আজকের শিরোনাম :

প্রাণ হারানোর ভয়ে সৌদি রাষ্ট্রদূতের আমন্ত্রণ প্রত্যাখ্যান মানবাধিকারকর্মীর

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ২১ এপ্রিল ২০১৯, ০০:৫৩

সৌদি দূতাবাস ও কনস্যুলেটে ঢোকার পর সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে পারবেন কিনা তা নিয়ে অনেক সৌদি নাগরিকই এখন আতঙ্কে ভোগেন। তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে টুকরো টুকরো করে হত্যার পর সাংবাদিক ও মানবাধিকারকর্মীরা এখন আর কোনো সৌদি কূটনৈতিক প্রতিষ্ঠানে ঢুকতে চান না।

সর্বশেষ সৌদি আরবের প্রখ্যাত মানবাধিকারকর্মী মানাল আশ-শারিফ এমন আতঙ্কে ওয়াশিংটনস্থ সৌদি দূতাবাসে যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। আমেরিকায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত রিমা বিনতে বান্দার তার সঙ্গে বৈঠকে বসার আগ্রহ দেখিয়ে একটি আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছেন। কিন্তু মানাল বলেছেন, তিনি রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি আছেন, তবে তা হতে হবে দূতাবাস ভবনের বাইরে। বৈঠকে তিনি নারীদের নানা সমস্যা তুলে ধরতে আগ্রহী বলে জানান মানাল। সৌদি আরবে নারীদের গাড়ী চালানোর অধিকার আদায়ের জন্য অনেক কাজ করেছেন এই মানবাধিকারকর্মী।

সৌদি রাজতন্ত্র-বিরোধী সাংবাদিক জামাল খাশোগি গত ২ অক্টোবর মঙ্গলবার তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটে প্রবেশ করার পর নিখোঁজ হন। সৌদি সরকার ১৭ দিন ধরে খাশোগির অবস্থান সম্পর্কে কোনো কিছু জানা থাকার কথা অস্বীকার করার পর তীব্র আন্তর্জাতিক চাপের মুখে অবশেষে ১৯ অক্টোবর স্বীকার করে যে, খাশোগিকে সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরে হত্যা করা হয়েছে।
সৌদি সরকারের হাতে আটক ও খুন হওয়ার আশঙ্কায় স্বেচ্ছায় দেশত্যাগ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছিলেন জামাল খাশোগি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে সৌদি কনস্যুলেটের মধ্যেই সৌদি গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের হাতে নির্মমভাবে নিহত হতে হয়।

হত্যাকাণ্ডের দায়ে এক ডজনেরও বেশি সৌদি কর্মকর্তাকে আটক করা হলেও তুরস্কের তদন্তকারী কর্মকর্তারা তাদের হাতে থাকা তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে বলেছেন, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানের সরাসরি নির্দেশে খুন হন জামাল খাশোগি।

এবিএন/শংকর রায়/জসিম/পিংকি

এই বিভাগের আরো সংবাদ