আজকের শিরোনাম :

তুরস্ক সরকারের মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৫ অক্টোবর ২০১৯, ১৫:১৭

সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলে তুরস্কের সেনা অভিযানের জেরে দেশটির দুইজন মন্ত্রী এবং সরকারি তিনজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

এর বাইরে দ্রুত একটি যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়ে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রেচেপ তায়েপ এরদোয়ানকে টেলিফোন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেছেন, তিনি যত দ্রুত সম্ভব ওই এলাকা সফরে যাবেন।

সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, সিরিয় সেনারা মানবিজ শহরে প্রবেশ করেছে। এ ছাড়া দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলের শহর ও গ্রামগুলোতে দ্রুত সিরিয় সৈন্যরা ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানা গেছে। ফলে এখন হয়ত দ্রুতই তুরস্কের নেতৃত্বাধীন বাহিনীর সঙ্গে তাদের সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাবে এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীর সঙ্গে চুক্তির প্রেক্ষাপটেই সিরিয় সেনা মোতায়েনের ঘটনা ঘটলো, যে কুর্দি বাহিনী গত সপ্তাহ পর্যন্ত ছিল মার্কিন মিত্র বাহিনী।

কী বলা হয়েছে নিষেধাজ্ঞায়?
ওয়াশিংটনে মার্কিন ট্রেজারি সেক্রেটারি স্টিভেন নুচিন সাংবাদিকদের বলেছেন, নতুন আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞা বেশ শক্তিশালী এবং তা তুরস্কের অর্থনীতির ওপর মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।

এক বিবৃতিতে মার্কিন ট্রেজারি বিভাগ বলেছে, ‘তুরস্কের সরকারের কর্মকাণ্ডে সিরিয়ার ওই অঞ্চলের নিরপরাধ নাগরিকদের জীবন যেমন ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে, তেমনি পুরো অঞ্চল অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে। আবার সেই সঙ্গে ইসলামিক স্টেটকে পরাজিত করার গৌরবকেও ম্লান করে দিয়েছে।’

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স বলেছেন, এই নিষেধাজ্ঞা চলতে থাকবে এবং ক্রমে আরো কঠোর হতে থাকবে যতক্ষণ পর্যন্ত তুরস্ক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা না করবে, সংঘাত বন্ধ না করবে এবং দীর্ঘমেয়াদি কোনো শান্তিচুক্তিতে না আসবে।

এর আগে সোমবার ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন নেতারা তুরস্কে অস্ত্র রপ্তানি বন্ধ করার ব্যপারে একমত হয়েছেন।

জবাবে তুরস্ক বলেছে, ‘বেআইনি এবং পক্ষপাতমূলক’ আচরণের জন্য ইইউ এর সাথে নিজেদের সম্পর্ক পুনর্মূল্যায়ন করবে দেশটি।

সিরিয়ায় কী হচ্ছে?
সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, রুশ সমর্থিত সরকারি বাহিনী মানবিজ শহরে পৌঁছে গেছে।

মানবিজ শহরের যে এলাকায় তুর্কীরা নিজেদের জন্য সেফ জোন বা নিরাপদ অঞ্চল তৈরি করতে চায় সেই পর্যন্ত পৌঁছে গেছে সিরিয় বাহিনী।

তুর্কি বাহিনী এবং তাদের মিত্র সিরিয় মিলিশিয়া বাহিনী শহরের কাছে জড়ো হয়েছে।

এদিকে, কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীর সাথে চুক্তিটিকে প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের জন্য একটি অগ্রগতি হিসেবে দেখা হচ্ছে। কেননা ২০১২ সালের পর থেকে এই প্রথম তার সৈন্যরা ওই এলাকাগুলোয় ফিরতে শুরু করেছে।

সিরিয়ার উত্তরাঞ্চল থেকে এক হাজার মার্কিন সৈন্য যুক্তরাষ্ট্র সরিয়ে নেবার ঘোষণা দেওয়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই বাহিনী মোতায়েন করা হলো।
খবর বিবিসি

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ