আজকের শিরোনাম :

যুক্তরাজ্যে বরিস জনসনের কনজারভেটিভ পার্টির বড় জয়

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ১২:৪৩

যুক্তরাজ্যের সাধারণ নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের দল কনজারভেটিভ পার্টি।

স্থানীয় সময় শুক্রবার ভোর ৬টা পর্যন্ত ঘোষিত ৬৪২টি আসনের ফলাফলে দেখা গেছে, ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টি ৩৫৮টি আসনে জয় পেয়েছে, যা গতবারের চেয়ে ৪৭টি বেশি। আর প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টি পেয়েছে ২০৩টি আসন। ফলে এককভাবেই সরকার গঠন করতে যাচ্ছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন।

১৯৮৭ সালের পর এটি কনজারভেটিভ দলের জন্য সবচেয়ে বড় জয় এবং ১৯৩৫ সালের পর লেবার দলের সবচেয়ে বড় পরাজয়। 

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় প্রধানমন্ত্রী জনসন ভোটের এই ফলাফলকে ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের জন্য ‘নতুন শক্তিশালী ম্যান্ডেট’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। 

অন্যদিকে ব্রিটেনের প্রধান বিরোধী দল লেবার পার্টির নেতা জেরেমি করবিন ভোটের এই ফলকে ‘হতাশাজনক’ হিসেবে বর্ণনা করে জানিয়েছেন, আগামী নির্বাচনে তিনি আর পার্টির নেতৃত্বে থাকবেন না।

৬৪২টি আসনের ঘোষিত ফলাফলে দেখা গেছে, সব দলের ভোটের হার বাড়লেও সমর্থন খুইয়েছে কেবল লেবার পার্টি।

ক্ষমতাসীন কনজারভেটিভ পার্টির ভোট এবার গড়ে ১.২ শতাংশ বেড়েছে, অন্যদিকে লেবারের ভোট গড়ে ৭.৯ শতাংশ কমেছে।

পার্লামেন্টে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় এবং এমপিদের বিরোধিতার কারণে এ পর্যন্ত ব্রেক্সিট কার্যকর করতে পারেনি কনজারভেটিভরা। এ অচলাবস্থা কাটাতেই প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন আগাম নির্বাচন ডেকেছিলেন। এই পরিস্থিতিতে বরিস জনসনের নেতৃত্বে ব্রেক্সিট অথকা ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার সিদ্ধান্ত উল্টে দেওয়ার মতো আরেকটি গণভোট- এই দুইয়ের মধ্যে একটি বেছে নিতে বৃহস্পতিবার পাঁচ বছরের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো সাধারণ নির্বাচনে ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছিল যুক্তরাজ্যের নাগরিকরা।

স্কটল্যান্ডে এবারের নির্বাচনে বড় জয় পেয়েছে স্কটিশ ন্যাশনালিস্ট পার্টি (এসএনপি)।  ৫৯টি আসনের মধ্যে ৪৮টিই জিতে নিয়েছে নিকোলা স্টারজিওনের দল, যা গতবারের চেয়ে ১৩টি বেশি।  এবার ৪৫.১ শতাংশ ভোট পড়েছে এসএনপির পক্ষে, যা আগেরবারের চেয়ে ৮.২ শতাংশ বেশি।

এসএনপি নেতা নিকোলা স্টারজিওন বলেছেন, ভোটের এই ফল স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতার প্রশ্নে দ্বিতীয় গণভোট আয়োজনের পক্ষে একটি স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বলেন, নির্বাচনে কনজারভেটিভ পার্টির সংখ্যাগরিষ্ঠতায় তিনি বেশ খুশি। তিনি বলেন, এই নির্বাচনের মাধ্যমে ব্রিটেনের মানুষের কাছে একটি পরিষ্কার প্রশ্ন ছিল। সেটি হচ্ছে, তারা ব্রেক্সিট চায় কিনা। তারা এটাও বুঝতে পেরেছে যে কনজারভেটিভ পার্টি জয়লাভ করলে ব্রেক্সিট হবে। 

যুক্তরাজ্যে প্রায় ১০০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম ডিসেম্বর মাসে ভোট হলো। যুক্তরাজ্যে প্রতি চার বা পাঁচ বছর পর ভোট অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু গত পাঁচ বছরে এই নিয়মের ব্যতিক্রম হয়েছে। এর আগে ২০১৭ সালের ৮ জুন এবং ২০১৫ সালে ৭ মে ভোট হয়েছে। ১৯৭৪ সালের পর এই প্রথম শীতকালে এবং ১৯২৩ সালের পর প্রথমবার ডিসেম্বরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলো।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ