শ্রীলংকায় হামলা : এক হামলাকারীকে ঠেকালেন যিনি
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০১৯, ১১:৪৬
ইস্টার সানডের বোমা হামলা নিহত এক ব্যক্তির পরিবার বলছে যে ওই ব্যক্তি বহু মানুষের জীবন বাঁচিয়েছেন।
জিয়ন (Zion Church) গির্জা তখন ছিলো কানায় কানায় পূর্ণ। ঠিক ওই সময় এক ব্যক্তি ব্যাগপ্যাক (পিঠে ভারী ব্যাগ) নিয়ে গির্জায় প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন।
ধারণা করা হচ্ছে, ওই ব্যক্তি ভেতরে ঢুকতে পারলে বহু মানুষের জীবনহানি হতো ওই গির্জার ভেতরে। আর যার বাধার কারণে ওই ব্যক্তি গির্জায় ঢুকতে পারেননি তার নাম রামেশ রাজু।
৪০ বছর বয়সী রামেশ নিজে প্রাণ দিয়েছেন, কিন্তু বিনিময়ে বেঁচে আছেন ওই গির্জায় থাকা প্রায় সাড়ে ৪০০ মানুষ।
তার স্ত্রী ক্রিসান্থিনি এবং দুই সন্তান ১৪ বছরের রুখশিখা ও ১২ বছরের নিরুবান।
ক্রিসান্থিনি গির্জাতেই সানডে স্কুল টিচার হিসেবে কাজ করেন এবং এই রবিবারেও তিনি ক্লাসে চলে গিয়েছিলেন । তিনি ও রামেশ প্রতি সপ্তাহেই বাচ্চাদের গির্জায় নেন এবং পরে সন্তানদের প্রার্থনায় নিয়ে যেতেন রামেশই।
ক্লাস শেষে ক্রিসান্থিনি ও কয়েকটা শিশু বাইরে যান খাবার কিনতে এবং তখনো ইস্টার সানডের কার্যক্রম শুরু হয়নি।
গির্জার বাইরের চত্বরেই তিনি এক ব্যক্তিকে বড় ব্যাগসহ দেখেন। ওই ব্যক্তি বলছিল তার ব্যাগে ভিডিও ক্যামেরা এবং তিনি ভেতরে প্রার্থনার ভিডিও ফুটেজ নেবেন।
‘আমার স্বামী কিছু একটা সমস্যা আঁচ করতে পারছিলেন এবং ওই ব্যক্তিকে বললেন তাকে আগে অনুমতি নিতে হবে।’
ক্রিসান্থিনি বলেন, এর পর এক প্রকার জোর করেই ওই ব্যক্তিকে চলে যেতে বাধ্য করেন তার স্বামী।
ক্রিসান্থিনি ভেতরে চলে যান যেখানে প্রায় ৪৫০ জনের মতো মানুষ প্রার্থনায় যোগ দেয়ার অপেক্ষায়। এর মধ্যেই বড় বিস্ফোরণের শব্দ কানে এলো ও লোকজন ভয়ার্ত হয়ে যে যেদিকে পারে দৌঁড়ালো কারণ ভবনের এক পাশে আগুন ধরে গেছে।
ক্রিসান্থিনি ও তার পরিবারের সদস্যরাও পালান এবং দ্রুতই তারা রামেশকে খুঁজতে হাসপাতালে যান।
কয়েক ঘণ্টা পর তার মৃতদেহ পান তারা, তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছিলেন যেখানে ক্রিসান্থিনি তাকে সর্বশেষ দেখেছিলেন।
সোমবার দাফন করা হয়েছে রামেশকে।
ক্রিসান্থিনির মাও খুন হয়েছিলেন এর পর তার পিতাও খুন হয়েছিলেন এবং সর্বশেষ স্বামীও হারালেন তিনি।
খবর বিবিসি এবিএন/সাদিক/জসিম
খবর বিবিসি এবিএন/সাদিক/জসিম
এই বিভাগের আরো সংবাদ