আজকের শিরোনাম :

ভারতে কবর থেকে উদ্ধার হওয়া নবজাতক বাঁচার লড়াই করছে

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর ২০১৯, ১১:৫৯

উত্তর ভারতে একটি মাটির পাত্রে জীবিত অবস্থায় কবর দেয়া যে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে, সে এখন জীবন বাঁচিয়ে রাখতে জন্য লড়াই করছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।

সেপটিসেমিয়া এবং মারাত্মকভাবে কম প্লেটলেট গণনার কারণে শিশুটি সার্বিক পরিস্থিতি ‘গুরুতর’ বলে জানিয়েছেন শিশু বিশেষজ্ঞ রবি খান্না।

তিনি বলেছেন, ‘তার বেঁচে থাকার সম্ভাবনা রয়েছে, তবে আমরা ৫-৭ দিন পরেই নিশ্চিতভাবে সেটা জানাতে পারব।’

পুলিশ ‘অজ্ঞাত ব্যক্তিদের’ বিরুদ্ধে একটি ফৌজদারি মামলা করেছে এবং বলেছে যে তারা এই কন্যা নবজাতকের বাবা-মাকে খুঁজছে।

শিশুটিকে এভাবে কবর দেয়ার পেছনে তারা সম্ভাব্য উদ্দেশ্য সম্পর্কে এখনো কোনো অনুমান করছেন না, তবে লিঙ্গ বৈষম্যের দিক থেকে বিশ্বের মধ্যে ভারতের অবস্থান খুবই খারাপ।

নারীদের প্রায়শই সামাজিকভাবে বৈষম্যের শিকার হন এবং মেয়েদের একটি আর্থিক বোঝা হিসাবে দেখা হয়, বিশেষত দরিদ্র সম্প্রদায়ে।

বারেইলি জেলার সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা অভিনন্দন সিং বিবিসিকে বলেছেন, শিশুটিকে কবর দেওয়ার পেছনে তিনি শিশুটির বাবা-মায়ের জড়িত থাকার বিষয়ে সন্দেহ করছেন কারণ এ ঘটনাটি ব্যাপক প্রচারিত হওয়ার পরেও কেউই এই শিশুটিকে তাদের সন্তান দাবি করতে এগিয়ে আসেনি।

বৃহস্পতিবার ঘটনাক্রমে নবজাতকের সন্ধান পেয়েছিলেন গ্রামের এক বাসিন্দা। তিনি তার নিজের অপরিপক্ক অবস্থায় জন্ম নেয়া একটি মৃত কন্যা শিশুকে কবর দিতে গিয়ে ওই নবজাতকের সন্ধান পান। হিন্দুরা সাধারণত তাদের মৃতদেহ পুড়িয়ে থাকে করে তবে নবজাতক এবং ছোট শিশুদের প্রায়শই কবর দেওয়া হয়।

অভিনন্দন সিং বলেন, ‘তারা যখন মাটির নিচে প্রায় ৩ ফুট [৯০ সেন্টিমিটার] পর্যন্ত খনন করছিলেন, তখন তাদের কোদালটি একটি মাটির পাত্রে আঘাত করে এবং সেই আঘাতে পাত্রটি ভেঙে যায় এবং তারা একটি শিশুর কান্নার শব্দ শুনতে পান। যখন তারা পাত্রটি টেনে ওপরে তুলে আনেন তখন এর ভেতরে তারা ওই শিশুটিকে দেখেন।’

শিশুটিকে এর পর স্থানীয় সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় এবং নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা ইউনিটে ভর্তি করা হয়।

শিশুটিকে কারা এভাবে ফেলে গিয়েছিল সে বিষয়ে এখনো তদন্ত চলছে। পুলিশ বলছে যে তারা সন্দেহ করেছে যে তার বাবা-মা দাফনের ঘটনায় জড়িত থাকতে পারে।
খবর বিবিসি

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ