আজকের শিরোনাম :

ক্রাইস্টচার্চের হামলাকারীকে আদালতে হাজির

  অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ১৬ মার্চ ২০১৯, ১০:০৩ | আপডেট : ১৬ মার্চ ২০১৯, ১১:৩৯

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হামলাকারী ব্রেনটন হ্যারিসন ট্যারেন্টকে হাতকড়া পরিয়ে খালি পায়ে আদালতে হাজির করা হয়েছে। 

আজ শনিবার স্থানীয় সময় সকালে ২৮ বছর বয়সী এই অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত যুবককে ক্রাইস্টচার্চ ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে হাজির করা হয়। তার বিরুদ্ধে হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ আনা হয়েছে। 
শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চের আল নুর মসজিদে স্থানীয় সময় বেলা দেড়টার দিকে জুমার নামাজ আদায়রত মুসল্লিদের ওপর স্বয়ংক্রিয় রাইফেল নিয়ে হামলা চালান ব্রেনটন। অল্পের জন্য ওই হামলা থেকে বেঁচে যান বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সদস্যরা। কাছাকাছি লিনউড মসজিদে দ্বিতীয় দফায় হামলা চালানো হয়। দুই মসজিদে হামলায় নিহত ৪৯ জন। এর মধ্যে আল নুর মসজিদে ৪১ জন ও লিনউড মসজিদে ৭ জন নিহত হন। একজন হাসপাতালে মারা যান। আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ৪০ জন। এর মধ্যে ৫ বছর বয়সী এক শিশুর অবস্থা আশঙ্কাজনক।

মাথায় স্থাপন করা ক্যামেরা দিয়ে পুরো হামলার ঘটনা সরাসরি ইন্টারনেটে প্রচার করছিল ২৮ বছর বয়সী ওই হামলাকারী। সে অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক।

ফুটেজে দেখা যায় সে নারী, পুরুষ ও শিশুদের ওপর হামলা চালাচ্ছে। বন্দুকধারী এরপর প্রায় ৫ কিলোমিটার গাড়ি চালিয়ে আরেকটি মসজিদে গিয়ে হামলা চালায় বলে খবর পাওয়া গেছে।

দেশটির প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা আর্ডান বলেন, এ হামলা ছিল একটি উগ্র-সন্ত্রাসবাদী হামলা এবং প্রধান সন্দেহভাজন হামলাকারীর আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স ছিল।

তিনি বলেন, ওই ব্যক্তি ছাড়া আরও দু'জন পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। আটকদের কারো বিরুদ্ধে কোনো অপরাধের রেকর্ড নেই বলেও জানিয়েছেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী জাসিন্দা সাংবাদিকদের বলেছেন, ওই হামলাকারী বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে ভ্রমণ করেছেন এবং নিউজিল্যান্ডে বিক্ষিপ্ত সময় অতিবাহিত করেছেন। তাকে আমি দীর্ঘকালীন বাসিন্দা বলবো না। হামলাকারীর বন্দুকের লাইসেন্স ছিল। আমাকে জানানো হয়েছে যে, সেটি ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে নেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, নিউজিল্যান্ডে গোয়েন্দা সংস্থা উগ্র চরমপন্থিদের বিষয়ে তদন্ত করছে কিন্তু হত্যার দায়ে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি চরমপন্থার জন্য গোয়েন্দা কিংবা পুলিশ কারো নজরেই আসেনি।

ওই ব্যক্তি ২০১৭ সালে ইউরোপ ভ্রমণের পর থেকে এই হামলার পরিকল্পনা করছিল এবং সেখানকার ঘটনার প্রেক্ষিতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিল। ২০১৭ সালে স্টকহোমের সন্ত্রাসী হামলার প্রতিশোধ নিতেই সে এই হামলা চালিয়েছে। 

তিনি জানান, ওই হামলায় ১২ বছর বয়সী এব্বা আকারলান্ড নামের একটি মেয়ে নিহত হয়েছিল। উজবিকিস্তান থেকে আসা এক শরণার্থী ওই হামলা চালিয়েছিল। এব্বার মৃত্যুই তাকে হামলা করতে প্রথম উৎসাহ দিয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

এবিএন/সাদিক/জসিম

এই বিভাগের আরো সংবাদ