কঙ্গোতে ইবোলা প্রতিষেধকের ব্যবহার বাড়ানোর আহ্বান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ০৮ মে ২০১৯, ১৪:৪১
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা গণপ্রজাতন্ত্রী কঙ্গোতে ইবোলা প্রতিষেধকের ব্যবহার বাড়াতে মঙ্গলবার আহ্বান জানিয়েছে। দেশটিতে ভাইরাসটির সর্বশেষ প্রাদুর্ভাবে ১ হাজারের বেশি লোক প্রাণ হারিয়েছে।
ইতোমধ্যেই দেশটির ১ লাখ ১১ হাজার লোক প্রতিষেধক টিকা গ্রহণ করেছে। এই ভাইরাসে যারা আক্রান্ত হয়েছে ও আক্রান্তদের সংস্পর্শে গিয়েছে তাদের সবাইকে প্রতিশেষক দেয়া হয়েছে।
কঙ্গোতে সংঘর্ষ ও অস্থিরতার কারণে নিরাপত্তাহীনতা বিরাজ করায় এই পদক্ষেপটি ওই অঞ্চলে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়া এই সংক্রমণটি ঠেকাতে খুব একটা কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারেনি।
ডব্লিউএইচও এক বিবৃতিতে জানায়, ‘নতুন করে সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েই যাচ্ছে। দেশটিতে অব্যহত সহিংসতার কারণে টিকাদানকারী দল ইবোলা ঝুঁকিতে থাকা সকল মানুষকে এই প্রতিশেষক টিকা দিতে পারছেনা।’
বিবৃতিতে আরী বলা হয়, ডব্লিউএইচওর স্ট্র্যাটেজিক এডভাইসোরি গ্রুপ অব এক্সপার্টস (এসএজিই) ‘যাদের প্রতিশেধক প্রয়োজন তাদেরকে আরভিএসভি-জেডইবিওবি ভ্যাকসিন দেয়ার’ সুপারিশ করেছে।’
বিশেষজ্ঞরা ইবোলা আক্রান্ত এলাকায় আরো একটি পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিন এমভিএ-বিএন প্রয়োগ করার সুপারিশ করেছেন। জনসন অ্যান্ড জনসন এই ভ্যাকসিন উদ্ভাবন করেছে।
শুধু এই ভাইরাসে আক্রান্ত ও তাদের সংস্পর্শে থাকা লোকদেরই নয়, বরং আশপাশের সব এলাকা ও গ্রামের বাসিন্দাদের এই ভ্যাকসিন দেয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। এই অঞ্চলটিতে গত ২১ দিনের মধ্যে এই রোগের খবর পাওয়া গেছে।
ডব্লিএইচওর প্রধান টেডরোস আধানোম গেব্রেইয়েসুস এক বিবৃতিতে বলেন, ‘আমরা জানি যে এই প্রতিশেধক এই ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব থেকে জীবন রক্ষা করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানি যে আমরা এখনো যত দ্রুত সম্ভব এই ভাইরাসে আক্রান্ত ও তাদের সংস্পর্শে থাকা প্রতিটি লোককে প্রতিশেধক টিকা প্রদানে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছি।’
মধ্য আফ্রিকার দেশটিতে এটি ৪০ বছরের মধ্যে ১০তম ইবোলা প্রাদুর্ভাবের ঘটনা।
খবর এএফপি এবিএন/সাদিক/জসিম
খবর এএফপি এবিএন/সাদিক/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ