আজকের শিরোনাম :

ক্যান্টিনে আর ভর্তুকিতে খাবার পাবেন না ভারতের সাংসদরা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৭:২৭

সংসদের ক্যান্টিনে আর ভর্তুকিপ্রাপ্ত খাবার খেতে পারবেন না সাংসদরা। জানা গিয়েছে, লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লার প্রস্তাবমতো এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার লোকসভার ব্যবসায়িক উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে সর্বদলীয় প্রতিনিধিদের সম্মতিক্রমেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রসঙ্গত, সংসদের চারটি ক্যান্টিনে নানা রকমের খাবারে বিপুল পরিমাণে ভর্তুকি দেওয়া হয়। তবে এদিন যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল, তাতে এই বিপুল পরিমাণ ভর্তুকি লোপ পাওয়ায় সরকার বছরে ১৭ কোটি টাকা সঞ্চয় করতে পারবে।

উত্তর রেলওয়ে সংসদের চারটি ক্যান্টিন চালায়। জানা গিয়েছে, উত্তর রেলওয়ের তরফে ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরের জন্য লোকসভা সচিবালয়ের কাছে ১৬ কোটি ৪৩ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়েছে। কাজেই খাবারের আসল দাম সাংসদদের দিতে না হলেও রেলওয়ে সরকারের কাছ থেকে ভর্তুকির জন্য এই বিপুল অঙ্কের টাকা দাবি করেছে। ক্যান্টিনে ভর্তুকি উঠে গেলে এই টাকা সরকার সঞ্চয় করতে পারবে।

বর্তমানে ভর্তুকিপ্রাপ্ত হিসেবে ক্যান্টিনে খাবারের দাম শুনলে সত্যিই অবাক হতে হয়। যেমন- ব্রেড-বাটার ৬ টাকা, চাপাটি ২ টাকা, চিকেন কারি ৫০ টাকা, চিকেন কাটলেট (প্রতি প্লেট) ৪১ টাকা, তন্দুরি চিকেন ৬০ টাকা, ফিস কারি ৪০ টাকা, মাটন কারি ৪৫ টাকা, কফি ৫ টাকা, প্লেন দোসা ১২ টাকা, হায়দরাবাদি চিকেন বিরিয়ানি ৬৫ টাকা, ভাত ৭ টাকা, স্যুপ ১৪ টাকা। এই দাম শুনে স্বাভাবিকভাবেই বোঝা যায় যে, সাংসদদের জন্য খাবারের দামে কতটা ভর্তুকি দেওয়া হচ্ছে। আর সেই টাকা যাচ্ছে সরকারের ভাণ্ডার থেকে। সেই হিসেবেই দেখা গিয়েছে, আগামী দিনে ভর্তুকি বন্ধ করে দিলে সরকারের বছরে প্রায় ১৭ কোটি টাকা সঞ্চয় হবে।

এদিকে জানা গিয়েছে, সাংসদদের বাংলো সংস্কার এবং মেরামতির কাজে গত চার বছরে ১৯৩ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। বৃহস্পতিবার সরকারি তরফে লোকসভায় এমনটাই জানানো হয়। এক প্রশ্নের উত্তরে দেশের আবাসন এবং নগরোন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি লিখিত বিবৃতি দিয়ে একথা জানান। মন্ত্রী বলেন, ‘চলতি বছর এবং তার আগের তিন বছরে সাংসদদের আবাসনের সংস্কার বা মেরামতির কাজে ১৯৩ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। তিনি এও জানান, সাংসদদের আবাসনগুলি কেমন পরিস্থিতিতে রয়েছে, সেই হিসেবেই মেরামতি বা সংস্কার কাজ চলছে।
 

এবিএন/জসিম/তোহা

এই বিভাগের আরো সংবাদ