দীপাবলির আগের রাতে কাশ্মীরে ভয়াবহ জঙ্গি হামলা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০১৯, ০৯:০৭
ভারতীয় সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে ভূস্বর্গ খ্যাত জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করায় অঞ্চলটিতে ইতোমধ্যে এক থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যা নিয়ে প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোতে সৃষ্ট উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে এবার ভয়াবহ জঙ্গি হামলার কবলে পড়েছে উপত্যকাটির গ্রীষ্মকালীন রাজধানী খ্যাত শ্রীনগর।
অঞ্চলটির করণনগর এলাকায় দীপাবলি উৎসবকে কেন্দ্র করে শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে আকস্মিক গ্রেনেড হামলায় সিআরপিএফের অন্তত ৬ জাওয়ান গুরুতর আহত হয়েছেন। নিরাপত্তা বাহিনীর দাবি, উৎসবকে কেন্দ্র করে আগাম সতর্কতা হিসেবে সীমান্ত এলাকায় চলাচলরত সকল যানবাহনের নাকা চেকিং চলাকালে নিরাপত্তা রক্ষীদের ওপর জঙ্গিরা বেশ কয়েকটি গ্রেনেড ছোঁড়ে।
এ দিকে বিভিন্ন সূত্রের বরাতে গণমাধ্যম ‘এনডিটিভি’ জানায়, জম্মু-কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদ প্রত্যাহারের মাধ্যমে অঞ্চলটির বিশেষ মর্যাদা বাতিলের দুই মাসের মাথায় এই জঙ্গি হামলাটির ঘটনা ঘটল। সরকারিভাবে জানানো হয়, আগামী ৩১ অক্টোবর থেকে জম্মু-কাশ্মীর এবং লাদাখ সম্পূর্ণ পৃথক দুটি অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত হবে। মূলত এ জন্যেই এক অঞ্চল থেকে অন্যত্র সেনা সরানোর কাজ চলাকালে ভয়াবহ এই হামলার ঘটনাটি ঘটল।
অপর দিকে হামলার বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরপরই দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়। যেখানে বলা হয়েছিল, কাশ্মীরে ২০১৮ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে এ নিয়ে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠনগুলো অন্তত ৩২৮ বার হামলা চালিয়েছে। যার মাধ্যমে তারা জম্মু-কাশ্মীরকে সম্পূর্ণভাবে নিজেদের দখলে নিতে চেষ্টা চালিয়েছে। এর মধ্যে ১৪৩ বার তারা সফল হলেও বাকিবার তাদের পরাস্ত করা হয়েছে।
এর আগে গত ৫ আগস্ট ভারতীয় সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল করেছিল ক্ষমতাসীন মোদী সরকার। যার প্রেক্ষিতে পরবর্তীকালে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে বিতর্কিত লাদাখ ও জম্মু-কাশ্মীর সৃষ্টির প্রস্তাবেও সমর্থন জানানো হয়।
এসবের মধ্যেই চলমান কাশ্মীর ইস্যুতে পাক-ভারত মধ্যকার সম্পর্কে নতুন করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এরই মধ্যে একে একে ভারত সরকারের সঙ্গে বাণিজ্য, যোগাযোগসহ সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্নের ঘোষণা দিয়েছে প্রতিবেশী পাকিস্তান। যদিও এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে ভারত পাশে পেয়েছে রাশিয়াকে এবং পাক সরকারের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে মধ্যপ্রাচ্যের তেলসমৃদ্ধ দেশ ইরান ও এশিয়ার পরাশক্তি চীন।
এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি
এই বিভাগের আরো সংবাদ