আজকের শিরোনাম :

ট্রাম্পের ফোনালাপ লুকাতে চেয়েছিল হোয়াইট হাউস

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ১২:২২

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জিলেনস্কির মধ্যকার গোপন টেলিফোন আলাপের সব তথ্য হোয়াইট হাউসের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা লুকানোর চেষ্টা করেছিলেন।

চলতি বছরের জুলাইয়ের শেষ সপ্তাহে দুই নেতার মধ্যে ওই ফোনালাপ হয়েছিল। ফোনালাপে জেলেনস্কিকে ডেমোক্র্যাট নেতা ও আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশী জো বাইডেন ও ছেলে হান্টার বাইডেনের কথিত দুর্নীতি তদন্তে চাপ দিয়েছিলেন ট্রাম্প।

চলতি সপ্তাহে এ সম্পর্কিত কিছু মেমো প্রকাশ করে এসব তথ্য ফাঁস করে দিয়েছেন গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএর একজন কর্মকর্তা। এর ফলে সংবিধানের শর্ত লঙ্ঘনের অভিযোগে ট্রাম্পের অভিশংসনের লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু করেছে মার্কিন কংগ্রেস।

বিবিসি জানিয়েছে, অজ্ঞাত ওই সিআইএ কর্মকর্তার নাম-পরিচয় জানতে চেয়েছেন ট্রাম্প। ওই কর্মকর্তার বিদেশি গুপ্তচরের সঙ্গে সম্পর্ক থাকতে পারে বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

প্রায় দু’মাস ফোনালাপ হলেও এ সম্পর্কিত অভিযোগ সামনে আসে বৃহস্পতিবার। অভিযোগে বলা হয়, দুই প্রেসিডেন্টের মধ্যকার আলাপের অনুলিপি সচরাচর যে কম্পিউটার ব্যবস্থাপনায় রাখা হয় সেখানে না রেখে গোপনীয় তথ্য থাকে এমন পৃথক ব্যবস্থাপনায় রাখা হয়েছিল।
বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্তের আহ্বান জানিয়ে ট্রাম্প ২০২০ সালের নির্বাচনে বিদেশি রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের পথ করে দিয়েছেন বলেও অভিযোগ তার। আগামী বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্রেট মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে জনমত জরিপে বাইডেন অনেকদিন ধরেই এগিয়ে রয়েছেন। তাকে আটকাতেই ট্রাম্প ক্ষমতার অপব্যবহার করে জেলেনস্কিকে ওই চাপ দিয়েছিলেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

দরকষাকষির অংশ হিসেবে ফোনালাপের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইউক্রেনে প্রায় ৪০ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা বন্ধ করে দিয়েছিলেন বলেও ভাষ্য সমালোচকদের।

চলতি মাসে পেন্টাগন ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ওই সহায়তার ছাড়পত্রে অনুমোদন দিয়েছে। ক্ষমতার অপব্যবহার ও বিদেশি রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপের সুযোগ করে দেয়ার অভিযোগ নিয়ে রিপাবলিকান প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে ডেমোক্রেটরা অভিশংসন তদন্তের আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব আনবে বলে জানিয়েছেন প্রতিনিধি পরিষদের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। এ পদক্ষেপকে ‘ধাপ্পাবাজি’ ও ‘আরেকটি উইচ হান্ট’ আখ্যা দিয়েছেন ট্রাম্প।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলার কয়েকদিন আগে দেশটিতে সামরিক সহায়তা বন্ধের বিষয়ে ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের কথা স্বীকার করে নিলেও এটি বাইডেনবিষয়ক তদন্তে চাপ দিতে ব্যবহার করা হয়নি বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি।

অভিশংসন নিয়ে ডেমোক্রেটদের পদক্ষেপে ‘অনুমোদন দেয়া উচিত হবে না’, বলেছেন তিনি। ডেমোক্রেটরা দেশের জন্য দুর্নাম নিয়ে আসছে, এটির অনুমোদন দেয়া উচিত হবে না।

এটি বন্ধের উপায় থাকা উচিত, হয়তো আদালতের মাধ্যমে আইনিভাবেই, বৃহস্পতিবার হুইসেলব্লোয়ারের অভিযোগ প্রকাশিত হওয়ার পর হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনে বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

এবিএন/জনি/জসিম/জেডি

এই বিভাগের আরো সংবাদ