আজকের শিরোনাম :

লিবিয়ায় জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৭ জুন ২০১৯, ১৮:০৬

সংঘাত নিরসনে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছেন লিবিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত প্রধানমন্ত্রী ফায়েজ আল সারাজি। সোমবার (১৬ জুন) এ লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তত্ত্বাবধানে রাজনৈতিক মহাসমাবেশ ডাকারও প্রস্তাব দেন তিনি। বিদ্রোহীগোষ্ঠী হাফতার বাহিনীর ত্রিপোলী দখলের লড়াইয়ের মধ্যেই এ ঘোষণা দিলেন সারাজি। বিদ্রোহীদের সঙ্গে সমঝোতার সম্ভাবনাও নাকচ করে দেন লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী।

গেলো এপ্রিলে রাজধানী ত্রিপোলীর দখলকে ঘিরে লিবিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত সরকার এবং বিদ্রোহীগোষ্ঠী খালিফা হাফতার বাহিনীর মধ্যে নতুন কোরে সংঘাত শুরু হয়। গণমাধ্যমে খবর অনুযায়ী এতে সাড়ে ৬ শতাধিক মানুষের মৃত্যু হয়। বাস্তুচ্যুত হন প্রায় এক লাখ বাসিন্দা। চলমান এ সংকট সমাধানে রোববার রাজনৈতিক পদক্ষেপের ওপর গুরুত্বারোপ করেন জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী।

লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী ফায়েজ আল সারাজি বলেন, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তত্ত্বাবধানে একটি মহাসমাবেশ ডাকা হবে। যার মাধ্যমে দেশে আইনের শাসন এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার উপায় খুঁজে বের করবো আমরা। ওই সমাবেশে ২০১৯ সালের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনে রাষ্ট্রীয় সংবিধান অনুযায়ী একটি চুক্তিও করা হবে।

সমাবেশে হাফতার বাহিনী থাকবে কি না তা স্পষ্ট করেননি তিনি। এদিন, এক বার্তায় হাফতারের সঙ্গে আলোচনাকে কালক্ষেপণ বলে মন্তব্য করেন সারাজি। হাফতারকে বিশ্বাসঘাতক আখ্যা দিয়ে বিদ্রোহীদের মোকাবিলা কোরে যাওয়ারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তিনি।

লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী ফায়েজ আল সারাজি বলেন, আমি হাফতারের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে আর কোনো বৈঠক করতে চাই না। কারণ তিনি রাজনৈতিক সমাধানকে বাধাগ্রস্ত করে চলেছেন। এছাড়া তেল আমাদের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। কয়েকটি পক্ষ কিছু তেলক্ষেত্রকে সামরিকীকরণ করতে চায়। লিবিয়ায় জনগণের সম্পত্তি নিয়ে কাউকে খেলতে দেয়া হবে না।

২০১১ সালের গৃহযুদ্ধের পর থেকেই সহিংসতা চলছে লিবিয়ায়। মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর ত্রিপোলী ও পশ্চিমাঞ্চলকে কেন্দ্র করে ভাগ হয়ে যায় লিবিয়ার রাষ্ট্রক্ষমতা। ত্রিপোলি ভিত্তিক প্রশাসনকে সমর্থন দেয় জাতিসংঘ। আর পশ্চিমাঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নেন সাবেক সেনাকমান্ডার খালিফা হাফতার ও তার সমর্থকরা।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ