ইউক্রেনে প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন কৌতুকাভিনেতা জেলেনস্কি
প্রকাশ: ২২ এপ্রিল ২০১৯, ১৭:২৯
এক্সিট পোল বা কেন্দ্র ফেরত ভোটারদের ওপর করা জরিপ অনুযায়ী, ইউক্রেনের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জিতে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন সেদেশের জনপ্রিয় কৌতুকাভিনেতা ভ্লাদিমির জেলেনস্কি ।
এক্সিট পোলে মি. জেলেনেস্কি ৭০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছেন। এর তিন সপ্তাহ আগে প্রথম রাউন্ডের ভোটাভুটিতে যেখানে ৩৯জন প্রার্থী ছিল, সেখানেও মি. জেলেনস্কি বেশ এগিয়ে ছিলেন।
বর্তমান প্রেসিডেন্ট পেত্রো পোরোশেঙ্কো তার পরাজয় মেনে নিয়েছেন। তবে, রাজধানী কিয়েভে জড়ো হওয়া তার ভক্ত-সমর্থকদেরকে জানিয়েছেন যে, তিনি রাজনীতি থেকে সরে যাবেন না।
যদি ভোট দিয়ে কেন্দ্র ফেরত মানুষদের এই জরিপ সত্যি হয় তাহলে মি. জেলেনেস্কি ৫ বছরের জন্য দেশটির প্রেসিডেন্ট হবেন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট সেদেশের নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা ও পররাষ্ট্র নীতির মতো সিদ্ধান্ত নেয়ার মতো ক্ষমতার অধিকারী।
কিয়েভ থেকে বিবিসির সংবাদদাতা জোনাহ ফিশার বলছিলেন, ইউক্রেনের মানুষদের সামনে একদিকে ছিল একজন অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ আর অন্যদিকে ছিল রাজনীতির কোনো অভিজ্ঞতা না থাকা একজন কমেডিয়ান।
কিন্তু এতো বিপুল মানুষ অনভিজ্ঞ জেলেনেস্কি বেছে নেওয়াটাকে পোরোশেঙ্কোর জন্য একটা অপমানকর ব্যাপার বলেই ব্যাখ্যা করেন জোনাহ ফিশার।
মি. পোরোশেঙ্কো ২০১৪ সাল থেকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। কিন্তু এই নির্বাচনে তিনি ভোট পেয়েছেন মাত্র ২৫ শতাংশ।
একটি রাজনৈতিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তৎকালীন রুশ-সমর্থক প্রেসিডেন্টকে সরিয়ে ক্ষমতায় এসেছিলেন মি. পোরোশেঙ্কো।
কে এই ভ্লাদিমির জেলেনস্কি ?
৪১ বছর বয়সী ভ্লাদিমির জেলেনস্কি সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত হয়েছিলেন 'সার্ভেন্ট অফ দি পিপল' বা 'জনতার খেদমতকারী' নামের একটি ব্যঙ্গ-বিদ্রূপাত্মক নাটকে অভিনয়ের মাধ্যমে।
সেই নাটকে মি. জেলেনস্কি একজন শিক্ষক হিসাবে অভিনয় করেছিলেন, ঘটনাচক্রে যিনি ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
তার সেই নাটকে রাজনৈতিক দলের যে নাম ছিল, সেই নামেই পরে তিনি দল গঠন করেন।
পূর্বের রাজনৈতিক কোন অভিজ্ঞতা না থাকলেও, কোন রাজনৈতিক নীতির কথা ঘোষণা না করে বরং মি. জেলেনস্কি অন্য প্রার্থীদের সঙ্গে তার পার্থক্যের বিষয়টি তুলে ধরেছিলেন।প্রথম পর্বে তিনি মি. পোরোশেঙ্কোর প্রায় দ্বিগুণ, ৩০ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিলেন।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, মি. জেলেনস্কির অনানুষ্ঠানিক ভঙ্গি আর ইউক্রেনের রাজনীতিকে পরিষ্কার করার অঙ্গীকারের কারণে ভোটাররা তাকে বেছে নিয়েছে, যারা মি. পোরেশেঙ্কোর দেশ পরিচালনায় সন্তুষ্ট নন।
এবিএন/মমিন/জসিম