ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি রক্ষায় নতুন আলোচনা শুরুর সম্ভাবনা
অনলাইন ডেস্কপ্রকাশ: ০৭ জুলাই ২০১৯, ১১:৪৬
ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি রক্ষায় কী ধরনের শর্ত নিয়ে আবার আলাপ শুরু করা যায় সে নিয়ে ফ্রান্স ও ইরান একমত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের ইম্যানুয়েল ম্যাক্রো।
ব্যাপারটি নিয়ে তার সঙ্গে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির আধাঘণ্টার বেশি সময় ধরে টেলিফোনে আলাপ হয়েছে।
ফলে তেহরান পারমাণবিক চুক্তি রক্ষায় নতুন করে আলোচনা শুরুর সম্ভাবনা তৈরি হলো।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের ইম্যানুয়েল ম্যাক্রোর কার্যালয় থেকে একটি বিবৃতি দেয়া হয়েছে।
যেখানে বলা হয়েছে, পারমাণবিক চুক্তিটি রক্ষায় সব পক্ষের সঙ্গে আবার আলাপ শুরু করতে কি ধরনের শর্ত থাকতে পারে সেনিয়ে ১৫ জুলাই তারিখের মধ্যে বিশ্লেষণ শেষ করবে ইরান ও ফ্রান্স।
ম্যাক্রো সব পক্ষের সঙ্গে সে ব্যাপারে পরামর্শ করবেন।
পরমাণু চুক্তি নিয়ে যে সংকট
প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে টেলিফোনে এই আলাপের সময় ইম্যানুয়েল ম্যাক্রো উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তিটি পরিত্যক্ত হলে তার অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিণতি তৈরি হবে। ২০১৫ সালে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি কমিয়ে আনার জন্য বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলোর সঙ্হে একটি চুক্তি হয়েছিল। শর্ত ছিল ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি কমিয়ে আনার বিনিময়ে তার ওপর দেয়া অবরোধ ধীরে ধীরে তুলে নেয়া হবে। সেই শর্ত রক্ষা করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির ইউরোপের দেশগুলোর প্রতি আহবান জানান। গত বছর যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেয়ার পর থেকে চুক্তিটি পরিত্যক্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ইরানের উপর কঠোর শাস্তিমূলক অবরোধ আরোপ করে। ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তিতে কী আছে?
মে মাসে ইউরেনিয়াম মজুদ বাড়িয়ে ইরান এর জবাব দেয়। ইরান এ ইউরেনিয়াম পারমাণবিক রিঅ্যাক্টরের জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করে। তবে তারা পারমাণবিক বোমা তৈরি করছে বলে সন্দেহ রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা যায় এই মানের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুদ করতে পারবে না। কিন্তু যতটুক ইউরেনিয়াম ইরান মজুদ করতে পারবে তার বেশি ইতিমধ্যেই দেশটির কাছে এখন আছে এবং এর পরিমাণ আরও বাড়ানো হবে বলে আজ একটি ঘোষণা ইরানের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আসতে পারে। ইরান তার ওপর আরোপ করা অবরোধ শিথিল করতে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও চীনকে রবিবার (৭ জুলাই) পর্যন্ত বেঁধে দিয়েছিল।
খবর বিবিসি এবিএন/সাদিক/জসিম
প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে টেলিফোনে এই আলাপের সময় ইম্যানুয়েল ম্যাক্রো উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তিটি পরিত্যক্ত হলে তার অবশ্যই একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিণতি তৈরি হবে। ২০১৫ সালে ইরানের পরমাণু কর্মসূচি কমিয়ে আনার জন্য বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলোর সঙ্হে একটি চুক্তি হয়েছিল। শর্ত ছিল ইরান তার পরমাণু কর্মসূচি কমিয়ে আনার বিনিময়ে তার ওপর দেয়া অবরোধ ধীরে ধীরে তুলে নেয়া হবে। সেই শর্ত রক্ষা করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির ইউরোপের দেশগুলোর প্রতি আহবান জানান। গত বছর যুক্তরাষ্ট্র এই চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেয়ার পর থেকে চুক্তিটি পরিত্যক্ত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে। চুক্তি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র ইরানের উপর কঠোর শাস্তিমূলক অবরোধ আরোপ করে। ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তিতে কী আছে?
মে মাসে ইউরেনিয়াম মজুদ বাড়িয়ে ইরান এর জবাব দেয়। ইরান এ ইউরেনিয়াম পারমাণবিক রিঅ্যাক্টরের জ্বালানী হিসেবে ব্যবহার করে। তবে তারা পারমাণবিক বোমা তৈরি করছে বলে সন্দেহ রয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী ইরান পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করা যায় এই মানের সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুদ করতে পারবে না। কিন্তু যতটুক ইউরেনিয়াম ইরান মজুদ করতে পারবে তার বেশি ইতিমধ্যেই দেশটির কাছে এখন আছে এবং এর পরিমাণ আরও বাড়ানো হবে বলে আজ একটি ঘোষণা ইরানের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আসতে পারে। ইরান তার ওপর আরোপ করা অবরোধ শিথিল করতে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি, রাশিয়া ও চীনকে রবিবার (৭ জুলাই) পর্যন্ত বেঁধে দিয়েছিল।
খবর বিবিসি এবিএন/সাদিক/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ
