আজকের শিরোনাম :

‘কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন ছাড়া রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নয়’

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২৭ এপ্রিল ২০১৯, ০০:৫৪

মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা বিপুল সংখ্যক রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কারণে বাংলাদেশের ওপর সৃষ্ট বোঝা ভাগ করে নিতে দ্রুত আরও পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সফররত জাতিসংঘের তিনজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।

গত দু’দিন কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন শেষে আজ বিকেলে স্থানীয় একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনে তারা এ আহ্বান জানান।

রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য জাতিসংঘের কর্মকর্তারা যৌথ সফরে বাংলাদেশে এসেছেন। তারা হলেন- জাতিসংঘ শরণার্থী সংস্থার হাইকমিশনার ফিলিপো গ্র্যান্ডি, আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মহাপরিচালক আন্তোনিও ভিটোরিনো এবং জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয় দপ্তরের প্রধান ও জরুরি ত্রাণ সমন্বয়কারী মার্ক লোকক।

সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘের উচ্চপদস্থ তিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কফি আনান কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়ন ছাড়া রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে রাজি নয় জাতিসংঘ। ওই কমিশনের সুপারিশে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের রোড ম্যাপ দেওয়া আছে।রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের নাগরিকত্ব প্রদানের বিষয়টি সেই রোড ম্যাপে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা বলেন, ‘প্রত্যেক মানুষেরই অবাধে চলাচলের স্বাধীনতা রয়েছে। আমরা রোহিঙ্গাদের সঙ্গে কথা বলেছি, তাঁরা সেখানে নাগরিকত্ব, চলাচলের অবাধ স্বাধীনতা, চাকরি থেকে শুরু সর্বক্ষেত্রে নাগরিক অধিকার হিসেবে প্রাপ্ত সব অধিকার রোহিঙ্গাদের দেওয়ার বিষয়টি মায়ানমারকে নিশ্চিত করতে হবে। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি।’

গত বছরের জুন মাসে মিয়ানমারের সঙ্গে জাতিসংঘের সমঝোতা স্মারক বাস্তবায়নের লক্ষ্যে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে বলেও জানান তাঁরা।

সংবাদ সম্মেলনে স্থানীয়দের চাকরি দেওয়া প্রসঙ্গে মার্ক লোকক বলেন, ‘আমরা খুব সুন্দর একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছি। এ জন্য জাতিসংঘের কাছে ১ বিলিয়ন ডলার (প্রায় সাড়ে ৮শত কোটি টাকা) সাহায্য চাওয়া হয়েছে। ১০ লাখ রোহিঙ্গা এবং ৩ লাখ স্থানীয় জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করেই প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে।’

ভাসানচরে রোহিঙ্গাদের স্থানান্তরের ব্যাপারে এক আন্তর্জাতিক সাংবাদিক জানতে চাইলে, আইওএমের মহাপরিচালক অ্যান্তোনিও ভিটোরিনো বলেন, ‘ভাসানচরে যাওয়া-না যাওয়া রোহিঙ্গাদের সদিচ্ছার উপর নির্ভর করে। বিষয়টি চিন্তার। আমাদের দেখতে হবে সেখানে আদৌ থাকার পরিবেশ আছে কিনা।’

এদিকে, কক্সবাজারে বর্ষাকালে রোহিঙ্গা শিবিরে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটলে যারা রোহিঙ্গাদের ভাসানচরে স্থানান্তরের বিরোধিতা করছেন তাদের দায় নিতে হবে বলে মন্তব্য করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে ড. মোমেন বলেন, সফররত জাতিসংঘের তিন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে বৈঠককালে এ বার্তা তিনি তাদের দিয়েছেন।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ