আজকের শিরোনাম :

হিজাব না পরায় ইরানে ট্যাক্সি অ্যাপ বন্ধের দাবি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১২ জুন ২০১৯, ১০:৪৭

ইরানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারীরা দেশটির জনপ্রিয় একটি ট্যাক্সি অ্যাপ বন্ধের দাবি জানিয়েছে। ট্যাক্সিতে একজন নারী হিজাব না পরায় ট্যাক্সিচালক মাঝ রাস্তায় তাকে নামিয়ে দেন।

এর পর ওই নারী টুইটারে ট্যাক্সি চালকের ছবি দিয়ে লেখেন, ‘এই সেই চালক যিনি মাঝ রাস্তায় আমাকে ট্যাক্সি থেকে নামিয়ে দেন।’

স্ন্যাপ নামে ওই অ্যাপ কোম্পানি থেকে অভিযোগকারীর কাছে ক্ষমা চাওয়া হয়। ওই নারী আরও জানান, চালককে কড়াভাবে শাসানো হবে বলে তাকে প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়েছে কোম্পানির তরফ থেকে।

এদিকে দেশটির রক্ষণশীলরা স্ন্যাপের এই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করছে।

তারা বলছেন, যারা ইসলামের মূল্যবোধকে সম্মান জানাতে পারে না তাদের সামনে মাথা নত করা উচিত না।

পারসিয়ান ভাষায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হ্যাশট্যাগ ‘বয়কট স্ন্যাপ’ চালু করা হয়েছে যেটা শনিবার থেকে ৬৬ হাজার বারের বেশি ব্যবহার করা হয়েছে।

একজন টুইট করেছেন, ‘ওই নারীর অশালীন আদব-কায়দার জন্য যদি কোম্পানির ম্যানেজার ক্ষমা চেয়ে থাকে তা হলে স্ন্যাপ অ্যাপ বন্ধের পাশাপাশি তাকে ইসলামিক প্যানেল কোডে বিচার করা উচিত। কারণ তিনি ওই চালককে শাসানোর মাধ্যমে নারীদের এ ধরনের অশালীনতাকে উস্কে দিয়েছেন।’


১৯৭৯ সালের ইসলামি বিপ্লবের পর ইরানের কর্তৃপক্ষ দেশটিতে নারীদের জন্য হিজাব পরা বাধ্যতামূলক করে।

ইরানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে এক সাক্ষাৎকারে ওই চালক সায়িদ আবেদ বলেছেন ‘যদি পুলিশ দেখত তার যাত্রী হিজাব পরে নেই তা হলে তাকে জরিমানা করত।’

তিনি মনে করছেন তিনি যা করেছেন সেটি ছিল তার ‘ধর্মীয় দায়িত্ব’।

এদিকে এরোস্পেস কমান্ডার অব দ্য ইসলামিক রিভিউলিশন গার্ডস কর্পসের ব্রিগেডিয়ার জেনারের আমির আলী হাজিজেদেহ ওই চালকের সঙ্গে দেখা করে তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।


এতসব চাপের মুখে পরে দুটি ঘটনা ঘটেছে।

প্রথমটি হলো স্ন্যাপ কোম্পানি ওই চালকের কাছে ক্ষমা চেয়েছে। এক বিবৃতিতে বলেছে চালক তাদের কোম্পানিতে সানন্দে কাজ করতে পারেন।

অন্যদিকে ওই নারী তার প্রথম টুইটটি মুছে ফেলেছেন এবং তিনিও ক্ষমা চেয়েছেন।

তিনি লিখেছেন, ‘আমি স্ন্যাপ কোম্পানি, চালক এবং যারা এ ঘটনা শুনে কষ্ট পেয়েছেন তাদের সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। আমি ঘোষণা করছি আমি আমার দেশের আইন মানতে বাধ্য।’

দেশটির পুলিশ সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, হিজাবের বিরুদ্ধে কোনো প্রকার বিক্ষোভে অংশ নিলে ১০ বছর পর্যন্ত সাজা হতে পারে।
খবর বিবিসি

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ