আজকের শিরোনাম :

ব্রিটেনের কর্মীরা ‘কাজে ফাঁকি দিতে ভুয়া অসুস্থতার’ কথা বলেন

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ নভেম্বর ২০১৯, ১৩:০৯

কর্মক্ষেত্রে ছুটি নেওয়ার প্রয়োজন হলে ব্রিটেনে প্রতি ৫ জনের মধ্যে দুজন ভুয়া অসুস্থতার রিপোর্ট করে। বিবিসি পরিচালিত এক জরিপে এ কথা বলা হয়েছে।

নৈতিকতা ও মূল্যবোধ নিয়ে তাদের যখন প্রশ্ন করা হয়, তখন তারা স্বীকার করেন যে অসুস্থতা কারণ দেখানো এবং অন্যদের কাজ নিজের অর্জন হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করেন।

এসব কাজ সিনিয়রদের তুলনায় তরুণরাই বেশি করে। এ ছাড়া অন্য সহকর্মীদের সমর্থন দেওয়ার ক্ষেত্রেও সিনিয়রদের চেয়ে তরুণরাই বেশি আগ্রহী।

ব্রিটেনের জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস বলছে, প্রতিবছর কর্মীরা গড়ে ৪ দিন অসুস্থতার ছুটি নেয়।

কর্মক্ষেত্রে না যেতে তারা যেসব অসুস্থতার কথা বলে সেগুলো হলো- ঠাণ্ডা লাগা, পিঠে ব্যথা, মানসিক অবস্থা।

জরিপ সংস্থা কমরেস ব্রিটেনজুড়ে ১৬ বছরের ঊর্ধ্বে ৩ হাজার ৬৫৫ ব্যক্তির ওপর এ জরিপ পরিচালনা করেছে।

ব্রিটেনের লোকজন সত্য এবং মিথ্যা সম্পর্কে কী মনে করে- সে বিষয়টি উদঘাটনের জন্য বড় আকারে এ জরিপ করা হয়েছে।

যারা অসুস্থতার ভান করে তারা অন্য সহকর্মীদের ক্ষেত্রেও সমর্থন দেয় যারা তাদের মতোই ভুয়া অসুস্থতার কথা বলে।

জরিপে দেখা গেছে, অসুস্থ না হওয়া সত্ত্বেও কেউ যদি অফিসে না আসে, সেটির জানার পরেও ৬৬ শতাংশ কর্মী বিষয়টি নিয়ে তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে কিছু বলেন না।

অকুপেশনাল সাইকলজিস্ট হেলি লুইস বলেন, কেউ যদি ছুটি নেওয়ার প্রয়োজন মনে করে তাহলে বিষয়টি তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানোর ক্ষেত্রে আত্মবিশ্বাসের প্রয়োজন হয়।

সে ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে কর্মীদের সম্পর্ক যদি খারাপ হয়, তা হলে কর্মীরা সত্য কথা বলতে চান না।

তিনি বলেন, কর্মীরা তাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার ব্যবহার দ্বারা প্রভাবিত হতে পারেন। আমরা রোল মডেলের দিকে তাকাই। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যদি কষ্ট করে কাজে আসে, কোনো বিরতি না নেয়, ডেস্কে বসে দুপুরের খায়- তখন কর্মীদের মনেও এই ধারণা প্রবল হয় যে বিরতি নেয়া ঠিক না।

তিনি বলেন, সে ক্ষেত্রে কর্মীদের হাতে একটাই উপায় থাকে। সেটা হচ্ছে, টেলিফোন করে অসুস্থতার কথা বলা।

কর্মীরা যত তরুণ হয়, তারা তত বেশি নারী সহকর্মীদের সমর্থনে কথা বলে।

কোনো ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মিটিং এর সময় যদি কোনো নারী কর্মীর পিঠে হাত দেয়, সে ক্ষেত্রে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে তারাই সবচেয়ে সোচ্চার হয় যাদের বয়স ৩৪ বছরের কম। সিনিয়র সহকর্মীদের তুলনায় তারা দ্বিগুণ সোচ্চার হয়। অন্যদিকে যাদের বয়স ৫৫ বছরের ঊর্ধ্বে তাদের ১৬% সোচ্চার হয়।

একটি প্রতিষ্ঠানে কোনো সিনিয়র ব্যক্তি যদি কোন তরুণ কর্মীকে লক্ষ্য করে অশ্লীল মন্তব্য করে, সেক্ষেত্রে তরুণদের ৭০% সেখানে হস্তক্ষেপ করে।

অন্যদিকে যাদের বয়স ৫৫ বছরের বেশি তাদের মধ্যে অর্ধেকেরও কম এ কাজ করেন।
তথ্যসত্র : বিবিসি

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ