আজকের শিরোনাম :

নির্ধারিত সময়েই কিমের সঙ্গে বৈঠক : ট্রাম্প

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০২ জুন ২০১৮, ১২:১০

ঢাকা, ০২ জুন, এবিনিউজ : উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং উনের সঙ্গে নির্ধারিত সময় ও স্থানেই বৈঠক হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। 

শুক্রবার উত্তর কোরীয় নেতার ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিত কিম ইয়ং চোলের সঙ্গে বৈঠকের পর ট্রাম্প সাংবাদিকদের এ কথা জানান। 


পূর্বনির্ধারিত সূচি অনুযায়ী আগামী ১২ জুন সিঙ্গাপুরে ট্রাম্প ও কিমের মধ্যে বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও ২৪ মে উনের সঙ্গে বৈঠকটি বাতিলের ঘোষণা দেন ট্রাম্প। ট্রাম্পের এ সিদ্ধান্তে উত্তর কোরিয়াসহ আন্তর্জাতিক বিশ্ব হতাশা প্রকাশ করে। এর পর ২৫ মে ট্রাম্প ১২ জুন তারিখেই সিঙ্গাপুরে কিমের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে বলে নতুন করে ইঙ্গিত দেন। ২৬ মে আকস্মিক বৈঠক করেন উত্তর কোরিয়া ও দক্ষিণ কোরিয়ার নেতারা। ২৭ মে সকালে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জায়ে-ইন বলেন, উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করার ব্যাপারে সম্মত হয়েছেন।

হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘আমার মনে হয়, সম্ভবত এ বৈঠক খুবই সফল আর চুড়ান্তভাবে সফল প্রক্রিয়া হতে যাচ্ছে।’ 

ট্রাম্প বলেন, তিনি আশা করেন সব বিরোধ মেটাতে বেশ কয়েকটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। 

তিনি বলেন, ‘আমি খোলাখুলিভাবে বলছি, আপনারা সময় নিন।’

২০০০ সালে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার একজন শীর্ষ কর্মকর্তা হোয়াইট হাউস সফর করেছিলেন। তারপর কিম ইয়ং চোলই বড় কোনো কর্মকর্তা যিনি যুক্তরাষ্ট্র সফর করলেন। চোল কিমের একটি চিঠি ট্রাম্পের কাছে হস্তান্তর করেছেন।

সিঙ্গাপুরের বৈঠকে কোরীয় যুদ্ধের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি নিয়ে আলোচনার হতে পারে বলেও জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ১৯৫০-৫৩ সাল পর্যন্ত চলা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর দুই কোরিয়ার মধ্যে যুদ্ধবিরতি চললেও কোনো শান্তিচুক্তি হয়নি।

এপ্রিলে উত্তর ও দক্ষিণের মধ্যে অনুষ্ঠিত শীর্ষ সম্মেলনেও কিম ও মুন দুই কোরিয়ার মধ্যে শান্তিচুক্তির ব্যাপারে জোর দিয়েছিলেন।

উত্তরের শীর্ষ নেতার সঙ্গে প্রথম বৈঠকেই পিয়ংইয়ংয়ের পারমাণবিক কর্মসূচি বন্ধে চুক্তি হয়ে যাবে, এমন আশা না করতেও পরামর্শ দিয়েছেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘কখনই বলিনি এক বৈঠকেই সব হয়ে যাবে। আমার মনে হয় এটি একটি পদ্ধতি। যদিও সম্পর্ক গড়ে উঠছে, এবং এটি খুবই ইতিবাচক।’

২০০৩ সালে লিবিয়া পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি ত্যাগ করার অল্প কয়েক মাসের মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্র লিবিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেয়। দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কও পুনঃস্থাপিত হয়। আট বছর পর নেটো সমর্থিত বিদ্রোহী ও আধাসামরিক গোষ্ঠীর হাতে ক্ষমতাচ্যুত হন দেশটির নেতা মুয়াম্মার গাদ্দাফি। নেটো সমর্থিত বিদ্রোহীদের হাতে ধরা পড়ার পর গাদ্দাফিকে হত্যাও করা হয়।

লিবিয়া মডেলের উদাহরণ উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উনকে আতঙ্কিত করতে পারে বলে তখনই ধারণা করেছিলেন পর্যবেক্ষকরা।

পিয়ংইয়ংয়ের কড়া প্রতিক্রিয়ার পাল্টায় বৈঠক থেকে সরে আসার ঘোষণা দেন ট্রাম্প। পরে দুই পক্ষই বৈঠক আয়োজনে নতুন করে আগ্রহ দেখালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতার সঙ্গে বৈঠক নির্ধারিত সময়েই অনুষ্ঠিত হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ