আজকের শিরোনাম :

ভারতে চাঞ্চল্যকর ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় ছয়জন দোষী

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১০ জুন ২০১৯, ২১:০৪

ভারতের কাশ্মীরে এক চাঞ্চল্যকর শিশু ধর্ষণ এবং হত্যার মামলায় আদালত ছয়জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে।

ঘটনার শিকার আট বছরের মুসলিম শিশুটি একটি যাযাবর উপজাতির। ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে কাঠুয়া শহরের কাছে জঙ্গলে তার মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছিল।

এই ঘটনায় যে আটজন হিন্দু পুরুষের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছিল, কট্টর ডানপন্থী হিন্দুগোষ্ঠীগুলো তাদের মুক্তি দাবি করার পর এ নিয়ে ব্যাপক হৈচৈ শুরু হয়েছিল।

অভিযুক্ত আটজনই তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে। এদের মধ্যে ছিল একজন অবসরপ্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তা, চারজন পুলিশ কর্মকর্তা এবং একজন বালক।

ঘটনার শিকার শিশুটির মা দুজন আসামীকে সর্বোচ্চ সাজা ফাঁসি দেয়ার দাবি জানিয়েছেন। এই দুজন হচ্ছেন অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা সানজি রাম এবং পুলিশ কর্মকর্তা দীপক খাজুরিয়া। এই দুজনকেই ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারী বলে বর্ণনা করেছেন তিনি।

বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, "আমার মেয়ের মুখ এখনো আমাকে তাড়া করছে। এই বেদনা থেকে আমি কোনদিন মুক্তি পাব না। আমি যখন আমার মেয়ের বয়সী অন্য শিশুদের খেলতে দেখি, তখন আমার মন ভেঙ্গে যায়।"

বাদী পক্ষের আইনজীবী আদালতের রায়কে দেশের সাংবিধানিক মর্মের বিজয় বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, "ধর্ম নির্বিশেষে পুরো দেশ এই মামলার জন্য লড়েছে।"

কাঠুয়া ধর্ষণ এবং হত্যার ঘটনা ভারতের সবচেয়ে আলোচিত একটি মামলা। এই ঘটনা নিয়ে ভারতে যে শোরগোল শুরু হয়, তার জের ধরে দেশটিতে এক নতুন আইন করা হয় যাতে বারো বছরের কম বয়সী শিশু ধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের মৃত্যুদণ্ডের সাজার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

কাঠুয়ায় আট বছরের মেয়েটিকে যেরকম নৃশংসতার শিকার হতে হয়েছিল, তার বিরুদ্ধে তীব্র ধিক্কার উঠে ভারতে। ঘটনার বিবরণ প্রকাশিত হওয়ার পর শিউরে উঠেছিল মানুষ।

কিন্তু ভারতের হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল বিজেপির দুজন মন্ত্রী যখন এই ঘটনায় গ্রেফতার হওয়ার আসামীদের সমর্থনে সমাবেশে যোগ দেন, তখন বিষয়টি নিয়ে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়। অভিযুক্তদের সঙ্গে যাযাবর মুসলিম উপজাতির জমি নিয়ে দ্বন্দ্ব ছিল। তদন্তকারীরা তখন বলেছিলেন, গুজ্জার সম্প্রদায়কে ভয় দেখানোর জন্যই আট বছরের মেয়েটিকে টার্গেট করেছিল অভিযুক্তরা।

এবিএন/মমিন/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ