একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েই ক্ষমতায় আসছে বিজেপি

ভারতের ১৭তম লোকসভা নির্বাচনে ম্যাজিক ফিগার টপকে গেল বিজেপি। ৫৪২টি আসনের মধ্যে ৩২৭টি আসনেই এগিয়ে আছে ক্ষমতাসীন বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। অপরদিকে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ এগিয়ে আছে ১০৮টি এবং অন্যান্য বিরোধী দল এগিয়ে ১০৮ আসনে।

ভারতে কোনো দলকে সরকার গঠন করতে হলে ২৭২টি আসনে জয়ী হতে হয়। বেসরকারি ফলাফলে ইতোমধ্যেই এ ম্যাজিক ফিগার পার করে ফেলেছে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। টানা দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার অপেক্ষায় আছে জোটটি। এখন শুধু আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণার অপেক্ষা। সব কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষে আজ ফলাফল ঘোষণা করা হবে।

এর আগে আজ বৃহস্পতিবার (২৩ মে) স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ভোট গণনা শুরু হয়। গত নির্বাচনে তিন দশকের মধ্যে প্রথম কোনো দল হিসেবে কেন্দ্রে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গড়ে নরেন্দ্র মোদির বিজেপি। এবার রাহুল গান্ধীর কংগ্রেস-সহ ২১টি বিরোধীদের সঙ্গে কড়া চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার অপেক্ষায় আছে তারা।

প্রায় দেড় মাস ধরে ৭ দফায় নির্বাচন শেষ হয়েছে। নির্বাচনের শেষের দিন থেকেই অবশ্য সামনে এসেছে বিভিন্ন সংস্থার বুথফেরত সমীক্ষার ফলাফল। ওই ফলাফলের হিসাবেও বাকি সবার চেয়ে অনেকটাই এগিয়ে থাকতে দেখা গেছে শাসকদল এনডিএ জোটকেই। দেশজুড়ে ভালো ফল করতে চলেছে বিজেপি, এমনটাই অভিমত পাওয়া গেছে বেশিরভাগ বুথফেরত সমীক্ষাতে। প্রাথমিক ফলাফলেও সেটা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

তবে লজ্জাজনক পরাজয়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেস। উত্তর আমেঠি বরাবরই গান্ধী-নেহেরু পরিবারের আসন হিসেবেই পরিচিত। কয়েক দশক ধরে ভারতের রাজনীতিতে ওই আসনটি নিয়ন্ত্রণ করছেন এই পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু সেখানেই এবার পিছিয়ে পড়েছেন রাহুল গান্ধী। ৪৮ বছর বয়সী রাহুল গান্ধী এ এলাকা থেকে আগে তিনবার এমপি হয়েছেন।

এবার লড়ছেন চতুর্থবারের মতো। তবে এ আসনে হারলেও তিনি পার্লামেন্টের বাইরে চলে যাচ্ছেন না। কারণ কেরালার ওয়েনাডেতে বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে আছেন রাহুল।

গত ১১ এপ্রিল থেকে ১৯ মে- মোট সাতটি ধাপে লোকসভা নির্বাচনের ভোট হয়েছে। সারা দেশে মোট ভোটার ছিল প্রায় ৯০ কোটি। ১ হাজার ৮শ ৪১টি রাজনৈতিক দলের আট হাজারেরও বেশি প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে নারী প্রার্থীর সংখ্যা ৭২০ এবং তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থী ছিল ৪ জন। 

এবিএন/সাদিক/জসিম