আজকের শিরোনাম :

২৪ বার নির্বাচনে হেরেও হাল ছাড়েননি যে ব্যক্তি

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০১৯, ১১:৪৫

ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর পুনের শিবাজি নগর এলাকার বাসিন্দা বিজয়প্রকাশ খন্দকার।  গত দুই মাস ধরে ৭৩ বছর বয়সী এই ব্যক্তি এলাকায় ঘুরে ঘুরে তার পক্ষে নির্বাচনী সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছেন।

তিনি বলেন, ‘আমি জনগণকে দেখাতে চাই, পৃথিবীর বৃহত্তম গণতন্ত্রে দলীয় রাজনীতি একমাত্র উপায় নয়। আমি আমার মতো আরও স্বতন্ত্র প্রার্থী দেখতে চাই। এর মাধ্যমে আমরা দুর্নীতি দূর করতে পারব।’

তিনি যে সংসদীয় আসনে লড়ছেন সেখানে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৩ এপ্রিল।  গত ১১ এপ্রিল ভারতের নির্বাচন শুরু হয়েছে। ৭ দফায় ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়ে ভোট গণনা শুরু হবে ২৩ মে। 

স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেয়া বিজয়প্রকাশ খন্দকার আশা করেন তিনি এক সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী হবেন। 

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী হতে পারলে তিনি প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিককে ১৭ হাজার রুপি দেবেন। তার মতে, অন্য জায়গায় খরচ কমালে এ অর্থ দেয়া কোনো কঠিন কাজ নয়। 

১৯৮০-এর দশকের শেষ পর্যন্ত মহারাষ্ট্র প্রদেশের বিদ্যুৎ সংস্থায় কাজ করেছেন। 

বিজয়প্রকাশ খন্দকারকে এখন দেখা যায় শহরজুড়ে একটি স্টিলের ঠেলাগাড়ি নিয়ে ঘুরছেন।  সে গাড়িতে তার নির্বাচনী প্রতীক লাগানো রয়েছে। সেখানে লেখা রয়েছে ‘বুট জুতার বিজয়’। কারণ তার নির্বাচনী প্রতীক বুট জুতা। 

তিনি যখন শহরজুড়ে এই ঠেলাগাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়ান তখন এটি এক মজার পরিবেশ তৈরি করে। অনেকে তাকে উপেক্ষা করে। আবার অনেকে তার সঙ্গে সেলফি তুলতে চায়। 

বিজয়প্রকাশ খন্দকার ২৪টি নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছে স্থানীয় সরকার নির্বাচন থেকে শুরু করে জাতীয় নির্বাচন।  

২০১৪ সালে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে ৩ হাজার স্বতন্ত্র প্রার্থী ছিল।  তাদের মধ্যে মাত্র ৩ জন জয়লাভ করেছিল। ভারতের নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সবচেয়ে ভালো ফলাফল করেছিল ১৯৫৭ সালের নির্বাচনে। তখন ৫৭ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিল। 

ভারতের নির্বাচনী আইন অনুযায়ী যেসব প্রার্থী জাতীয় রাজনৈতিক দল থেকে মনোনয়ন পায় তাদের নাম ব্যালট পেপারের সবচেয়ে উপরের দিকে থাকে। এর পর থাকে প্রাদেশিক দলগুলোর প্রার্থীদের নাম। সর্বশেষ থাকে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের নাম। 

নির্বাচনের জন্য বিজয়প্রকাশ খন্দকার তার ডাক নাম পরিবর্তন করে রেখেছেন যেটির প্রথম অক্ষর শুরু হয়েছে ইংরেজি সর্বশেষ বর্ণ 'জেড' দিয়ে। ব্যাটল পেপারে নাম সবার শেষে রাখার জন্য তিনি নামের এ পরিবর্তন করেছেন।

বিজয়প্রকাশ খন্দকার বলেন, ‘ভোটারদের কাছে আবেদন হচ্ছে, ব্যালট পেপারে সর্বেশেষ প্রার্থীকে ভোট দিন।’
খবর বিবিসি

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ