে থাকার পরামর্শ দেয়া হয়। খাবার ঘরে পৌঁছে দেয়া হতে থাকে। যারা ঘরে খাবার নিয়ে যাবে তারা মুখোশ, গ্লাভস, প্লাস্টিকের অ্যাপ্রন ইত্যাদি পরে এ কাজ করেছেন।

জাহাজে ক্রু আছেন ১ হাজার ৪৫ জন। এ ছাড়া জাহাজের বাইরে ৫০টি অ্যামবুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয় জরুরি ভিত্তিতে রোগী হাসপাতালে পৌঁছানোর জন্য।

জাপানের ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজের পরিচালক ডা. অ্যান্থনি ফাউসি বলেছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়া মার্কিন নাগরিকদের জাপানে চিকিৎসা করা হবে।
 বে যারা বিমানে করে যুক্তরাষ্ট্র ফিরে গেছেন, তাদের মধ্যে কেই সংক্রমিত হয়েছেন কিনা তা পরিষ্কার নয়।

ডা. ফাউসি বলছেন, ‘তবে বিমানে থাকা কারো মধ্যে যদি আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ বা উপসর্গ দেখা দেয়, তা হলে বিমানের মধ্যেই তাকে আলাদা করে ফেলতে হবে।’

যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের পর এই যাত্রীদের প্রত্যেককে ১৪ দিন কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে। তবে জাহাজে থাকা কিছু যাত্রী মার্কিন সরকারের পাঠানো বিমানে ফেরত যেতে রাজি হননি।

তারা ১৯ ফেব্রুয়ারি জাহাজের সবার কোয়ারেন্টিনে থাকা সময়সীমা শেষ হলে একসঙ্গে ফিরতে চান।

ম্যাট স্মিথ নামে জাহাজের একজন যাত্রী সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, একদল সম্ভাব্য করোনাভাইরাস সংক্রমিত মানুষের সঙ্গে তিনি বাসে করে বিমানে চড়তে যেতে রাজি নন।

যুক্তরাষ্ট্র ছাড়াও নিজ নিজ দেশের নাগরিকদের সরিয়ে নেবার জন্য ইসরায়েল, হংকং ও কানাডার চার্টার্ড বিমান পাঠাচ্ছে।

এদিকে জাহাজে আটকে পড়া যাত্রীদের কিছুটা স্বস্তি দেওয়ার অংশ হিসেবে জাপান সরকার ২ হাজার আইফোন উপহার দিয়েছে, মানে প্রতি কেবিনের জন্য একটি হিসেব করে।

যাত্রীদের জাপানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বানানো অ্যাপ ব্যবহারের পরামর্শ দেয়া হয়েছে, যেখানে ব্যবহারকারীর সঙ্গে চিকিৎসক, ফার্মাসিস্ট, মনোবিদের সংযোগ স্থাপন করে দেয়া আছে।

জাপানের বাইরে অন্য দেশে রেজিস্টার করা ফোন থেকে ওই সেবা পাওয়া যায় না।
তথ্যসূত্র : বিবিসি

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ