আজকের শিরোনাম :

বিন সালমানই কি আমাজন বসের ফোন হ্যাক করান?

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২২ জানুয়ারি ২০২০, ১৮:৩৪

আমাজনের বস জেফ বেজোসের ফোন হ্যাক করার পেছনে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানের জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করেছে সৌদি আরব।

বিভিন্ন প্রতিবেদন বলছে, যুবরাজের ব্যবহার করা একটি ফোন নম্বর থেকে আসা একটি বার্তা এই হ্যাকিংয়ের সাথে তাঁর জড়িত থাকার ইঙ্গিত দেয়। যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সৌদি দূতাবাস এই প্রতিবেদনগুলোকে "অযৌক্তিক" উল্লেখ করে বলেছে এবং প্রতিবেদনগুলো নিয়ে তদন্ত হওয়া দরকার।

এর আগে অভিযোগ উঠেছিল যে, এই হ্যাকিংয়ের ঘটনার সাথে ইস্তানবুলের সৌদি কনস্যুলেটে ওয়াশিংটন পোস্টের সাংবাদিক জামাল খাসোগজির হত্যার ঘটনার যোগসূত্র রয়েছে।

অনলাইন রিটেইল জায়ান্ট আমাজনের প্রতিষ্ঠাতার পাশাপাশি মিস্টার বেজোস ওয়াশিংটন পোস্টেরও মালিক।

যুক্তরাজ্যের সংবাদপত্র গার্ডিয়ানে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, মোহাম্মদ বিন সালমান, যিনি এমবিএস বলেও পরিচিত, তাঁর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে একটি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পাওয়ার পরপরই মিস্টার বেজোসের ফোন হ্যাক করা হয়েছিল।

দ্য ফিনান্সিয়াল টাইমস তাদের প্রতিবেদনে বলে, তথ্য চুরির ঘটনায় পরিচালিত তদন্তে জানা যায় যে, প্রিন্সের কাছ থেকে একটি এনক্রিপ্ট করা ভিডিও ফাইল পাওয়ার পর থেকেই এই কোটিপতির ফোন গোপনে বিশাল পরিমাণ তথ্য বিনিময় শুরু করে।

যুক্তরাষ্ট্রে থাকা সৌদি দূতাবাস টুইটারে তাদের অ্যাকাউন্ট থেকে এই অভিযোগ সরাসরি অস্বীকার করেছে এবং এ ঘটনার তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে। এ বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে আমাজন বিবিসিকে কোন প্রতিক্রিয়া জানাননি।

আমেরিকার ট্যাবলয়েড দ্য ন্যাশনাল ইনকোয়ারার-এ মিস্টার বেজোসের ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার পর এসব প্রতিবেদন আসে।

জেফ বেজোস এবং তার বান্ধবী ফক্স টেলিভিশনের সাবেক উপস্থাপিকা লরেন স্যানচেজের মধ্যে বিনিময় করা লিখিত বার্তা ফাঁস করার পর ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মিস্টার বেজোস দ্য ন্যাশনাল ইনকোয়ারারের বিরুদ্ধে "অন্যায় দাবী এবং ব্ল্যাকমেইল" করার অভিযোগ তোলেন।

এর এক মাস আগে তিনি এবং তার স্ত্রী ম্যাককেনজি বেজোস ঘোষণা দেন যে, "দীর্ঘ সময়" আলাদা থাকার পর তারা তাদের ২৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানতে তালাকের পরিকল্পনা করছেন।

মিস্টার বেজোসের ফোন হ্যাকিংয়ের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগ সৌদির বিরুদ্ধে এটাই প্রথম নয়।

গত বছরের মার্চে আমাজনের প্রতিষ্ঠাতার এক তদন্তকারী কর্মকর্তা বলেন যে, সৌদি আরব হ্যাকের সাথে জড়িত এবং তাঁর (বেজোসের) তথ্যে তারা প্রবেশাধিকার পেয়েছে।

গেভিন ডি বেকারকে মিস্টার বেজোস ভাড়া করেছিলেন এটা খুঁজে দেখতে যে, তাঁর ব্যক্তিগত তথ্য কিভাবে দ্য ন্যাশনাল ইনকোয়ারারের কাছে ফাঁস হলো।

মিস্টার ডি বেকার হ্যাকের ঘটনাকে ইস্তানবুলে সৌদি কনস্যুলেটে দেশটির লেখক জামাল খাসোগজির হত্যার ঘটনাটিকে ওয়াশিংটন পোস্টের সংবাদ পরিবেশনের সাথে সংশ্লিষ্ট বলে জানিয়েছিলেন।

এবিএন/মমিন/জসিম
 

এই বিভাগের আরো সংবাদ