মসজিদে হত্যাযজ্ঞের পর অস্ত্র জমা দিলেন নিউজিল্যান্ডের নাগরিকরা
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০১৯, ১৫:৫৩
নিউজিল্যান্ডের অনেক নাগরিক শনিবার তাদের অস্ত্র জমা দিয়েছেন। ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলার ঘটনায় দেশটির আধা-স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র উদ্ধারের লক্ষ্যে বিক্রীত অস্ত্র পুনরায় কিনে নেয়া কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর তারা এসব অস্ত্র জমা দিলেন।
দেশব্যাপী অস্ত্র জমা নেয়ার প্রথম দিনে ২৫০টি অস্ত্র পড়েছে। ক্রাইস্টচার্চে এটি অনুষ্ঠিত হয়। চার মাসেরও কম সময় আগে সেখানে জুমার নামাজ চলাকালে বন্দুক হামলায় ৫১ মুসল্লি নিহত হন।
নিউজিল্যান্ডের অস্ত্র আইন কঠোর করতে বিরোধী দলের সহযোগিতায় সরকার দ্রুত আইন পাস করে।
পুলিশ মন্ত্রী স্টুয়ার্ট নশ জানান, এ আইন পাসের একটি উদ্দেশ্য ছিল ক্রয় সূত্রে জনগণের হাতে থাকা অস্ত্রগুলোর মধ্যে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ অস্ত্র তুলে নেয়া।
পুলিশ এ অস্ত্র জমা কর্মসূচি পর্যবেক্ষণ করে। অস্ত্র জমা নেয়া শুরু করার প্রথম দুই ঘণ্টার মধ্যে অস্ত্রের ৬৮ মালিক ৯৭টি অস্ত্র এবং অস্ত্রের ৯৪টি অংশবিশেষ ও যন্ত্রাংশ জমা দিয়েছেন।
আঞ্চলিক পুলিশ কমান্ডার মাইক জনসন জানান, ক্যান্টার্বুরি এলাকার ৯০৩ জন অস্ত্র মালিক ১ হাজার ৪১৫টি আগ্নেয়াস্ত্র জমা দেয়ার জন্য নাম লিখিয়েছেন।
জনসন বলেন, ‘পুলিশ স্বীকার করেছে যে যাদের হাতে অস্ত্র রয়েছে তাদের আইন মেনে অস্ত্র জমা দেয়ার এটি হচ্ছে একটি বড় সুযোগ। অস্ত্র জমা নেয়ার ক্ষেত্রে সরকারের এমন পদক্ষেপে জনগণের পক্ষ থেকে আমরা অনেক ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি। তারা আজ এসে তাদের অস্ত্র জমা দেয়ার প্রক্রিয়া জেনে যাচ্ছে।’
উল্লেখ্য, নিউজিল্যান্ডের দুটি মসজিদে হামলা করে হত্যাযজ্ঞ চালানোর ঘটনায় অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত ব্রেনটন টরেন্টকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এ বর্বর হামলা চালাতে সে ৫টি অস্ত্র ব্যবহার করে বলে অভিযোগ রয়েছে। এসব অস্ত্রের মধ্যে সামরিক-ধাঁচের আধা-স্বয়ংক্রিয় দুটি রাইফেল রয়েছে।
খবর এএফপি এবিএন/সাদিক/জসিম
খবর এএফপি এবিএন/সাদিক/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ